আমার বয়স ২১ বছর। আমার উচ্চতা ৫ ফিট ৪ ইঞ্চি।আমি আরো ৩-৪ ইঞ্চি উচ্চতা বাড়াতে চাই। কি তা বাড়ানো সম্ভব? প্লিজ আমাকে জানাবেন আমি কিভাবে উচ্চতা বৃদ্ধি করতে পারি?কোনো medicine নেওয়া যাবে কি?  কোন medicine প্লিজ বলুন? আমার খুব কষ্ট হয়। সবাই বেটে বলে রাগাই, খুব খারাপ লাগে...  ২-৩-৪ ইঞ্চি যাতে বড় হতে পারি, প্লিজ হেল্প করুন?? প্লিজ...!!!
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আপনার কাঙ্ক্ষিত উচ্চতা বাড়াতে : # আশ্বগন্ধা (Ashwagandha) গ্রহণ করুণ: আয়ুর্বেদ মতে, আশ্বগন্ধা (বৈজ্ঞানিক নাম: Withania somnifera) এছাড়াও ভারতীয় ginseng হিসাবে পরিচিত যা উচ্চতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আশ্বগন্ধায় বিভিন্ন খনিজ পদার্থ রয়েছে যেযা হাড়ের কঙ্কাল এর ঘনত্ব বৃদ্ধিতে সহায়তা করে ফলে শরীরের হাড় প্রসারিত হয়। এর ফলে আপনার উচ্চতাও বৃদ্ধি পাবে। যে কোনো ভেষজ দোকানে আপনি এটা খুজে পেতে পারেন। সেবন পদ্ধতি: ১। প্রতিদিন ২ টেবিল চামচ করে আশ্বগন্ধার গুড়া গরম পানি অথবা গরুর দুধের সাথে মিলিয়ে পান করুণ। ২। স্বাদ অনুযায়ী চিনি বা গুড় যোগ করুন এবং ভালোভাবে মিশ্রিত করুণ। ৩। আপনার উচ্চতা বৃদ্ধি জন্য প্রথম অন্তত ৪৫ দিন ঘুমোতে যাওয়ার আগে প্রতি রাতে পান করুণ। বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই ওষুধ সেবনের সময় ফাস্ট ফুড সম্পূর্ণরূপে এড়াতে হবে। # দুধ পান করুণ দুধ পান আপনাকে লম্বা হওয়ার জন্য অনেক সাহায্য করবে কারণ ক্যালসিয়াম আপনার শরীররের হাড় এর বৃদ্ধি ঘটায়, আরেকটা বেপার যা আমাদের দেশে নেই সেটা হল আমেরিকায় তাদের গরু মধ্যে বিভিন্ন হরমোন ইনজেকশন দেওয়া হয় যার মাধ্যমে - হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি হয়, এবং সেই প্রকিয়াজাতকরন দুধ হয় সাধারণ দুধ এর বিকল্প। # নিয়মিত ব্যায়াম করুনঃ উচ্চতা বাড়ানোর অন্যতম ভাল উপায় হল নিয়মিত ব্যায়াম করা। ব্যায়াম বা খেলাধূলা করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। প্রথমে শুরু করতে পারেন বেশ কিছু স্ত্রেচিং দ্বারা। ধীরে ধীরে ব্যায়ামের মাত্রা বাড়িয়ে নিন। নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীরের বিভিন্ন জোড়াগুলোতে ভাল প্রভাব পড়ে ফলে উচ্চতা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। # শ্বাসপ্রশ্বাসের চর্চা করুন: স্বাভাবিক নয়, শ্বাস নিন গভীরভাবে। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, গভীরভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস গ্রহন ও বর্জন করলে তা শারীরিক নানা জটিলতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে অনেকাংশেই। যেহেতু সব সময় গভীরভাবে শ্বাস নেয়া সম্ভব নয় তাই দিনের যেকোনো একটি সময় নির্বাচন করে গভীরভাবে শ্বাস প্রশ্বাস নেয়ার ব্যায়াম করুন। চাইলে মেডিটেশন করতে পারেন কারণ মেডিটেশনও একই ফল দেয়। # পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান (proper sleep): আমরা যখন ঘুমিয়ে থাকি বা বিশ্রাম নিই তখন শরীরের টিস্যু পুনরুৎপাদন হয় এবং আকার বৃদ্ধি পায়। গবেষণায় জানা গেছে হিউম্যান গ্রোথ হরমোন (HGH) আমাদের শরীরে প্রাকৃতিক ভাবে উৎপন্ন হয় তখনই যখন আমরা ঘুমিয়ে থাকি। তাই উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম (proper sleep) অপরিহার্য। কৈশোর থেকেই দৈনিক ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা ঘুমানোর অভ্যাস করুন। # বদভ্যাস ত্যাগ করুন: শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে এমন বদভ্যাস দ্রুত ত্যাগ করুন। মাত্রাতিরিক্ত চা বা কফি কোনটাই খাবেন না। এগুলো শরীরের উপরে বাজে প্রভাব ফেলে যা পরবর্তীতে আপনার উচ্চতা বৃদ্ধিতে বাধার সৃষ্টি করতে পারে। ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে তাও ত্যাগ করতে হবে। বোতলজাত জুস ও কোমলপানীয়ও আপনার শরীরের একইভাবে ক্ষতি সাধন করে। তাই এগুলোও ত্যাগ করা বাঞ্ছনীয়। এসবের বদলে খেতে পারেন গ্রিন টি বা তাজা ফলের জুস। এতে পাবেন আপনার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি । ফলে বেড়ে যেতে পারে আপনার উচ্চতা। -সূত্র: টপটেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

বাংলাদেশে ছেলেদের গড় উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি আর মেয়েদের ক্ষেত্রে গড় উচ্চতা হচ্ছে ৫ ফুট ২। সাধারনত বলা হয়ে থাকে যে ১২ থেকে ১৭ বছর পর্যন্ত ছেলেরা লম্বা হয় আর মেয়েরা ১২ থেকে ১৬ (অনেক ক্ষেত্রে ৯ বছর থেকেই মেয়েরা লম্বা হয়, তবে সেটা ব্যতিক্রম)। সঠিক ভাষায় বলতে গেলে বলা উচিত পিউবার্টি পর্যন্ত ছেলে-মেয়েরা লম্বা হয়। 

এখন প্রশ্ন হচ্ছে পিউবার্টি কি ? 

মূলত পিউবার্টি হচ্ছে মানুষের (ছেলে ও মেয়ে উভয়ের ) জীবদ্দশার একটি ধাপ যেই ধাপে গ্রোথ হরমোন ( HGH hormone ) প্রচুর পরিমাণে নিঃসরন হয় এবং ছেলে-মেয়ে উভয়ের শারীরিক বৃদ্ধি ও পরিবর্তন সাধিত করে। এই পিউবার্টির সময়েই ছেলে-মেয়ে সম্পুর্নতা লাভ করে এবং পিউবার্টি শেষ হলে ছেলে ও মেয়ে উভয়ের ই শারীরিক বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়। 

এক্ষেত্রে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে যে মেডিকেল সাইন্স অনুযায়ী পিউবার্টির পরে শারীরিক বৃদ্ধি (সোজা কথায় লম্বা হওয়া ) সম্ভব নয় । সাধারনত ছেলেদের ক্ষেত্রে পিউবার্টি শেষ হয় ১৭ বছর বয়সে আর মেয়েদের ক্ষেত্রে তা শেষ হয় ১৫ বছয় বয়সে (কিছু কিছু ক্ষেত্রে ১-২ বছর কম বা বেশী হতে পারে) ।

 কিন্তু তবুও অনেকঅনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে পরিমিত ঘুম, সঠিক খাদ্য গ্রহন এবং কিছু ব্যায়াম এর মাধ্যমে পিউবার্টির পরেও লম্বা হওয়া ছেলে ও মেয়ে উভয়ের পক্ষেই সম্ভব।

প্রথমে আমাদের জানতে হবে ঠিক কোন কোন বিষয় গুল একটি মানুষের উচ্চতা নির্ধারন করে (নিচে যা যা উল্লেখ করা আছে তার সবকিছুই ছেলে ও মেয়ে উভয়ের জন্যই প্রযোজ্য)।

উচ্চতার ক্ষেত্রে প্রথম যেই বিষয়টি কাজ করে তা হচ্ছে ১. জিনেটিক্স , তারপর ২. খাওয়া দাওয়া এবং ৩. ঘুম।

যাদের বাবা – মা র উচ্চতা কম (এবং বাবা-মা উভয় ক্ষেত্রেই লম্বা কোন আত্মীয় নেই ) তাদের দিক থেকে জিনেটিক্স এর বিষয়টি বাদ। কারণ জিনেটিক্সের কারনেই দেহের বৃদ্ধি ঘটে। আসলে যাদের ক্ষেত্রে জিনেটিক্স সাহায্য করেছে লম্বা হওয়ার জন্য তাদের জন্য এই লিখাটি  না। 

আর বাকি থাকল খাওয়া দাওয়া আর ঘুম। আমরা নিজেরা যেই বিসয়গুল নিয়ন্ত্রন করতে পারি শুধু মাত্র সেই বিষয়গুলোই এখানে উল্লেখ করা হয়েছে। 

মনে রাখতে হবে যে পরিমিত ঘুম, সঠিক মাত্রায় আহার এবং ব্যায়াম এর মাধ্যমে আমরা ২ ইঞ্চি এবং অনেক পরিস্রম করলে ৪-৫ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হতে পারি।

ইঞ্চি লম্বা হওয়ার জন্যই আপনাকে প্রায় ৩-৪ মাস ধৈর্য্য ধরে আমার রুটিন মেনে চলতে হবে। যেসব মানুষেরা আরও বেশী শ্রম দিবে এবং ৯ মাস এর সময় ব্যায় করতে প্রস্তুত তারা ৪-৫ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হতে পারবেন। তবে আপনাকে অবশ্যই রুটিন অনুসরন করতে হবে। 

যেহেতু জিনেটিক দিক থেকে আপনি তেমন অনূকুলতা পান নি, কাজেই সেই অসুবিধা দূর করতে হলে আপনাকে অনেক অনেক শ্রম দিতে হবে। বিষয়টা যেন এমন না হয় যে প্রথম ১-২ সপ্তাহ খুব উদ্যম নিয়ে শুরু করলেন আর ৩য় সপ্তাহে সব শক্তি খুইয়ে একদম নিঃশেষ। তাহলে আপনার লম্বা হওয়া আজীবন স্বপ্নই থেকে যাবে।

আগের সব কথা ভুলে যান (শুরুর কথা) এখন নতুন করে মনযোগ দিন। 

আপনার বয়স পিঊবার্টির ও অনেক অনেক পরে এবং আপনি জিনেটিক দিক থেকে তেমন সুবিধা পান নি। কাজেই লম্বা হওয়ার জন্য যেই বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে মাথায় রাখতে হবে তা হচ্ছে ঃ

১। সবচেয়ে গুরুত্তপূর্ন হচ্ছে – ঘুম

২। তারপরেই – খাওয়া দাওয়া

৩। সবশেষে – ব্যায়াম ।

১। ঘুমঃ

আপনার লম্বা হওয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেই বিষয়, তা হচ্ছে ঘুম। নিয়মিত ৮ ঘন্টা ঘুম হচ্ছে প্রধান শর্ত। আপনি যদি নিয়মিত ৮ ঘন্টা ঘুমাতে না পারেন তাহলে হাজার খেয়ে বা ব্যায়াম করেও কোন লাভ হবে না। কাজেই অন্য বিষয়গুলো শুরু করার আগে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে আপনি ঠিক ভাবে ঘুমাচ্ছেন কি না।

বাঙ্গালীরা সাধারনত অন্যান্য উন্নত দেশ এর মানুষ থেকে অনেক কম সময় ঘুমায়। উন্নত দেশ গুল যেমন কানাডা, অস্ট্রেলিয়া , আমেরিকার মানুষজন রাত জাগা কি জিনিস তা জানেই না। তারা সাধারনত রাত ৮ টার মধ্যে ঘুমিয়ে পরে এবং ভোর বেলায় ঘুম থেকে উঠে। কখনোও কি খেয়াল করেছেন উন্নত বিশ্বের মানুষজন অনেক বেশী লম্বা হয়ে থাকে? তার মূল কারণটাই হচ্ছে তাদের জীবনযাত্রা। কাজেই এখন থেকে মনে রাখবেন, 

যদি লম্বা হতে চান অন্তত রাত ১০ টার আগেই শুয়ে পড়ার অভ্যাস করতে হবে এবং ভোর ৬ টায় উঠতে হবে। আপনি যদি আরও দেরী করে ঘুমাতে চান, সমস্যাই নেই। তবে নিশ্চিত করে নিন যে আপনার ৮ ঘন্টা ঘুম হচ্ছে কি না। যদি ১২ টায় ঘুমান তাহলে সকাল ৮ টায় উঠা হচ্ছে কি না খেয়াল রাখুন তাহলেই হবে। উল্লেখ্য ৮ ঘন্টার বেশী ঘুম হলে ক্ষতি নেই, তবে ৮ ঘন্টা যেন অন্তত ঘুম হয়। কোন কোন দিন ৮ ঘন্টার কম ঘুম হতেই পারে। তবে সেটা মনে নিয়ে হতাশ হয়ে রুটিন বাদ না দিয়ে সেই দিন টাকে হিসাবের বাইরে রেখে দিন। শুধু সেই দিন টাকে আবার অভ্যাস এ পরিণত না করলেই হবে। 

ঘুম যে মানুষের জন্য কত জরুরী তার একটা বাস্তব উধাহরন দেয়া যেতে পারে। জন্মের পর একটি ছোট্ট শিশু মাত্র ২-৩ মাসেই কত বড় হয় লক্ষ্য করেছেন ? তার প্রধার কারন হচ্ছে ঘুম (আর দুধ, খাওয়ার বিষয়টি পরে বলা হবে ) আরও একটি বাস্তব উদাহরন দেয়া যেতে পারে। আপনি আমার এই লেখাটি পড়ার পরেই আপনার উচ্চতা মেপে দেখবেন তারপর সঠিক সময়ে ঘুমাতে যাবেন এবং আগামী কাল সকালে ঘুম থেকে উঠার পরে নিজের উচ্চতা মেপে দেখবেন। অবশ্যই আপনার উচ্চতা আগের চেয়ে ১ ইঞ্চি বেশি পাবেন। আপনি নিজেই এই পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। আসলে আমরা সবসময় ই আমাদের সত্যিকারের উচ্চতা থেকে ১ ইঞ্চি খাটো হয়ে থাকি। এর কারন হচ্ছে অভিকর্ষজ ত্বরণের প্রভাবে আমাদের মেরুদন্ডের হাড় গুল সংকুচিত হয়ে থাকে যা ঘুমের সময় প্রসারিত হয়ে যায়। আর এই জন্যই ঘুম থেকে উঠলে আমরা একটু ১ ইঞ্চি বেশী লম্বা হয়ে থাকি। পরে আবার সারাদিন অভিকর্ষজ ত্বরণের প্রভাবে আমাদের ওই ১ ইঞ্চি উচ্চতা সঙ্কুচিত হয়ে আসে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন কি বুঝাতে চেয়েছি। 

আরও মজার কথা হচ্ছে, একটি মানুষ অনেক লম্বা তার কারন শুধু এটা নয় যে তার হাড় গুল অনেক বড়। একটি মানুষের লম্বা হওয়ার পেছনে তার বড় হাড় থেকেও মজার যেই বিষয়টি কাজ করে তা হচ্ছে প্রতি হাড় এর মধ্যে ফাঁকা স্থান। লম্বা মানুষদের হাড় গুলোর মধ্যে ফাঁকা স্থান অবশ্যই বেশী।কাজেই লম্বা হওয়ার জন্য আমাদের প্রধান লক্ষ্য থাকবে হাড় এর দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি ও পাশাপাশি হাড় এর মাঝখানে দূরত্ত বৃদ্ধি। যদি কোন কারন আমরা হাড় এর দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করতে অসমর্থ ও হই , হাড় এর মাঝখানে দূরত্ব বৃদ্ধি করেও ১-২ ইঞ্চি লম্বা হওয়া সম্ভব। যাই হউক, হঠাৎ অন্য প্রসঙ্গে চলে আসলাম। 

আসল কথা হচ্ছে ৮ ঘন্টা ঘুম এর কোন বিকল্প নেই। আপনি আগে নিশ্চিত করুন ৮ ঘন্টা ঘুম হচ্ছে কি না, তারপরে বাকি অংশগুলো পড়ুন।

এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যে। ঘুমটি অবশ্যই নিরবিচ্ছিন্ন হতে হবে। ঘুম এর প্রথম ২ ঘন্টা পর থেকেই HGH hormone নিঃসরণ শুরু হয়। কাজেই অবশ্যই অবশ্যই ঘুমটি একদম নিরবিচ্ছিন্ন হতে হবে। 

২। খাওয়া দাওয়াঃ 

খাওয়া দাওয়া , ঘুম এর মতই লম্বা হওয়ার একটি পূর্ব শর্ত। আপনি দৈনন্দিন ৮ ঘন্টা ঘুমালেন অথচ ঠিকভাবে খাওয়া দাওয়া করলেন না। তাহলে আপনার লম্বা হওয়ার প্রচেষ্টার এখানেই ইতি। 

এক্ষেত্রে মনে রাখা জরুরী যে সকালে ঘুম থেকে উঠার পর নাস্তা অবশ্যই জরুরী। নাস্তা অবশ্যই ভালমত হওয়া চাই। যেসব মেয়েরা ডায়েট কন্ট্রোল করেন তাদের খেত্রেও সমান ভাবে সকালে ভরপেট নাস্তা করা জরুরী। সকালে ভরপেট নাস্তা করা ওজন ঠিক রাখতে সহায়তা করে। মেয়েরা সবাই সাধারণত বিষয়টা জানে তারপরেও যারা জানে না তাদের জন্য বলে দিলাম। সকালে ভরপেট নাস্তা করলে মেয়েদের ওজন বাড়ার কোন সম্ভাবনা নেই বরং তা ওজন ঠিক রাখতে সহায়তা করে।

দৈনিক ৩ টি বড় বড় খাবারের তালিকা এর বদলে যদি ৫-৬ টি ছোট ছোট খাবারের তালিকায় খাবার এর রুটিন ভাগ করে ফেলা যায় তাহলে আরও ভাল। মনে রাখা জরুরী, কখনোই কোন সময় এর খাবার বাদ দেয়া যাবে না। এতে করে গ্রোথ হরমোন বাধা প্রাপ্ত হয় এবং তা আপনার জন্য ক্ষতিকর হবে। আপনি যদি এতদিন ধরে নিয়ম মাফিক খাওয়া দাওয়া না করে থাকেন, আজকে থেকেই পণ করে ফেলুন যে আজকে থেকে আপনি ঠিক ভাবে খাওয়া দাওয়া করবেন, আর অবশ্যই কোন সময়ের খাবার বাদ দেয়া যাবে না। একটি বিশেষ সময়ের খাবার বাদ দিলে পরবর্তীতে বেশী খাওয়ার চাহিদা জন্মে যা অনেক ক্ষতিকর । 

উন্নত বিশ্বের মানুষজনের জীবনযাত্রা আমাকে কখনোই আকর্ষন করে না তবে তাদের খাওয়া দাওয়া ঘুম এর বিষয়টি অনুসরনযোগ্য – এজন্যই এগুল উল্লেখ করা। উন্নত বিশ্বের মানুষেরা সাধারণত কার্বোহাইড্রেট কম খায় (বা খায় ই না)। কার্বহাইড্রেট হচ্ছে শর্করা জাতীয় খাবার যেমন ভাত, পেপ্সি,কোক আলু, রুটি, আটা জাতীয় খাবার ইত্যাদি । উন্নত বিশ্বের মানুষজন প্রোটিন (আমিষ) জাতীয় খাবার বেশী খায় যেমন – মাংস, মাছ ইত্যাদি। এছাড়া ফল, দূগ্ধজাত খাদ্য, শাক-সব্জি তারা প্রচুর পরিমাণে খেয়ে থাকে। উন্নত বিশ্বের মানুষজনের খাবারের কথা বলা হল। এই বিষয়টি মনে রেখে এবার নিচের অংশগুল পড়ুন ।

লম্বা হওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেই বিষয়টি তা হল গ্রোথ হরমন বা HGH hormone এর নিঃসরণ। এ কথাটি আগেই একবার বলেছি। আর এই গ্রোথ হরমোন নিঃসরণ এর জন্য সঠিক খাবার এর ভূমিকা অপরিসীম (ঘুম ও গুরুত্বপূর্ণ, তবে সে বিষয় শেষ করেই আমরা এসেছি।) 

কি কি খাবার খাবেন এবং কি কি খাবার খাবেন না তা নিচে একে একে উল্লেখ করা হচ্ছে ঃ

ক. কার্বোহাইড্রেটঃ বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া, পাকিস্তান সোজা কথা সাউথ এশীয়ান মানুষদের প্রধান খাদ্যই হচ্ছে কার্বহাইড্রেট। আর এটাই সবচেয়ে দুঃখজনক কথা। এমন একটা খাবার ই আমাদের প্রধান খাদ্য যা গ্রোথ হরমোন নিঃসরন এর ক্ষেত্রে বড় বাঁধা। মানুষ যখন কার্বহাইড্রেট খায় তখন তা হজম করার জন্য পাকস্থলী তে ইনসুলিন নামক হরমোন নিঃসরণ হয় যার ক্রিয়া কাল ২ ঘন্টা ধরে থাকে। আর যতক্ষন ইনসুলিন হরমোন থাকে ততোক্ষণ পর্যন্ত পিটুইটারী গ্ল্যান্ড গ্রোথ হরমোন কে নিঃসৃত হতে বাঁধা দেয় যার অর্থ এই দাঁড়ায় যে যতক্ষন ইনসুলিন থাকবে ততোক্ষণ শরীরে গ্রোথ হরমোন নিঃসরন হবে না আর যতক্ষন শরীরে গ্রোথ হরমোন নিঃসরন হবে না ততোক্ষণ শরীরের বিভিন্ন হাড় পর্যাপ্ত পরিমাণ বাড়তে পারবে না। কাজেই ইনসুলিন এর নিঃসরন বন্ধ করতে হবে আর তা কেবল সম্ভব কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্য গ্রহণ থেকে বিরত থেকে। 

আমরা ভাত, রুটি সব ই খাব। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে সাথে যেন প্রোটিন বা ক্যালসিয়াম জাতীয় (সবুজ শাকসবজি) কিছু থাকে, এবং ঘুমের আগে অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভাল। আরও ভাল হয় যদি ঘুমের ২ ঘন্টা আগে রাতের খাবার শেষ করা যায়। কারন রাতের খাবারে যদি কার্বহাইড্রেট থাকেও , তাহলেও ইনসুলিন তৈরী হয়ে ২ ঘন্টা পরে আবার তা বন্ধ হয়ে যাবে আর ঠিক সেই সময়টাতেই আপনি ঘুমুতে যাচ্ছেন। কাজেই ঘুমুতে যাবার সময় গ্রোথ হরমোন এর নিঃসরণ হতে আর কোন সমস্যা থাকার কথা নয়। আর পেপসি, কোক, সেভেন আপ এ প্রচুর কার্বোহাইড্রেট থাকে। এই খাবার গুল না খাওয়াই ভাল। 

মূলত বেশীরভাগ দেশেই কার্বহাইড্রেট জাতীয় খাবার ই প্রধান খাবার । কারন এগুল পরিমাণে অনেক বেশি হয়ে থাকে এবং দামে সস্তা হয়ে থাকে। কাজেই কার্বহাইড্রেট একেবারেই বাদ দেয়া উচিত নয়, বরং লক্ষ্য রাখতে হবে সাথে প্রচুর পরিমাণে আমিষ আর সবুজ শাক- সবজি আছে কি না ।

খ. ক্যালসিয়ামঃ আমাদের হাড় তৈরী ই হয় ক্যালসিয়াম দ্বারা । আর লম্বা হওয়ার জন্য হাড় এর বৃদ্ধি খুব ই জরুরী। আর এজন্যই ক্যালসিয়াম এর প্রয়োজন অপরিসীম। দেখা গেল, আপনি ঠিকভাবে ঘুমুচ্ছেন, কার্বহাইড্রেট পরিমিত খাচ্ছেন এবং আপনার শরীরে গ্রোথ হরমোন ও নিঃসৃত হচ্ছে অথচ দেহে পরিমিত কার্বহাইড্রেট না থাকার ফলে আপনার হাড় এর যেই বৃদ্ধি টা হত তা আর হচ্ছে না । কাজেই ক্যালসিয়াম এর গুরুত্ব অপরিসীম। 

আমি দুঃখিত যে সবকিছুর গুরুত্বই আমি অপরিসীম বলছি। আসলে সত্যি কথা বলতে কি , সবকিছুর সমন্বয়েই আপনি ধীরে ধীরে প্রাকৃতিক উপায়ে বেড়ে উঠবেন। আমরা শুধু সেই প্রাকৃতিক উপায়টি কে সাহায্য করছি মাত্র। এক্ষেত্রে কোনোটির ই গুরুত্ব কম নয়।

ক্যালসিয়াম পাবেন যে কোন সবুজ শাকসবজি তে। কাজেই প্রচুর সবুজ শাকসবজি খেতে হবে। যেমনঃ ঢেরস, কলমী শাক, পালং শাক , ফুলকপি ইত্যাদি। দুধেও প্রচুর ক্যালসিয়াম আছে। আর এজন্যই জন্মের প্রথম ৬ মাস বাচ্চাদের কে দুধ খেতে বলা হয়। কারন দুধ এর মধ্যে একই সাথে ভিটামিন ডি আর ক্যালসিয়াম আছে যা শরীর বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

যাদের বয়স ৯ থেকে ১৮ (ছেলে ও মেয়ে উভয়েই) তাদের জন্য দৈনিক ১৩০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম প্রয়োজন। আর যাদের বয়স ১৯ এর উপরে তাদের জন্য ১০০০ মিলিগ্রাম প্রয়োজন। কোন কারনে আপনার যদি মনে হয় ক্যালসিয়াম আপনার দৈনিক কম খাওয়া হচ্ছে আপনি সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন। সাপ্লিমেন্ট এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। আপনার দৈনন্দিন খাবারের অভাব পূরন করতেই সাপ্লিমেন্ট এর আবির্ভাব । যে কোন ফার্মেসী তে গিয়ে ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট চাইলেই পেয়ে যাবেন । এটি খুবই সহজলভ্য, ভিটামিন ট্যাবলেট এর মতই খাবেন। ওষুধ এর গায়েই লেখা থাকবে একটি ট্যাবলেট এ কি পরিমাণ ক্যালসিয়াম থাকে । সেটা দেখেই আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন আপনার কয়টি ট্যাবলেট খেতে হবে ।

গ.ভিটামিন ডিঃ ভিটামিন ডি মজবুত হাড়, পেশীর গঠন বজায় রাখতে সহায়তা করে । আপনি দৈনিক যেই পরিমাণ ক্যালসিয়াম খাচ্ছেন তা শরীরে হজম করার জন্য ভিটামিন ডি প্রয়োজন। দৈনিক সাধারণত ১২০০ আই.ইউ (IU) ভিটামিন একজন মানুষের দরকার হয় আর কখনোই যেন ২০০০ আই.ইউ র বেশী ভিটামিন খাওয়া না হয়। ভিটামিন ডি প্রচুর পরিমাণে পাবেন সামুদ্রিক মাছ এ। সব ধরনের মাছ এবং মাছের ঝোলেই ভিটামিন ডি রয়েছে। কাজেই প্রচুর মাছ খেতে হবে। এছাড়াও দুধ এ প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে। 

ভিটামিন ডি এর সাপ্লিমেন্ট ও একই উপায়ে ফার্মেসী থেকে কিনে খেতে পারেন। সাধারণত যারা জিম করে তারা ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট খেয়ে থাকে ।

ঘ.পানিঃ আপনি যে এতো খাবার খাচ্ছেন, এতো ক্যালসিয়াম খাচ্ছেন, ভিটামিন ডি খাচ্ছেন এই সবগুল শরীরে ভালভাবে হজম হওয়ার জন্য পানির কোন বিকল্প নেই। একজন সুস্থ মানুষের দৈনিক ৩-৪ লিটার পানির প্রয়োজন। পানির খেত্রেও যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে কারণ আপনি যা যা খাচ্ছেন তা শরীরে ভালভাবে হজম করতে হলে এবং রক্তের সাথে ভালভাবে মিশার জন্য পানির প্রয়োজন। কাজেই পানির বিষয়টি ও খেয়াল রাখতে হবে।

 এই এতক্ষন যা যা বললাম তা আপনার লম্বা হওয়ার ক্ষেত্রে ৬০ ভাগ কাজে দিবে। বাকি ৪০ ভাগ কাজ করবে ব্যায়াম। 

৩। ব্যায়ামঃ

প্রচুর পরিশ্রমের মাধ্যমে HGH hormone প্রচুর পরিমাণে ট্রিগার্ড হয়, এমন পরিশ্রম যা আপনার শরীরের ঘাম ঝরায় এবং রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে। আর HGH hormone যত বেশী ট্রিগার্ড হবে আপনার লম্বা হওয়ার রাস্তা তত বেশী পরিস্কার হবে। ব্যায়াম শুধু যে লম্বা হতে আপনাকে সহায়তা করবে তাই নয়, ছেলেদের ক্ষেত্রে এই ব্যায়াম গুল যৌন-শক্তি বৃদ্ধি করবে, সোজা কথায় সঙ্গম কে দীর্ঘস্থায়ী করবে আপনার ইজাকুলেশন (বীর্যপাত আটকে রাখা) ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে । আর মেয়েদের ক্ষেত্রে লম্বা হওয়ার পাশাপাশিও স্লিম রাখতে ও ওজন ঠিক রাখতে সহায়তা করবে। যারা মোটামুটি বিভিন্ন জিম এ ইয়োগা করেছেন তাদের ক্ষেত্রে এই ব্যায়াম গুল অবশ্যই পরিচিত।

লম্বা হওয়ার ব্যায়াম প্রধাণত ৩ প্রকারঃ ১. স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ (Stretching Exercise); ২. লেগস এক্সারসাইজ (Legs Exercise); ৩. সাঁতার, সাইক্লিং ও ঝুলে থাকা

আর ব্যায়াম করতে হলে দৈনিক ৪৫ মিনিট খুবই কষ্টসাধ্য ব্যায়াম করতে হবে (সকালে ২৫ মিনিট আর রাত্রে ২০ মিনিট) 

সতর্কতাঃ অনেককেই দেখেছি প্রথম ১-২ সপ্তাহ খুব উদ্যম নিয়ে ব্যায়াম শুরু করতে এবং পরবর্তীতে ক্লান্ত হয়ে ব্যায়াম ছেড়ে দিতে। কাজেই ভালভাবে মনে রাখতে হবে যে ব্যায়াম শুরু করলে যদি ছেড়েই দিতে হয় তাহলে ব্যায়াম শুরু করা টা আসলে সময় নষ্ট করা ছাড়া আর কিছুই নয়। প্রতিদিন ২০-২৫ মিনিট করে ৬ দিন ব্যায়াম করা টা খুব একটা কষ্টকর হওয়ার কথা নয়। আরও কিছু ব্যায়াম আছে যা আপনি টিভি দেখতে দেখতেও করতে পারেন। যাই হউক প্রধান সতর্কতা হচ্ছে লম্বা হওয়া আসলে খুব একটা সহজ কাজ নয়। আপনি ২ ইঞ্চি লম্বা হতে চান অথচ সেই জন্য কোন ধরনের পরিশ্রম করতে রাজি নয় তাহলে হবে না। আপনাকে অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে। কাজেই ধৈর্য্য ধরতে হবে। কোন কোন দিন ব্যায়াম না হলে সমস্যা নেই, এক্ষেত্রে নিরাশ হয়ে ব্যায়াম ছেড়ে না দিয়ে সেই দিন গুলো কে “ছুটির দিন” ভেবে পরের দিন থেকে ঠিকভাবে ব্যায়াম করুন। লক্ষ্য রাখলেই হবে যেন ব্যায়াম বাদ দেয়া টা যেন আপনার রুটিন এ পরিণত না হয়। তখন ই আপনার কাছে লম্বা হওয়ার প্রক্রিয়াটি মজাদার হবে।

মনে রাখতে হবে, প্রচুর ধৈর্য্য ধারন করতে হবে। আর প্রথম ১ মাস ই যা কষ্ট। এরপর আপনার ই সব কিছু অভ্যাস হয়ে যাবে। আর প্রথম ১ মাস ঠিক ভাবে ব্যায়াম করলে আপনি ১ ইঞ্চির মত লম্বা হতে পারবেন।  ধন্যবাদ


সংগৃহীত বিষ্ময়............
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

স্বভাবতই এখন তোমার শারিরীক গঠন আর বাড়বে না বরং এখন থেকে কমবে । তবে চেষ্টা করে দেখতে পারো সেক্ষেত্রে তুমি প্রতিদিন অন্তত:ত ২ ঘন্টা ব্যায়াম করতে হবে পুষ্ঠিকর খাবার খেতে হবে । তার সাথে জিংক প্লাস খেতে পারো যা তোমাকে উপকৃত করবে কারণ আমি খেয়ে উপকৃত হয়েছি ।তবে এটা যেখানে সেখানে পাওয়া যায় না অর্ডার করে নিতে হয় । পণ্যটি সম্পর্কে বিস্তারিত ও কোথায় পাওয়া যায় জানতে মন্তব্য কর।image

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ