নামাজে কেরাত জোরে কিংবা আস্তে পড়ার ব্যপারে কোন শানে নূযুল বা প্রেক্ষাপট আছে কিনা?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

নামাযের বেলায় যদি ফরয নামায পড়তে যান তবে  এবং একা তবে   যোহর এবং আসর এর বেলায় কেরাত আস্তে পড়তে হয় ।  ইমাম সাহেব ও আস্তে পরে

অন্য ফরয এর বেলায় জোরে বা আস্তে পড়তে পারেন যদি একা নামায পরেন ।  

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

নামাজে কিরাত নীরবে বা সরবে পড়ার প্রেক্ষাপট হলো, ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত,  রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কায় আত্মগোপন রত অবস্থায় যখন নামায পড়তেন তখন উচ্চ স্বরে কিরাত পাঠ করতেন। মুশরিকরা তাঁর কিরাত শুনে কুরআন, নবী এবং আল্লাহ তাআলার ব্যাপারে গাল মন্দ করতো। তখন আল্লাহ তাআলা সূরা ইসরা এর ১১০ আয়াত (তোমার সালাতে স্বর উঁচু করো না এবং অতিশয় ক্ষীণ করো না; দুইয়ের মধ্যপথ অবলম্বন করো।) অবতীর্ণ করেন । অর্থাৎ মুশরিকরা শুনতে পায় এমন অবস্থা হলে কিরাত নিম্ন স্বরে পাঠ করো। আর তোমার সঙ্গীদের শোনানোর উদ্দেশ্যে সজোরে পাঠ করো। সহীহ বুখারী, হাদীস ৪৭২২।

অন্যদিকে আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,  যেসব নামাযে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে কিরাত শুনিয়ে পড়েছেন আমরাও সেসব নামাযে তোমাদেরকে কিরাত শুনিয়ে পড়ি। আর যেসব নামাযে কিরাত নীরবে পড়েছেন আমরাও সেসব নামাযে কিরাত নীরবে পড়ি। সুনানে নাসায়ী, হাদীস ৯৭০।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ