আমি মাদ্রাসায় কবিতা আবৃতি প্রতিযোগীতায় ইসলামিক কবিতা আবৃতি করতে চাই কিন্তু আমরা কোনো ইসলামিক কবিতা জানা নেই।দয়াকরে পারফেক্ট ইসলামিক কবিতা দিবেন
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

১। আকাশ যখন বিদীর্ণ হবে মানবে রবের হুকুম,

জমীন হবে প্রসারিত (রাত্রি আঁধার নিঝুম)।

যা কিছু আছে ভিতরে তাহার করবে উদগীরণ,

শূণ্যগর্ভ হয়ে করবে রবের আদেশ পালন।

হে মানুষ ! তুমি অনেক কঠোর পরিশ্রম করে,

ছুটে চলেছ প্রভূর পানে সাক্ষাৎ লাভ তরে।

ডানহাতে যে পাবে হিসাবের খাতা কত যে খুশি হবে,

সহজ হিসাব প্রদান করে সাথীদের কাছে যাবে।

বাম হাত দিয়ে আমলনামা নিতে চাইবেনা তারা,

দুনিয়ার জীবন হাসি-তামাসায় যাপন করেছে যারা।

পিছনে নিয়ে হাত লুকালেও নিস্তার নাই তার,

জোর করে তাকে দিয়ে দেয়া হবে সকল কাজের আধার।

কাতর কন্ঠে বলবে সে, “আমি আবার মরণ চাই”

আগুন বলবে, “আয় মোর কাছে এখানেই তোর ঠাঁই।”

ভেবেছিল সে ফিরতে হবেনা কখনো প্রভূর কাছে,

সকল কাজের হিসাব সমূহ তাঁহার কাছেই আছে।

শপথ করছি প্রভাতের আর শপথ করছি রাতের,

যখন সকল প্রাণী সমবেত হয়, পূর্ণতা হয় চাঁদের।

ধাপে ধাপে তুমি এগিয়ে চলেছ আপন প্রভূর পানে,

(কি আছে সেথা তোমার জন্য প্রভূ ছাড়া কে জানে ?)

এখনো তুমি আসলেনা পথে ? শুনলেনা তুমি বাণী ?

অবনত হও প্রভূর সমীপে তাঁহার আদেশ মানি।

এরপরও যারা আসলোনা পথে তাদের জন্য বলি,

কি করেছ জমা হিসাবের খাতায় বাঁকা ভুল পথে চলি।

যারা চলছে আজ বাঁকা পথ ধরে, মানে নাই মোর বাণী,

সুসংবাদ দাও! তাদের তরে আছে অপমান আর গ্লানী।

সরল সঠিক পথে চলে আজ যারা এনেছে ঈমান,

তাদের জন্য রয়েছে শান্তি আরো পুরস্কার অফুরাণ ।

[ সুরা আল ইনশিক্বাক্ব এর অনুবাদ ]

২। রাসুল (সাঃ) এর দাদা আঃ মুত্তালিবের সময়,

ঐতিহাসিক এক মস্ত বড় আপতন ঘটে যায়।

যাকে আজো স্মরনীয় করে রেখেছে কুরআন,

সেটি হচ্ছে হাতি ও হাতি ওয়ালার উপাখ্যান।

‘আবরাহা আল-হাবশী’ নামে ছিল এক রাজা,

তৈরি করেন তিনি ১ “আল-কুল্লায়েস” গির্জা।

এটি তৈরি করার পেছনে উদ্দেশ্য ছিল তাঁর,

হাজীগণ যেন গির্জায় যায় পরিবর্তে কা’বার।

যার কারণে আরবের লোকেরা খুব কুপিত হয়ে,

জনৈক ব্যক্তি মল ত্যাগ করে ঐ গির্জায় গিয়ে।

মল ত্যাগের খবর যখন আবরাহা জানতে পারে,

অতিশয় রাগান্বিত হয়ে এই বলে কসম করে,

তিনি অবশ্যই এসে কাবাকে করবেন ধ্বংস,

হাতী সঙ্গে নিয়ে রওয়ানা কর হাবশী বংশ।

যখন তারা তায়েফে মুগাম্মাস নামক স্থানে যায়,

আল-আসওয়াদ বিন মাকসুদকে মক্কাতে পাঠায়।

সে তাহামা এলাকায় কুরাইশদের মাল করে লুট,

এমনকি নিয়ে যায় আব্দুল মুত্তালিবের দু’শত উট।

কুরাইশ ও অন্যান্য গোত্র তারা করতে চায় প্রহত,

প্রবীণ আ: মুত্তালিবের কুরাইশ বংশে ছিল নেতৃত

৩। আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার (২)

আল্লাহই সর্বশ্রেষ্ঠ মুয়াজ্জিন ডাকছে ঐ,

মমিন মুসলমান সকল শোন দুনিয়ার,

এর চেয়ে মধুর বানী পাবে তুমি কই?

আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ (২)

সাক্ষ্য আমি দিচ্ছি, ১ আল্লাহ্ ছাড়া,

নাই যে আমার অন্য কোন ইলাহ,

কত সুন্দর বানী, দেখ পাগল পারা।

আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রসুল্লাল্লাহ্ (২)

সাক্ষ্য আমি দিচিছ যে, হে আমার আল্লাহ্,

হযরত মুহাম্মদ (স:) তোমার প্রেরিত রসুল,

অব্যাজে বিশ্বাস করি নাই এতে কোন ভুল।

হাইয়্যা আলাছ ছালাহ্, হাইয়্যা আলাছ ছালাহ্,

মুমিনগণ তোমরা নামাযের দিকে এসো ছুটে,

হে কল্যান কামীরা, করোনা এতে অনীহা,

সালাতে এসো ছুটে, জান্নাত তুমি নাও লুটে।

হাইয়্যা আলাল ফালাহ্, হাইয়্যা আলাল ফালাহ্,

বিশ্বাসীগণ, তোমরা ছুটে এসো কল্যাণের পথে,

বিপথ ছেড়ে, আস সেই পথে, কল্যান করে যাহা,

আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার ।।২।।

আল্লাহই সর্বশ্রেষ্ঠ, মুয়াজ্জিন গাইছে বারবার

সালাতের জন্য আস তুমি দিনে পাঁচটি বার

ফুলের মত নিষ্পাপ কর জীবনটি তোমার।

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্,

এক আল্লাহ্ব ছাড়া নেই অন্য কোন ইলাহ,

মুয়াজ্জিনের কণ্ঠে দেখ কত সুন্দর সুর,

বিশ্বাসীগণ, এবাদত কর একমাত্র প্রভুর।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
 মহাবিশ্বই মহাকাব্য

             -মোঃ সানাউল্লাহ্

মহাবিশ্বই মহাকাব্য!

মহা পরাক্রম আল্লাহ্ যার স্রষ্টা।

যার মাঝে আছে প্রেম, ভালবাসা, বিরহ, বেদনা, দ্বন্দ্ব!

আছে মহাকাশ, সাগর, বাতাস, নৈসর্গিক ছন্দ,

চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, তারা আছে, আছে নক্ষত্রের আপন কক্ষ।

যার যার পথে চলে নিরবধি কেউ নয় যেন অন্ধ!

 

মহররম হলো আরবী সনের দিন-পঞ্জির প্রথম মাস;

‘আশারা’ থেকেই আশুরা হয়েছে বঙ্গার্থ যার দশ।

যাহার মাঝে লুকিয়ে রয়েছে সৃষ্টি তত্ত্বের রস!

মহররমের দশম তারিখে স্রষ্টা করেন সৃষ্টি,

শূন্য থেকে বিশ্বকে এনে তাহাতে দিলেন দৃষ্টি!

 

এই তারিখেই আদম(আঃ)আসেন জান্নাত ছেড়ে পৃথ্বীতে!

তওবার পরে সাক্ষাৎ হয় বিচ্ছিন্না হাওয়া(আঃ)’র সনে!

এই তারিখেই মিলিত হন তাঁরা আরাফাত ময়দানে!

চল্লিশ দিন পাথারে ভাসিয়া নূহ নবী(আঃ) ফের স্পর্শ করেন মাটি;

আঠারো বছর রোগ ভোগ করে মুক্ত হন আইয়ুব নবী(আঃ),

ধৈর্যের বাঁধ ভাঙ্গেনি তাঁহার, হলেন শুদ্ধ খাঁটি!

 

মুসলিম জাতির মহান পিতা ইব্রাহিম(আঃ);

নিক্ষিপ্ত হলেন খোদাদ্রোহী নমরুদের অগ্নিকুন্ডে!

এই তারিখেই মুক্ত হলেন খোদার রহমত গায়ে মেখে!

নবী ইউনুছ(আঃ) মুক্ত হলেন চল্লিশ দিন মৎসের পেটে থেকে,

মহাবিশ্ব বিস্মিত হলো প্রভূর ক্ষমতা দেখে!

 

মুসা নবী(আঃ) তাঁর দলবল নিয়ে পার হন নীলনদ,

বহু লক্ষ সৈনিক নিয়ে ডুবে মরে ফেরাউন মহাবদ!

ইহুদীদের দেয়া শূলদন্ড থেকে রক্ষা করার তরে

ঈসা নবী(আঃ)কে নিয়ে যান খোদা চতুর্থ আসমানে!

 

থরে থরে যেন সাজালেন খোদা আশুরার ইতিহাস

বাঁকে বাঁকে তিনি করেছেন স্বীয় অতুল গুণ প্রকাশ;

এই তারিখেই শেষ হয়েছিল নির্মাণ পবিত্র কা’বার,

প্রতিক্ষণে জনে জনে করছে তাওয়াফ যার,

যাকে কেবলা করে সারা বিশ্বের মুসলিম জাতি

উপাসনা করে বিশ্বের বিধাতার।

 

এই দিবসেই কেয়ামত হবে, হবে ভবে মহা প্রলয়!

ধ্বংস হবে ইহলৌকিক সাজানো মহা আলয়!

 

পার্থিব মোহ গ্রাস করেছিল এজিদের অন্তর!

এই দিবসেই আখেরী নবী(সাঃ)’র

দিলের টুকরা জান্নাতী যুবদের সর্দার

ইমাম হোসাইন(রাঃ)শহীদ হলেন;

খুন রাঙা হলো কারবালা প্রান্তর!

 

তখন দুপুর, ঘুমিয়ে ছিলেন ইবনে আব্বাস(রাঃ);

স্বপ্নে দেখেন প্রিয় নবীজী(সাঃ)কে, আলু-থালু তাঁর বেশ!

মাটি মাখা দেহখানি তাঁর, অবিন্যস্ত কেশ।

বলছেন তিনি,

“চেয়ে দেখ এই বোতলে আমার ইমাম হোসাইন(রাঃ)’র রক্ত,

শহীদ হয়েছে ফোরাতের তীরে, সাথে ছিল তাঁর স্বজন, ভক্ত!

দেখেছি দাঁড়িয়ে লালে লাল হতে কারবালা খুনে সিক্ত!

হাশরের মাঠে রবের সমীপে পেশ করে আমি বলবো,

বিনিময়ে চাই, হে দয়াল প্রভূ, আমার উম্মত করো মুক্ত।”

 

মহা মানবের থাকে না হৃদয়ে প্রতিহিংসার জ্বালা!

জীবন মরণ করেন অর্পণ, দেন শত্রুর গলে মালা!

এমন প্রেমের অনুভূতি যাঁর, সেই তো মহাপুরুষ;

তিনিই পারেন ঢাকিয়া রাখতে শত্রুর যত দোষ!

 

তাই তো স্রষ্টা সৃষ্টি করেন প্রথমেই তাঁর রুহ্

শত জ্বালা তিনি সয়েছেন তবু করেননি কভূও উহ্!

মুখেই শুধু বলেননি খোদা, “নবী তাঁর বন্ধু, তিনি আল্লাহ্;”

কোরআনের মাঝে লিখে দিয়েছেন, মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ্(সাঃ)!

 

প্রথম সৃষ্টি; তবু এসেছেন নবী বেশে সবশেষে,

শ্রেষ্ঠ নবীর স্বীকৃতি খোদা দিয়েছেন ভালবেসে!

ভালবাসার স্বরূপ দেখিয়েছেন, ভালবেসে জনে জনে,

চাননি কখনও মানুষ জ্বলুক, জাহান্নামের আগুনে।

 

বন্ধু তিনি আল্লাহপাকের, আসবেন ধরণীতে নবী বেশে;

বেদ, পুরাণ আর যিন্দাবেস্তায় সে কথাটি লিখা আছে,

লিখা আছে আরও যাবুর, দিঘানিকায়া, তাওরাত, বাইবেলে

বলেছেন নবী(সাঃ), ধরণীকুল অসহায় হবে তাঁহার ইন্তেকালে 

 

আজ দেখি তাই বিশ্ব ব্যাপিয়া মানুষের হাহাকার!

মানুষের মত বেঁচে থাকার আজ নেই কারও অধিকার!

ইহলৌকিক অধ্যায় যবে হবে কেয়ামতে সমাধান,

এরই সাথে হবে বিশ্ব স্রষ্টার মহা কাব্যের অবসান।  

 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ