tofikul

Call

খালি পেটে বা খাবারের আগে রক্তের গ্লুকোজ পরীক্ষা (Fasting Blood Glucose) : এ পরীক্ষাটি সকালে নাস্তার আগে খালি পেটে করতে হয়। এ পরীক্ষাটির স্বাভাবিক মাত্রা ৬.১ মিলি মোল/লিটার বা তার কম হলে আপনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত নন। * খাবারের ২ ঘণ্টা পর রক্তের গ্লুকোজ পরীক্ষা (2 Hour After Breakfast) : এ পরীক্ষাটি নাস্তা খাওয়ার দুই ঘণ্টা পর করতে হয়। এর স্বাভাবিক মাত্রা ১০ মিলি মোল/লিটার বা তার কম হলে আপনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত নন। * যে কোনো সময় রক্তের গ্লুকোজ পরীক্ষা (Random) : এ পরীক্ষাটি দিনের যে কোনো সময় করা যেতে পারে। ওই পরীক্ষাটির স্বাভাবিক মাত্রা ৫.৫ থেকে ১১.১ মিলি মোল/লিটার পর্যন্ত ধরা হয়। * ওরাল গ্লুকোজ টলারেন্স টেস্ট (OGTT) : যাদের খালি পেটে FBG ৬.১ এর বেশি কিন্তু ৭.০ মিলি মোল/লিটারের কম কিংবা দিনের যে কোনো সময় ৫.৫ এর বেশি কিন্তু ১১.১ মিলি মোল/লিটারের কম, তাদের এ পরীক্ষাটি করা খুবই জরুরি। কারণ এ পরীক্ষাটির মাধ্যমে কারও ডায়াবেটিস আছে কি নেই সে ব্যাপারে নিশ্চত হওয়া যাবে। এ পরীক্ষাটির জন্য রোগীকে প্রথমে খালি পেটে রক্ত দিতে হবে। এরপর ৭৫ গ্রাম গ্লুকোজ পানিতে মিশিয়ে খেতে হবে এবং ঠিক দুই ঘণ্টা পর রোগীকে আবার রক্ত দিতে হবে। এই দুই ঘণ্টা রোগী অন্য কোনো খাবার খেতে পারবেন না এবং কোনো ধরনের শারীরিক পরিশ্রমের কাজও করতে পারবেন না। ধূমপান করা যাবে না। এ পরীক্ষায় যে রোগীর খালি পেটে ৭.০ মিলি মোল/লিটারের চেয়ে বেশি এবং দুই ঘণ্টা পর ১১.১ মিলি মোল/লিটারের চেয়ে বেশি হলে তাকে নিশ্চিত ডায়াবেটিসের রোগী হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে। নিয়ম হলো একজন সুস্থ-সবল মানুষ প্রতি বছর একবার করে তার রক্তের গ্লুকোজের মাত্রাটি জেনে নেবেন। এতে তিনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত কিনা তা জানতে পারবেন। অনেকে রয়েছেন, তারা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেশি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন; কিন্তু জানেনই না তিনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। আর এ রকমটি হলে এটি যে কোনো সময় আপনার জীবনের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই আজই যে কোনো ডায়াবেটিস সেন্টারে গিয়ে আপনার রক্তের গ্লুকোজের সঠিক মাত্রাটি জেনে নিন ও সুস্থ দেহে নিরাপদ থাকুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আপনি যদি রাতে স্বাভাবিক খাবার খেয়ে সকালে খালি পেটে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করে রক্তে চিনির মাত্রা ৫.৮ মিলিমোলের চেয়ে কম পান তাহলে ধরে নিতে হবে আপনার একটুও ডায়াবেটিস নেই। কিন্তু যদি চিনির মাত্রা ৫.৮ এর বেশি অথচ ৭.৮ মিলিমোলের কম হয় তাহলে আপনার ডায়াবেটিস হওয়ার বেশ ঝুঁকি আছে। এটাকে বর্ডার লাইন বা মার্জিন পয়েন্ট বলে। তাই এটাকে বর্ডার লাইন ডায়াবেটিস বলে ধরা হয়। এছাড়া রক্তে যদি চিনির মাত্রা ৭.৮ মিলিমোলের বেশি হয়, তবে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত বলে মনে করা যায়। তবে শুধু খালিপেটে পরীক্ষাটিই ডায়াবেটিস নির্ণয়ের জন্য যথেষ্ট নয়। খালিপেটে নির্ণয়ের পর ৭৫ গ্রাম গ্লুকোজ পানিতে গুলে খেয়ে দুই ঘণ্টা পর রক্তে আবার চিনির মাত্রা পরীক্ষা করা দরকার। এ ক্ষেত্রে যদি চিনির মাত্রা ৭.৮ মিলিমোল বা তার থেকে কম হয়, তবে ডায়াবেটিস নেই। যদি ৭.৮ এর বেশি, কিন্তু ১১ মিলিমোল বা তার চেয়ে কম হয়, তবে বর্ডার লাইন ডায়াবেটিস বলে ধরে নেয়া যায়। আর যদি চিনির মাত্রা ১১ মিলিমোলের বেশি হয়, তবে ডায়াবেটিস আক্রান্ত বলে ধরে নিতে হয়। এক্ষেত্র ডাক্তার কে সরাসরিভাবে বলা ভালো হয় ,।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
microbeslab

Call

আমাদের শরীরে এক ধরনের হরমোন রয়েছে যার নাম ইনসুলিন, যার কাজ হল রক্তে শর্করা বা সুগার বা গুলুকজের মাত্রা বজায় রাখে কিন্তু ইনসুলিন যখন অগ্নাশয় থেকে সঠিক পরিমানে নিঃসৃত হতে পারেনা, বা আমাদের কোষগুলো ইনসুলিনের উপর কোনো রেসপন্স করেনা তখন আমাদের রক্তে গ্লুকোজের পরিমান বেড়ে যায়। ফলে আমাদের যে রোগটি দেখা যায় তা হল ডায়াবেটিস মেলিটাস যাকে আমরা ডায়াবেটিস বলে থাকি এটি আবার মুলত তিন ধরনের হতে পারে।

  • টাইপ ১ ডায়াবেটিস
  • টাইপ ২ ডায়াবেটিস
  • গ্যাট্রোইনটেসটিন্যাল ডায়াবেটিস

 

এখন আমরা ডায়াবেটিস মাপার বিষয়ে সব কিছু জেনে নেব

গ্লুকোজের মাত্রা মাপার একক

সাধারণত গ্লুকোজ লেভেল দুটি একক দিয়ে মাপা হয়ে থাকে

  • মিলিমোল/ লিটার (mmol/l)
  • মিলিগ্রাম/ ডেসিলিটার (mg/dl)


ডায়াবেটিস কিভাবে মাপা হয়

ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়মিত রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। এতে রোগীর খাদ্যাভ্যাস, শরীরচর্চা ও ওষুধের দ্বারা রক্তে শর্করার মাত্রা কতটা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে তা বোঝা যায়। তবে তার জন্য প্রতিবার হাসপাতাল যাওয়া চাইতে একটি গ্লুকোমিটার কেনা অনেক সাশ্রয়ী এবং ঝামেলা মু্ক্ত। গ্লুকোমিটার নামের যন্ত্রটি ব্যবহার করে আমরা বাড়িতে বসেই রক্তে শর্করার মাত্রা নির্ণয় করতে পারি। এই যন্ত্র ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতিও জানা থাকা দরকার।

ডায়াবেটিস কত পয়েন্ট হলে নরমাল

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ