NirobAhmad

Call

ভাই থ্রী জি মানে থার্ড জেনারেশান।

মানে আপনার ফোনের নেটওয়ার্ক স্পীড নির্ভর করছে আপনার ফোনে   2g/3g/4g কোন টেকনোলোজি ইউজ করা হয়েছে।এখানে কথা হলো আপনার ফোনে 3g থাকলেই হবেনা।আপনাকেও আপনার অপারেটর এর থ্রিজি কভারেজ এ থ্রিজি প্যাকেজ ইউজ করতে হবে।।

আর আপনার ফোনের স্পীড কেমন হবে তা নির্ভর করবে র‍্যাম এর উপর।।

রম বলতে এককথায় ইন্টার্নাল মেমরী বুঝায়।যেখানে আপনার ফোনের অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করা থাকে সেই সাথে আপনি এটাকে ইন্টার্নাল মেমরী হিসেবেও ইউহ করতে পারেন।।

আর প্রসেসর হলো যেটা আপনার পুরো ফোন কে প্রসেস করে থাকে।।।।।

Talk Doctor Online in Bissoy App
Fikar

Call

Ram কি? 

অনেক গুলো ফাইল একসাথে রাখার জন্য আপনি যে আলাদা ডেস্ক সংযোজন করলেন সেটি হলো RAM। র্যাম প্রচন্ড গতি সম্পূর্ণ একটি মেমোরি হয়। একটি ৩২জিবি বা ৬৪ জিবি স্টোরেজ মেমোরি বানাতে যে খরচ পরে সেই খরচ একটি ১ জিবি RAM বানাতে পরে যায়। এটি অত্যন্ত গতি সম্পূর্ণ একটি মেমোরি, হার্ডড্রাইভ বা যেকোনো সাধারন স্টোরেজ যেমন আপনার ফোন এর মেমোরি বা মেমোরি কার্ড বা পেনড্রাইভ কখনই RAM এর কাজ করার গতির সাথে পেরে উঠতে পারবেনা। স্টোরেজ থেকে সিপিইউ কে যেকোনো ফাইলস দ্রুত গতিতে পাঠানোর জন্য RAM কাজ করে থাকে। আপনি আপনার ফোনে যেসব গেম ইন্সটল করেন কিংবা অ্যাপ ইন্সটল করেন সেগুলো আপনার স্টোরেজ এ ইন্সটল হয়, আপনার ফোন এর RAM এ ইন্সটল হয় না। যখন আপনি কোনো অ্যাপ কে রান করান তখন সেই অ্যাপটি স্টোরেজ থেকে উঠে র্যামে চলে আসে, যেন আপনি যতক্ষণ সেই অ্যাপটি ব্যবহার করবেন ঠিক ততোক্ষণ সেই অ্যাপটির ডাটা গুলো সিপিইউ এর কাছে খুব দ্রুত পাঠানো সম্ভব হয়।

এখন মনে করুন আপনি কম RAM এর ফোন ব্যবহার করছেন। তাহলে কি হবে, মনে করুন আপনি একসাথে ৪ টি অ্যাপ ব্যবহার করছেন। তাহলে সেই ৪ টি অ্যাপ স্টোরেজ থেকে RAM এ চলে যাবে এবং তা অত্যন্ত দ্রুত গতিতে সিপিইউ তে সরবরাহ হতে থাকবে। এবার মনে করুন আপনি ৫ নম্বর অ্যাপ চালু করলেন কিন্তু আপনার RAM কম হওয়ায় একসাথে ৫ টি অ্যাপ অন রাখতে পারবেনা। এর ফলে আগের ৪ টি অ্যাপ থেকে যেকোনো একটি অ্যাপ বা একাধিক অ্যাপ RAM থেকে পরিষ্কার হয়ে যাবে এবং ৫ নম্বর অ্যাপটি চালু হবে। আপনি আবার যদি পুরাতন অ্যাপ গুলোকে রান করাতে চান তবে তা রান করতে দেরি হবে। কেনোনা সেই অ্যাপ গুলো আবার নতুন করে RAM এ উঠে আসবে এবং রান হবে। এজন্যই যতো বেশি RAM হবে ততো বেশি মাল্টিটাস্কিং এর উপযোগী হবে আপনার ফোনটি। আপনি ১০, ১৫, ২০ টি অ্যাপ একসাথে অন রাখতে পারবেন কোনো প্রকার ঝামেলা বা ল্যাগিং সমস্যা ছাড়াই। স্মার্টফোনের জন্য কতটুকু র্যাম দরকার এতক্ষণের আলোচনায় নিশ্চয় এটা বুঝে গেছেন যে আপনার ফোনটিতে যতো বেশি RAM থাকবে আপনি ততো বেশি কার্যক্ষমতা পেতে পারবেন। তারপরও একটা ঠিকঠাক উত্তর দেয়ার চেষ্টা করছি। দেখুন, আজকালকার আধুনিক স্মার্টফোন এবং অ্যাপ গুলোর দিক বিবেচনা করলে ফোনে ২ জিবি RAM থাকাটা অত্যাবশ্যক। কেনোনা আজকাল অ্যাপ গুলো দিনদিন উন্নত হওয়ার সাথে সাথে সাইজেও অনেক বড় হচ্ছে। আপনি সাধারন ফেসবুক অ্যাপ এর কথাই বলুন না কেনো, এটিই প্রায় ২০০-৩০০ এমবি জায়গা দখল করে র্যামে। এভাবেই যে অন্য অ্যাপ গুলো আছে সেগুলো দিনদিন সাইজে অনেক বড় হচ্ছে এই জন্য এর সাথে সাথে র্যাম এর ব্যবহার ও বেড়ে চলেছে। এই জন্য আপনি যদি মনে করেন যে আপনি আপনার ফোন এ ঠিকঠাক মাল্টিটাস্কিং করবেন, কিংবা যদি মনে করেন যে আপনার ফোনটি অনেক দ্রুত কাজ করবে তাহলে ২ জিবি RAM থাকাটা অত্যাবশ্যক। যদি ৩ জিবি বা ৪ জিবি RAM এর প্রশ্ন করেন যে এগুলো কি জরুরী! তবে আমি বলবো, দেখুন আজকের দিনে ৩ জিবি বা ৪ জিবি RAM থাকাটা জরুরী নয়, আপনি ২ জিবি দিয়েই অনেক আরামে কাজ করতে পারবেন। কিন্তু যদি ৩ জিবি বা ৪ জিবি থাকে তবে তা ভবিষ্যৎ এর জন্য খুব ভালো হবে। কেনোনা RAM আপনার ফোনের এমন একটি যন্ত্রাংশ যেটি আপনি পরবর্তীতে আপগ্রেড করতে পারবেন না। এটি ফোন এর স্টোরেজ এর মতো নয় যে আপনার ফোনে মেমোরি কার্ড এর স্লট আছে আপনি ইচ্ছা মতো ১৬ জিবি ৩২ জিবি লাগিয়ে ফেলবেন। RAM শুধু মাত্র কম্পিউটার এর ক্ষেত্রে বাড়ানো সম্ভব, স্মার্টফোনে কখনোয় সম্ভব নয়।

অনেক ব্যবহারকারী রয়েছেন যারা মনে করেন যে স্মার্টফোনে বাড়ানো সম্ভব, ফোনটি রুট করে এতে RAM বাড়ানোর অ্যাপ ব্যবহার করলেই RAM বৃদ্ধি পেয়ে যাবে। আসলে এটি একটি ভুল ধারনা। তবে হাঁ, কিছুকিছু অ্যাপ আছে যা দ্বারা আপনার স্টোরেজ মেমোরিকে RAM পরিবর্তন করিয়ে দেয়। কিন্তু আপনি ভেবে দেখুন আমি আগেই বলেছি RAM একটি অত্যন্ত দ্রুত গতি সম্পূর্ণ মেমোরি, এখন একটি সাধারন মেমোরি দিয়ে কি সেই গতিতে কাজ করা সম্ভব? উত্তর হলো না, তা কখনোয় সম্ভব না। র্যাম বাড়াতে গিয়ে উলটা আপনার ফোন স্লো হয়ে যাবে। তাছাড়াও উইন্ডোজ কম্পিউটারেও পেনড্রাইভ লাগিয়ে RAM বাড়ানোর অনেক কৌশল দেখে থাকবেন হয়তো। কিন্তু বাস্তবিক ভাবে একটি পেনড্রাইভ কখনোয় একটি RAM এর সমতুল্য হতে পারে না।

Ram এর ধরনঃ

RAM এর আরেকটি আসল বিষয় হলো এর ধরন। সকল ২ জিবি RAM এক প্রকারের হয়না আবার সকল ৪ জিবি RAM ও এক প্রকারের হয়না। যেমনটা আপনারা জানেন যে প্রসেসর এর মধ্যেও স্পীড এর পার্থক্য আছে ঠিক তেমনই RAM এর স্পীড এর ও পার্থক্য থাকে। প্রসেসর এর স্পীড কাজ করে একটি ক্লক এবং গিগাহার্জ এর রূপে। ঠিক তেমনি RAM এর ভেতরও ক্লক স্পীড থাকে। বিভিন্ন ক্লক স্পীড এর RAM থাকে। যেমনঃ ৮০০ মেগাহার্জ, ১,০০০ মেগাহার্জ কিংবা ১,৪০০ মেগাহার্জ। যতো মেগাহার্জ বেশি হবে RAM ততো বেশি গতি সম্পূর্ণ হবে।

যতটা পারেন বেশি র্যাম ওয়ালা ফোন কিনে ফেলুন, এতে কোনো ক্ষতি হবে না বরং ভবিষ্যতে কাজে আসবে এবং আপনার ফোনটিকে আপনি অনেক দিন পর্যন্ত চালাতে পারবেন। আশা করি, RAM নিয়ে সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম হয়েছি। 


Ram= Random Access Memory
Rom= Read Only Memory
ROM এ ডাটা থাকে স্থায়ী ভাবে।
RAM এ ডাটা থাকে অস্থায়ী ভাবে ।

আর প্রসেসর হলো যেটা আপনার পুরো ফোন কে প্রসেস করে থাকে।।।।

Talk Doctor Online in Bissoy App