প্রথমত কেউ তার পূর্বপুরুষের আগে মারা গেলে, সে আর মিরাস পায় না। এটাই নিয়ম- সর্বক্ষেত্রে। আর এখানেও ছেলে মারা যাওয়ার কারণে সে মিরাস পাবে না। আর ছেলে না পেলে তার বংশধর হয়ে নাতি সেই মিরাস পাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। দ্বিতীয়ত ছেলে ওয়ারিশ হয় 'আসাবা' হিসেবে। আর আসাবা হল- ফারায়েজের অধিকার প্রত্যেকের অংশ অনুযায়ী দেওয়ার পর যা থাকে, তা যারা নিয়ে নেয়- তারাই আসাবা। সে হিসেবে ছেলের মতো নাতিকেও যদি আসাবা ধরা হয়, তবু সে সর্বোচ্চ এক চতুর্থাংশ বা এধরনের অংশ পাবে। খুব বেশি পাবে না। অপরদিকে ওয়ারিশদের জন্য অসিয়ত বা উইল করার সিস্টেম নেই। কিন্তু ওয়ারিশ ছাড়া যে কারো জন্য উইল করা যায়। এমতাবস্থায় নাতি যদি ওয়ারিশ হয়, তাহলে পাবে এক চতুর্থাংশ। কিন্তু ওয়ারিশ না হলে দাদা তাকে উইল করে এক তৃতীয়াংশ দিয়ে দিতে পারে। মোটকথা, নাতি ওয়ারিশ না হয়েও বিপুল সম্পত্তি পাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে ইসলাম। যা সে ওয়ারিশ হলে পেত না। তাই এই আইন সম্পূর্ণ যৌক্তিক এবং ভারসাম্যপুর্ণ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ