ডাক্তারকে দেখানো পর ঠিক হচ্ছেনা কি ওষুধ খেতে হবে?? আর কি কি খাবার খেতে হবে??
উচ্চ রক্তচাপকে এক ধরনের নীরব ঘাতক বলা হয়ে থাকে, কারণ খুব সহজে এর উপসর্গ বোঝা যায় না, কিন্তু নীরবে হৃৎপিণ্ডের ক্ষতিসাধন করে থাকে।
১। প্রতিদিনের খাবার থেকে লবনকে বাদ দিন। লবণ উচ্চ রক্তচাপের জন্য ভীষণ বিপজ্জনক। বেশীরভাগ ফাস্টফুডে বা যে সব খাবারে প্রিজারভেটিভ দেয়া থাকে তাতে সোডিয়ামের মাত্রা অনেক বেশি থাকে। তাই সবার প্রথমে এসব খাবারকে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিন।
২। হাল্কা ব্যায়াম হতে পারে আপনার উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনের আরেকটি চমত্কার কৌশল। সঠিক খাদ্যাভাস আর নিয়মিত ব্যায়াম একসঙ্গে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করবে,যা আপনাতেই উচ্চ রক্তচাপের সম্ভাবনা কমিয়ে আনে।
৩। উচ্চ রক্তচাপ আপনার অজান্তেই হৃৎপিণ্ড’র রক্ত চলাচলের স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকেও বাধাগ্রস্ত করতে পারে। ফলে স্ট্রোকের সম্ভাবনাও অনেক গুন বেড়ে যায় । তাই ডাক্তারের পাশাপাশি আপনি ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতিও চেষ্টা করে দেখুন। প্রতিদিনের কিছু বাজে অভ্যাস যেমন ধূমপান ছেড়ে দিন। ওজন নিয়ন্ত্রনে নিয়মিত ব্যায়াম এবং খাদ্যভ্যাসে সামান্য পরিবর্তন আনুন।
৪। ইদানিংএই ঘরোয়া চিকিত্সার ধারনা দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এটা শরীরে দ্রুত এবং নিরাপদ ভাবে কাজ করে। তবে আপনি যদি স্ব চিকিত্সা করতেই চান, তাহলে প্রথমে একজন স্বাস্থ্য সেবাপ্রদানকারী সাথে কথা বলে নিন। যা করবেন, অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ মেনেই।
৫। অন্তত আধা ঘণ্টা ব্যায়াম উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে দেয় ৬ থেকে ৮ ইউনিট। ইয়োগা বা মেডিটেশন রক্তচাপ কমায়। উন্মুক্ত বাতাসে অন্তত পাঁচ মিনিট ধীরে ধীরে এবং দীর্ঘ দম নিলে রক্তচাপ কমে।