কত বছর হলে সন্তান মা বাবার সাথে শুতে পারবে না? যদি বিশেষ কোন কারণ থাকে যেমন জীনের ভয়, তাহলে কি ব্যতিক্রম? ইসলামি নিয়মানুসারে জানান দয়া করে।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

ছেলে সন্তানের দশ বছর বয়স হলে সন্তান মায়ের সাথে এবং মেয়ে বাবার সাথে শুতে পারবে না। যদি বিশেষ কোন কারণ থাকে যেমন জীনের ভয়, তাহলে কি ব্যতিক্রম নয়।

ইসলামি নিয়মানুসারে সন্তানের বিছানা পৃথক করে দেওয়া সম্পর্কিত হাদীসটি নিম্নরূপঃ-

মুআম্মাল ইবনু হিশাম...আমর ইবনু শুআয়েব (রহঃ) থেকে পর্যায়ক্রমে তাঁর পিতা এবং দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি (দাদা) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ যখন তোমাদের সন্তানরা সাত বছরে উপনীত হবে, তখন তাদেরকে নামায পড়ার নির্দেশ দেবে এবং তাদের বয়স যখন দশ বছর হবে তখন নামায না পড়লে এজন্য তাদেরকে মারপিট কর এবং তাদের 'ছেলে-মেয়েদের' বিছানা পৃথক করে দিবে।

(সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ), অধ্যায়ঃ ২/ সালাত, হাদিস নম্বরঃ ৪৯৫ হাদিসের মানঃ হাসান)।

এ হাদীসে সন্তানের বয়স দশ বছর হলে তার শোয়ার বিছানা পৃথক করার হুকুম এসেছে। অবশ্য একটি বর্ণনায় সাত বছর বয়সেই বিছানা পৃথক করে দেওয়ার কথা এসেছে।

মুসতাদরাকে হাকীম, ৭৩৪ হাদীস ও ফিকহবিদগণ সূনানে আবু দাউদের উক্ত হাদীসের উপর ভিত্তি করে সন্তানের বয়স দশ বছর হলে তার শোয়ার বিছানা পৃথক করে দেওয়াকে ওয়াজিব বলেছেন। এ বয়সে ছেলের জন্য মার সাথে এবং মেয়ের জন্য বাবার সাথে একই বিছানায় শোয়া নিষেধ। অবশ্য বাবার সাথে এক ছেলে এবং মায়ের সাথে শুধু এক মেয়ে একই বিছানায় শোয়ার অবকাশ আছে।

বিছানা পৃথক হওয়ার পদ্ধতি:

বিছানা পৃথক হওয়ার অর্থ এই নয় যে, প্রত্যেক সন্তানের জন্য ভিন্ন ভিন্ন রুমের ব্যবস্থা করে দিতে হবে; বরং একই রুমে ভিন্ন খাট, চকি বা ভিন্ন বিছানার ব্যবস্থা করলেও চলবে। আর যদি তাদের জন্য পৃথক পৃথক বিছানার ব্যবস্থা করা সম্ভব না হয় বরং সকলকে এক বিছানাতেই রাত্রিযাপন করতে হয় সেক্ষেত্রে এ বয়সের সন্তানদের মাঝে কোল বালিশ বা এ ধরনের কোনো কিছু দিয়ে হলেও আড়াল রাখা আবশ্যক। আর মেয়েদের বিছানা বাবা ও ছেলেদের থেকে সম্পূর্ণ পৃথক হওয়া জরুরি। এক্ষেত্রে শুধু কোল বালিশ রাখা যথেষ্ট নয়। (আদ্দুররুল মুখতার, রদ্দুল মুহতারঃ ৬/৩৮২)।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ