আস্সালামু আলাইকুম। গত বছর জুনে আমার বিয়ে হয়। যখন মেয়ে দেখতে যাই তখন ওরা চালাকি করে মেয়েকে পার্লার থেকে সাজিয়ে হিজাব পড়িয়ে নিয়ে আসে। আমি বুঝতে পারিনি। আমার পছন্দ হয়। আমি একাই গিয়েছিলাম। পরে বাবা মা বোন সহ দেখতে যাই তাও একই অবস্থা। কিন্তু বিয়ের পর বাসায় আনার দু’দিন পর দেখি আমার স্ত্রীর মাথায় চুল নাই। এরপর ঘটনা আর কি বলব। আমি খুব শকড হই। ভয়ানক ভাবে ভেংগে পড়ি। এর মাঝে আমার মা বাবা বোনরা বোঝায় যা হইসে আল্লাহর ইচ্ছায়। তারা আমাকে মেনে নিতে । বলে বাচ্চা নিয়ে নে দেখবি সব ঠিক হয়ে যাবে। আমার তখন ভয়ানক অবস্থা। তারপরও মনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ঠিক করি কন্টিনিউ করব। ও কনসেপ্ট করে। এরই মাঝে আমার মন আর মানে না। তখন আমার এক্স গার্ল ফ্রেন্ড আমার কাছে আসে এবং আমি ওকে বিয়ে করতে চাই কিন্তু আমার বাবা মা আমার মামা শ্বশুরকে ডেকে আমার নামে অনেক কিছু বলেন যে আমি পরকীয়া করছি হেন তেন।(আমার পরিবার খুব সাধারন) এই সুযোগটা ওরা নিয়ে নেয়। এরই মধ্যে এই ঝামেলা গুলির মাঝে আমার একটা মেয়ে হয়। এখন ওরা কথায় কথায় আমাকে আর আমার পরিবারকে নারী নির্যাতন মামলার ভয় দেখাচ্ছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার আমি আমার স্ত্রী-কে এখনও মন থেকে মেনে নিতে পারিনি। আর আমাদের সম্পর্কও এতটা ভালনা। সংক্ষেপে আপনাকে সব বললাম।

এখন আমার কি করনীয় আছে ? কি করলে আমাদের জন্য ভালো হবে ? আমি যদি ডিভোর্স দেই তবে ওরা কি কাবিনের টাকা ছাড়া আর ক্ষতিপুরন দাবি করতে পারবে ? ওরা কি নারী নির্যাতন মামলা বা আমার নামে কোন মামলা করতে পারবে? আসলে এভাবে থাকতেও আর ভাল লাগছেনা। আর আমার স্ত্রীও আমাকে ডিভোর্স দিবেনা নিজ থেকে। স্যার আশা করছি আমার সমস্যাটার উপযুক্ত সমাধানের পরামর্শ আপনার কাছ থেকে পাবো। ধন্যবাদ।


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আপনি একজন ভালো উকিলের সাথে যোগাযোগ করুন আর সব বিষয়গুলো আলোচনা করুন| এই সব বিষয়ে আপনাকে কেবল উকিলেরাই স্বচ্ছ ধারনা দিতে পারে|

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

কাবিলের টাকা ছাড়াও অনন্য ক্ষতি পূরণ দাবি করতে পারে এবং মামলাও করতে পারে | মামলার রায় কি হবে তা আদালত তদন্ত,সাক্ষী,যুক্তি সাপেক্ষে নিধার্রণ করবে | মামলায় না গিয়ে বিষয়টি পারিবারিকভাবে স্হানীয় সরকার যেমনঃ মেম্বার,চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দিয়ে শালিস বৈঠকের মাধ্যমে সমাধান করুন | কারন, আদালতে গেলে অনেক টাকা,সময়,সম্মান নষ্ট হবে এবং মামলায় আপনি জয়ী হবে কি না তা অনিশ্চিত |

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
QImran

Call

আমি অবিবাহিত তারপরও  আমি আমার মতামত দিচ্ছি ভুল হলে ক্ষমা করবেন। 
মারাত্মক অপরাধ ধোকা বা প্রতারণা করা। হোক তা ছোট কিংবা বড় মানুষের সঙ্গে; হোক কিংবা বন্য পশুর সঙ্গে হোক। ইসলামে ধোকা হারাম।

প্রিয় নবির (সা.) ঘোষণা- তিনি বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ধোকা দেয় বা প্রতারণা করে সে আমার দলভূক্ত নয়।’ (মুসলিম, মিশকাত)।

প্রিয় নবি (সা.) কিন্তু এ কথা বলেননি- যে নামাজ পড়বে না সে আমার দলভুক্ত নয় কিংবা যে রোজা রাখবে না সে আমার দলভুক্ত নয়। অথচ নামাজ ও রোজা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। যা তরক করলে অনেক গোনাহ হওয়া সত্ত্বেও প্রিয় নবি (সা.)‘দলভুক্ত নয়’ বলে ঘোষণা দেননি।

সুতরাং মানুষের উচিত, ধোকা বা প্রতারণা থেকে বিরত থাকা। কেননা, ধোকা বা প্রতারণার দ্বারা মানুষ বিশ্বনবির (সা.) জামাআত থেকে বের হয়ে যায়।

এছাড়াও ধোকা বা প্রতারণায় দুনিয়া ও পরকালে রয়েছে বেশ কিছু ক্ষতি।
আপনি একটা কাজ করতে পারেন আপনার স্ত্রী যদি নামাজ রোযা  না করেন তাহলে তালাক দিয়ে দিন।কাারন ওতো আপনাকে ধোকা দিয়েছে।তাাাইই ইসলামিক পথে চললে ক্্ষমা করেন











ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ