Manik Raj

Call

আপনি আপনার বাবাকে প্রশ্ন করুন দাড়ি না রাখার জন্য আপনি আমাকে নিষেধ করেন কেনো!!! আশা করি আপনার বাবাই এই প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিতে পারবেন!!!

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আপনি রাসূল (সঃ) কথা শুনবেন , না পিতার কথা শুনবেন । রাসূল ( সঃ) আপনাকে জান্নাতের দিকে ডাকতেছেন । আর আপনার পিতা আপনাকে তার উল্টা বলতেছেন । ভাই আপনি দাড়ি রাখুন । আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সঃ) খুশি হবেন । আপনি অবশ্যই দাড়ি রাখার গুরুত্ব জানেন । তাই সংক্ষেপে বললাম ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Abtahy

Call

আল্লাহর রাসুল (সাঃ) বলেছেন - তোমরা পিতা - মাতার অবাধ্য হয়োনা যতক্ষণ না তারা তোমাকে ইসলামী শরীয়াহ মানতে অবাধ্য করে।

আল হাদীস 

তার মানে আপনার প্রশ্ন অনুযায়ী এটি ইসলামী শরীয়াতের স্পষ্ট লঙ্ঘন। যা আপনি মানতে বাধ্য নই। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
MD Sifat

Call

ইসলামী শরীয়তকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য আজকাল সমাজে নয়া নয়া মুফতী গজাতে দেখছি। বড়ই দুঃখ হয়, যখন এ সমাজের কলিমুদ্দীন-ছলিমুদ্দীন থেকে শুরু করে বাজারের কালু নাপিত আর আর চা স্টলের ভুলু চাচাকেও ফতোয়া দিতে দেখি। কপি-পেস্ট আর গুগল মামার সহযোগীতায় এরা শরীয়তকে দিল্লীর হাওয়ায় কা লাড্ডু (যু খায়ে ওহ পস্তায়া, আওর যু না খায়ে ওয়াভি পস্তায়া) ভাবা শুরু করেছে! অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, শরীয়ত খুব বিপদে, যেন এদের হাতে জিম্মি। এখানে যার যত থুতনীর জোর, সে তত বড় মুফতী, যেন শরীয়ত আজ এদের হাতে বন্দি..!!( অন্তত আল্লাহকে ভয় করুন!) ভাই, বিস্ময় অ্যানসারে এই উন্মুক্ত প্লাট ফরমে, আপনার প্রশ্নের উত্তরে নিজের সাফাই গেয়ে অনেকে অনেক ভাবেই দলীলশূন্য মনগড়া ফতোয়া দিয়েছেন! যা আরেক বিস্ময়!! ও হ্যা, আরেকটি কথা.. সৌদিআরব আমাদের আদর্শ নয়, আমাদের আদর্শ মহানবী (সাঃ)। চলুন, এবার পবিত্র কুরআন ও সহীহ হাদীস থেকে এবিষয়টি নিয়ে একটু বিস্তারিত ভাবেই আলোচনা করা যাক। হাদীস ও সুন্নাহর বিধান অনুযায়ী দাড়ি রাখা ওয়াজিব। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাড়ি রাখার আদেশ করেছেন। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. বলেন, ‘আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মোঁচ কাটার ও দাড়ি লম্বা করার আদেশ করেছেন।’ ﺇﻧﻪ ﺃﻣﺮ ﺑﺈﺣﻔﺎﺀ ﺍﻟﺸﻮﺍﺭﺏ ﻭﺇﻋﻔﺎﺀ ﺍﻟﻠﺤﻴﺔ -সহীহ মুসলিম ১/১২৯ বিভিন্ন হাদীসে আদেশের শব্দগুলোও বর্ণিত হয়েছে। যেমন- ﺧﺎﻟﻔﻮﺍ ﺍﻟﻤﺸﺮﻛﻴﻦ، ﻭﻓﺮﻭﺍ ﺍﻟﻠﺤﻰ ﻭﺍﺣﻔﻮﺍ ﺍﻟﺸﻮﺍﺭﺏ ‘মুশরিকদের বিরোধিতা কর। দাড়ি বাড়াও ও মোচ কাট।’ (আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা.-এর সূত্রে বুখারী ২/৮৭৫) ﺧﺎﻟﻔﻮﺍ ﺍﻟﻤﺸﺮﻛﻴﻦ، ﻭﺍﺣﻔﻮﺍ ﺍﻟﺸﻮﺍﺭﺏ ﻭﺃﻭﻓﻮﺍ ﺍﻟﻠﺤﻰ ‘মুশরিকদের বিরোধিতা কর এবং মোচ কাট ও দাড়ি পূর্ণ কর।’ (ইবনে ওমর রা.-এর সূত্রে মুসলিম ১/১২৯) ﺍﻧﻬﻜﻮﺍ ﺍﻟﺸﻮﺍﺭﺏ ﻭﺍﻋﻔﻮﺍ ﺍﻟﻠﺤﻰ মোচ উত্তমরূপে কাট এবং দাড়ি লম্বা কর। (ইবনে ওমর রা.-এর সূত্রে বুখারী ২/৮৭৫) ﺟﺰﻭﺍ ﺍﻟﺸﻮﺍﺭﺏ ﻭﺍﺭﺧﻮﺍ ﺍ ﻟﻠﺤﻰ، ﺧﺎﻟﻔﻮﺍ ﺍﻟﻤﺠﻮﺱ মোচ কাট ও দাড়ি ঝুলিয়ে দাও, অগ্নিপূজারীদের বিরোধিতা কর।’ (আবু হুরায়রা রা.-এর সূত্রে মুসলিম ১/১২৯) উপরের হাদীসগুলোতে চারটি শব্দ পাওয়া গেল : ﺍﺭﺧﻮﺍ ـ ﺍﻋﻔﻮﺍ ـ ﺃﻭﻓﻮﺍ ـ ﻭﻓﺮﻭﺍ এই সবগুলো শব্দ থেকে বোঝা যায়, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লম্বা ও পূর্ণ দাড়ি রাখার আদেশ করেছেন। সুতরাং এভাবেই দাড়ি রাখা ওয়াজিব। এখানে কয়েকটি বিষয় জেনে রাখা দরকার : ১. দাড়ির বিধানটি শরীয়তের একটি মৌলিক ও সাধারণ বিধান। একে নিছক আরবীয় রীতি বা বিশেষ স্থান-কালের মধ্যে সীমাবদ্ধ মনে করা মারাত্মক ভ্রান্তি। এ প্রসঙ্গে হাদীস শরীফের বাণী সুস্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন। এক. উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রা. বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দশটি বিষয় ‘ফিতরাতে’র অন্তর্ভুক্ত : মোচ কাটা, দাড়ি লম্বা রাখা, মিসওয়াক করা, নাকে পানি দেওয়া, নখ কাটা, চামড়ার ভাঁজের জায়গাগুলো ধৌত করা, বগলের নীচের চুল তুলে ফেলা, নাভীর নীচের চুল মুন্ডানো, (বাথরুমের প্রয়োজন পূরণের পর) পানি দ্বারা পরিচ্ছন্নতা অর্জন করা। বর্ণনাকারী বলেন, দশম বিষয়টি আমি ভুলে গেছি, যদি না তা হয় ‘কুলি করা।’-সহীহ মুসলিম আরবীতে ‘ফিতরাত’ শব্দের অর্থ স্বভাব। আল্লাহ রাববুল আলামীন যে উত্তম মানবীয় স্বভাব সৃষ্টি করেছেন তার সর্বোত্তম নিদর্শন নবী ও রাসূলগণ। এ কারণে ‘ফিতরাত’ শব্দটির অর্থ করা হয়েছে আদর্শ ও অনুকরণীয় স্বভাব, তথা নবী ও রাসূলগণের স্বভাব। তো হাদীস শরীফ থেকে বোঝা যাচ্ছে, মোচ কাটা ও দাড়ি রাখাই হচ্ছে পুরুষের স্বাভাবিক অবস্থা এবং সকল নবী- রাসূলের সুন্নাহ ও আদর্শ, যাঁদের অনুসরণের আদেশ কুরআন মজীদে করা হয়েছে। এই হাদীস থেকে আরো বোঝা যায়, দাড়ি মুন্ডানো হচ্ছে একটি বিকৃতি, কিন্তু ব্যাপক বিস্তারের কারণে অন্য অনেক বিকৃতির মতো এটাও এখন স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে; বরং পুরুষের শ্মশ্রূমন্ডিত স্বাভাবিক রূপটিই এখন দ্বিধা ও সংকোচের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই বিকৃতির সূত্রও আমরা কুরআন মজীদে পাই। হাকীমুল উম্মত আশরাফ আলী থানভী রাহ.ও আল্লাহর সৃষ্টিকে বিকৃত করার প্রসঙ্গে বলেছেন, এটা ফাসেকী কাজকর্মের অন্তর্ভুক্ত। যেমন দাড়ি মুন্ডানো, শরীরে উল্কি আঁকা ইত্যাদি। (-তাফসীরে বয়ানুল কুরআন ১/২/১৫৭) দুই. দাড়ির বিধান যে একটি মৌলিক বিধান তা ঐসব হাদীস থেকেও বোঝা যায়, যেখানে সরাসরি একে আল্লাহর আদেশ বা দ্বীনের অংশ বলা হয়েছে। বিখ্যাত তাবেয়ী ইমাম উবায়দুল্লাহ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে উতবা রাহ. বলেন, জনৈক অগ্নিপূজক আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসেছিল। তার দাড়ি মুন্ডানো ছিল ও মোচ লম্বা ছিল। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘এটা কী?’ সে বলল, ‘এটা আমাদের ধর্মের নিয়ম।’ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘কিন্তু আমাদের দ্বীনের বিধান, আমরা মোচ কাটব ও দাড়ি লম্বা রাখব।’ ﺟﺎﺀ ﺭﺟﻞ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﺠﻮﺱ ﺇﻟﻰ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺪ ﺣﻠﻖ ﺍﻟﻠﺤﻴﺔ ﻭﺃﻃﺎﻝ ﺷﺎﺭﺑﻪ ﻓﻘﺎﻝ ﻟﻪ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻣﺎ ﻫﺬﺍ؟ ﻗﺎﻝ : ﻫﺬﺍ ﻓﻲ ﺩﻳﻨﻨﺎ، ﻗﺎﻝ : ﻟﻜﻦ ﻓﻲ ﺩﻳﻨﻨﺎ ﺃﻥ ﻧﺠﺰ ﺍﻟﺸﺎﺭﺏ ﻭﺃﻥ ﻧﻌﻔﻲ ﺍﻟﻠﺤﻴﺔ. (-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ১৩/১১৬-১১৭, হাদীস : ২৬০১৩) উল্লেখ্য, পারস্য সম্রাটের উদ্দেশে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পত্র পাঠিয়েছিলেন। এ ঘটনা সহীহ বুখারীতে আছে। ইমাম উবায়দুল্লাহ ইবনে আবদুল্লাহ রাহ.-এর সূত্রেই তা বর্ণিত হয়েছে। তবে সেখানে তা আছে সংক্ষেপে। এ ঘটনা বিস্তারিতভাবে আছে ইতিহাসের কিতাবে। ইমাম ইবনে জারীর তবারী রাহ. যায়েদ ইবনে আবী হাবীব রাহ.-এর সূত্রে তা বর্ণনা করেছেন। তাতে আছে, ইয়েমেনের শাসকের পক্ষ থেকে দু’জন লোক আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এল। তাদের দাড়ি মুন্ডানো ছিল এবং মোচ লম্বা ছিল। তাদের চেহারার দিকে তাকাতেও আল্লাহর রাসূলের কষ্ট হচ্ছিল। তিনি তাদেরকে বললেন, তোমাদের মরণ হোক! এ কাজ করতে কে তোমাদেরকে বলেছে? তারা বলল, আমাদের প্রভু (কিসরা) আমাদেরকে আদেশ করেছেন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কিন্তু আমার রব আমাকে আদেশ করেছেন, দাড়ি লম্বা রাখার ও মোচ খাটো করার। ﻭﻟﻜﻦ ﺭﺑﻲ ﺃﻣﺮﻧﻲ ﺑﺈﻋﻔﺎﺀ ﻟﺤﻴﺘﻲ ﻭﻗﺺ ﺷﺎﺭﺑﻲ -আলবিদায়া ওয়ান নিহায়া ৩/৪৫৯-৪৬০ ২. কোনো কোনো হাদীসে দাড়ি লম্বা রাখার আদেশের সাথে মুশরিকদের বিরোধিতার কথাও বলা হয়েছে। এ থেকে বোঝা যায়, দাড়ি যেমন শরীয়তের একটি বিধান তেমনি তা মুসলমানের পরিচয়-চিহ্ন, যার দ্বারা মুমিন- মুসলমানকে প্রথম দৃষ্টিতেই আলাদা করে চেনা যাবে। এটি মুসলমানের জাতীয় চেতনাবাহী একটি বিষয়। অমুসলিমদের সাথে স্বাতন্ত্র রক্ষা ইসলামের একটি মৌলিক বিধান। বেশ-ভূষা, পর্ব-উৎসব, আইন-আদালত, শিক্ষা-সংস্কৃতি- এককথায় জীবনের সকল ক্ষেত্রে মুসলিম-স্বাতন্ত্র রক্ষা করা অপরিহার্য। আর তা হবে জীবনের সকল ক্ষেত্রে ইসলামী আদর্শের অনুসরণ ও অনৈসলামিক রীতি-নীতি পরিহারের মাধ্যমে। এ কারণে উপরোক্ত হাদীসসমূহে মুশরিক-মাজূস ও ইয়াহুদ-নাসারার বিরোধিতার যে আদেশ করা হয়েছে তা দাড়ির বিধানটিকে আরো তাকীদ করেছে এবং ভিন্ন মাত্রা দান করেছে। বর্তমান সময়ে এর গুরুত্ব অনেক বেশি এবং ছওয়াব ও ফযীলতও ইনশাআল্লাহ অনেক বেশি। কারণ অমুসলিমদের বিকৃতি এখন মুসলমানদের মাঝেও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে এবং অনেক ভালো মানুষও শুধু সমাজের অনুকরণ করতে গিয়ে এই বিকৃতিকে গ্রহণ করেছে। এটা নিঃসন্দেহে ‘ফাসাদুল উম্মাহ’ বা উম্মতের অধঃপতন ও আদর্শত্যাগের একটি দৃষ্টান্ত। সুতরাং এ সময় দাড়ি রাখা অর্থ- উম্মতের আদর্শত্যাগের সময় রাসূলের সুন্নাহ ও আদর্শের একটি অংশের উপর নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা। এভাবে এই সময়ে যারা আল্লাহর রাসূলের আদর্শকে ধারণ করবেন এবং তাঁর পূর্ণ অনুসারী হবেন ইনশাআল্লাহ তারা শহীদের মর্যাদা লাভ করবেন। আল্লাহর রাসূল বলেছেন- ﻣﻦ ﺗﻤﺴﻚ ﺑﺴﻨﺘﻲ ﻋﻨﺪ ﻓﺴﺎﺩ ﺃﻣﺘﻲ ﻓﻠﻪ ﺃﺟﺮ ﺷﻬﻴﺪ আমার উম্মতের ফাসাদ (আদর্শত্যাগের) সময় যে আমার সুন্নাহ (আদর্শ)কে ধারণ করবে সে শহীদের মর্তবা লাভ করবে। ৩. এক মুষ্ঠির অতিরিক্ত অংশ কাটার সুযোগ শরীয়তে রয়েছে। হাদীসের কিতাবে পাওয়া যায়, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. ও হযরত আবু হুরায়রা রা. এক মুষ্ঠির অতিরিক্ত অংশ কেটেছেন। আবু যুরআ রাহ. বলেন, আবু হুরায়রা রা. তাঁর দাড়ি মুঠ করে ধরতেন। এরপর এক মুষ্ঠির অতিরিক্ত অংশ কেটে ফেলতেন। (-মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ১৩/১১২, হাদীস : ২৫৯৯২; ২৫৯৯৯) নাফে রাহ. বলেন, আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. মুষ্ঠির অতিরিক্ত দাড়ি কেটে ফেলতেন। (-প্রাগুক্ত হাদীস : ২৫৯৯৭) হাসান বসরী রাহ. বলেন, তাঁরা (সাহাবা-তাবেয়ীগণ) মুষ্ঠির অতিরিক্ত দাড়ি কাটার অবকাশ দিতেন। (-প্রাগুক্ত ১৩/১১২, হাদীস : ২৫৯৯৫) কিন্তু কোনো সহীহ বর্ণনায় এক মুষ্ঠির ভিতরে দাড়ি কাটার কোনো অবকাশ পাওয়া যায় না। সাহাবা-তাবেয়ীনের এই আমলকে পূর্বোক্ত মারফূ হাদীসগুলোর ব্যাখ্যা হিসেবে গ্রহণ করা যায়। সুতরাং এ বিষয়ের হাদীস ও আছার থেকে প্রতীয়মান হয় যে, দাড়ি লম্বা রাখা ওয়াজিব, কেটে বা ছেটে এক মুষ্ঠির চেয়ে কম রাখার অবকাশ শরীয়তে নাই। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দাড়ি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চেহারা মোবারক ছিল ঘন শ্মশ্রুমন্ডিত। তাঁর দাড়ি ছিল বুকের এক পার্শ্ব থেকে অন্য পার্শ্ব পর্যন্ত বিস্তৃত। কিছু হাদীসের আরবী পাঠ এই.. ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻛﺚ ﺍﻟﻠﺤﻴﺔ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺘﺮﻣﺬﻱ ﻓﻲ ﺷﻤﺎﺋﻠﻪ ﻭﺃﺣﻤﺪ ﻓﻲ ﻣﺴﻨﺪﻩ ﻗﺎﻝ ﺍﻟﺸﻴﺦ ﺃﺣﻤﺪ ﺷﺎﻛﺮ ﺇﺳﻨﺎﺩﻩ ﺻﺤﻴﺢ ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ : ﻛﺎﻥ ﻋﻈﻴﻢ ﺍﻟﻠﺤﻴﺔ ﺭﻭﺍﻩ ﺃﺣﻤﺪ ﻓﻲ ﻣﺴﻨﺪﻩ ﻗﺎﻝ ﺍﻟﺸﻴﺦ ﺃﺣﻤﺪ ﺷﺎﻛﺮ : ﺇﺳﻨﺎﺩﻩ ﺻﺤﻴﺢ দেখুন : সুতরাং দেশী বা বিদেশী কোনো ব্যক্তি বা শ্রেণীর অনুকরণের পরিবর্তে আমাদের কর্তব্য আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অনুকরণ করা। কারণ আমরা তো তাঁরই উম্মত।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ