আসসালামু আলাইকুম।
১৮ বছরের নিচে যেসব ছেলেদের বয়স, তাদের কি নামাজ জামাতে পড়া ওয়াজিব?


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

কারো ওপর নামাজ ফর‌য হওয়ার জন্য শর্তগুলো হলোঃ-  

  •    মুসলমান হওয়া
  •  বয়স কমপক্ষে ৭ বৎসর হওয়া
  •   সুস্থ মস্তিস্কের হলে।
   এজন্য যাদের বয়স ৭ বছর বা তার বেশি তাদের নামাজ ফরজ।  জামাতে নামাজ আদায় অবশ্যই বেশি সওয়াব । আর ৭ বছর বয়স থেকে মসজিদে নামাজ আদায় করাও উচিত। তবে ওয়াজিব না।

মসজিদে জামাতে নামাজ আদায়ের অশেষ সওয়াব সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জামাতে নামাজ পড়ার ফজিলত একা পড়ার চেয়ে ২৭ গুণ ঊর্ধ্বে। (বুখারি ও মুসলিম) তিনি আরও বলেছেন, একজন লোক ঘরে নামাজ পড়লে একটি নেকি পান, তিনি ওয়াক্তিয়া মসজিদে পড়লে ২৫ গুণ, জুমা মসজিদে পড়লে ৫০০ গুণ, মসজিদে আকসায় পড়লে ৫০ হাজার গুণ, আমার মসজিদে অর্থাৎ মসজিদে নববীতে পড়লে ৫০ হাজার গুণ এবং মসজিদুল হারাম বা কাবার ঘরে পড়লে এক লাখ গুণ সওয়াব পাবেন। (ইবনে মাজা, মিশকাত)।  তাই
 বিশেষ কারণ ছাড়া মসজিদের বাহিরে নামাজ পড়া ঠিক না।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আপনার শিরোনাম প্রশ্নের উত্তর হলো, নাবালেগদের ক্ষেত্রে জামাতে নামাজ পড়া ওয়াজিব নয়।

আপনার মূল প্রশ্নের উত্তর হলো, জামাতে নামায আদায় হওয়ার জন্য সাবালকত্ব হলো মূল বিষয়। কেউ সাবালক হলে তার উপর নামাজ পড়া ফরজ হওয়ার সাথে সাথে তার উপর জামাতের সাথে নামাজ আদায় করাও ওয়াজিব হয়। এখানে ১৮ বছর কোনো বিষয় নয়। মূল বিষয় হলো ছেলেটি সাবালক হলো কি না। যদিও আমাদের দেশীয় আইনে ১৮ বছরের নিচের ছেলেদেরকে শিশু হিসেবে গণ্য করা হয়। কিন্তু ইসলামী আইনে বিধি-নিষেধ পরিপালনের উপযুক্ত হওয়ার মূল মানদণ্ড হলো সাবালকত্ব। আমাদের দেশে সাধারণত ১৩, ১৪ বছর বয়সেই ছেলেরা সাবালকত্বের বয়সে পদার্পন করে। পুনশ্চ, সক্ষম সাবালক ব্যক্তিদের জন্য জামাতে নামায আদায় করা ওয়াজিব।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ