সূত্রগত একটি দুর্বল হাদীস মতে আমরা যে নামায আদায় করি তা যদি আল্লাহ তাআলার নিকট গ্রহণযোগ্য হয় তাহলে সে নামায আকাশে তুলে নেয়া হয়। তবে কততম আকাশে তুলে নেয়া হয় সে ব্যাপারে সুষ্পষ্ট কোনো বর্ণনা পাওয়া যায় না। হাদীসটি হলো, উবাদাহ ইবনে সামিত রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন কোনো ব্যক্তি সুন্দরভাবে ওযু করে এবং সুন্দরভাবে রুকু সেজদা ও কিরাত পাঠ করে নামায আদায় করে তখন নামায তাকে বলে আল্লাহ তোমাকে রক্ষা করুক যেমন তুমি আমাকে রক্ষা করলে। অতঃপর সে নামাযকে আকাশে উঠিয়ে নেয়া হয়।.....। মু’জামে তাবারানী আওসাত, হাদীস ৩০৯৫, আলজামে লিশুআবিল ঈমান, হাদীস ৩১৪০, তবে হাদীসটির সূত্র শুদ্ধ নয়; দুর্বল। মাজমাউয যাওয়ায়েদ, হাদীস ২৭৩৪

তবে কুরআন হাদীসের অন্যান্য বিবরণ মতে প্রমাণিত, জান্নাত, বাইতুল মা’মুর (ফেরেশতা কুলের মসজিদ), সিদরাতুল মুনতাহা প্রভৃতি স্থানগুলো সপ্তাকাশে অবস্থিত। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, নিশ্চয় সে তাকে আরেকবার দেখেছিল সিদরাতুল মুনতাহার নিকটেযার কাছে অবস্থিত বসবাসের জান্নাত। সূরা নাজম ১৩, ১৪, ১৫। আর সিদরাতুল মুনতাহা এবং বাইতুল মামুর সপ্তাকাশে অবস্থিত। ইতহাফুল খিয়ারাতিল মাহারাহ লিলবুসিরী, হাদীস ৫৮৩৬, মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস ২৭১, ৩৭৪২

একটি দুর্বল সূত্র মতে আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন, জান্নাত হল সপ্ত আকাশে অবস্থিত। আলবা’সু ওয়ান নুশূর বাইহাকী, হাদীস ৪৩৯

সুতরাং উপরোক্ত বিবরণ মতে প্রমাণিত হয়, আমাদের নামাযগুলো যদি আল্লাহ তাআলার নিকট গৃহীত হয় এবং আকাশে উত্থিত হয় তাহলে তা সপ্তাকাশেই উত্থিত হবে। কারণ নামায হলো, জান্নাতের চাবি কাঠি। আর জান্নাতের যাবতীয় আয়োজন সপ্তাকাশেই বিদ্যমান।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

নামাজ পড়লেই আসমানে উঠবে সরাসরি কোন হাদিস পাওয়া যায় নাই তবে তার সাথে স্মপৃক্ত তথ্য দেয়া হলঃ

বইঃ দ্বীনী প্রশ্নোত্তর, অধ্যায়ঃ নামায, অনুচ্ছেদঃ যোহরের পূর্বে ৪ রাকাআত সুন্নত এক সালামে পড়া চলে কি?

যোহরের পূর্বে ও পরে এবং আসরের পূর্বে ৪ রাকাআত সুন্নত ২ রাকাআত করে পড়ে সালাম ফিরা উত্তম। কারণ মহানবী (সঃ) বলেন, “রাত ও দিনের নামায দুই রাকাআত করে।” ১৮৮ তবে একটানা ৪ রাকাআত এক সালামেও পড়া বৈধ। মহানবী (সঃ) বলেন, “ যোহরের পূর্বে ৪ রাকাআত; (যার মাঝে কোন সালাম নেই,) তাঁর জন্য আসমানের দরজাসমূহ উন্মুক্ত করা হয়।”

আল্লামা আলবানীর শেষ তাহক্বীকে বন্ধনীর মাঝের শব্দগুলি সহীহ নয়। কিন্তু অন্য বর্ণনা দ্বারা ৪ রাকাআত এক সালামে পড়ার সমর্থন মেলে। আবূ আইয়ুব আনসারী (রঃ) বলেন, নবী (সঃ) সূর্য ঢলার সময় ৪ রাকাআত নামায প্রত্যহ পড়তেন। একদা আমি বললাম, “হে আল্লাহ্‌র রাসুল! আপনি সূর্য ঢলার সময় এই ৪ রাকাআত প্রত্যহ পড়ছেন?” তিনি বললেন, “সূর্য ঢলার সময় আসমানের দরজাসমূহ খোলা হয় এবং যোহরের নামায না পড়া পর্যন্ত বন্ধ করা হয় না। অতএব আমি পছন্দ করি যে, এই সময় আমার নেক আমল(আকাশে আল্লাহ্‌র নিকট) উঠানো হোক।” আমি বললাম, “তাঁর প্রত্যেক রাকাআতেই কি কিরাআত আছে?” তিনি বললেন, “হ্যাঁ।” আমি বললাম, “তাঁর মাঝে কি পৃথককারী সালাম আছে?” তিনি বললেন, “না।” 

আলী (রঃ) বলেন, “নবী (সঃ) আসরের পূর্বে ৪ রাকাআত নামায পড়তেন এবং প্রত্যেক দুই রাকাআতে আল্লাহ্‌র নিকটবর্তী ফিরিশতা, আম্বিয়া ও তাঁদের আনসারী মুমিন-মুসলিমদের প্রতি সালাম (তাশাহহুদ) দিয়ে পৃথক করতেন। আর সর্বশেষে সালাম ফিরতেন।”

১৮৮ (আবূ দাঊদ), ১৮৯ (আবূ দাঊদ ১২৭০, ইবনে মাজাহ ১১৫৭, ইবনে খুযাইমা ১২১৪, সাহীহুল জামে ৮৮৫ নং), ১৯০ (মুখতাসারুশ শামাইলিল মুহাম্মাদিয়্যাহ, আলবানী ২৪৯ নং), ১৯১ (আহমাদ, তিরমিযী, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ, সিঃ সহীহাহ ২৩৭ নং)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ