মন খারাপ থাকে বা নিজেকে সুখী না মনে হয় তবে চিন্তিত হবেন না। ভাবুন সময়টি যদিও চাপের, তবে হঠাৎ মজার কিছু ঘটবে, ভালো কিছু হবেই আপনার জীবনে। এমন আশার কথা শুনিয়ে ইয়াহু হেলথ বাতলে দিয়েছে দ্রুত মন ভালো করার কিছু উপায়।
১. খেলা করুন (তবে ফোনে নয়)
Advertisement
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একত্রিত হোন, পাশাপাশি কিছু বন্ধুকে দাওয়াত করুন। এরপর সবাই মিলে মজাদার কোনো খেলা খেলুন। ভালো বন্ধুদের সঙ্গ আপনার সময়গুলোকে আনন্দে ভরিয়ে তুলতে সাহায্য করবে।
২. হাঁটতে বেরিয়ে যান
ঘরে যদি কিছু করার না থাকে, তবে মন ভালো করতে হাঁটতে বেরিয়ে যান। বাইরের তাজা হাওয়া আপনার মনকে সতেজ করবে।
৩. বন্ধুদের ফোন করুন
ম্যাসেজ করবেন না, বন্ধুর সঙ্গে ফোনে কথা বলুন। তাঁকে বলুন আপনার কষ্টের কথা। পরামর্শ চাইতে পারেন তাঁর কাছ থেকে।
মন ভালো করার সবচেয়ে ভালো উপায়, ফ্রেন্ডের সাথে আড্ডা মারা। আড্ডা একবার জমে গেলে মন খারাপের কথা মনেই থাকবে না। প্লাস একা একা থাকলে নিজেকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করেন, অনেক জোরে জোরে গান শুনুন। দেখবেন মন খারাপ কিভাবে দৌড়ে পালায়! মোট কথা নিজের পছন্দের কাজে ডুবে যান। মাথার যেসব চিন্তা মন খারাপ করে দেয় তা ঝেড়ে ফেলুন আর সময় দিলে সব কিছুই ঠিক হয়ে যায়।
আপনার যখন খারাপ লাগবে, তখন আপনার কাছের একজন মানুষ বা আপনার বন্ধুকে ফোন করুন। পৃথিবীতে বন্ধুর তুলনায় আর কোন কিছু নেই, যে আপনাকে যেকোনো মুহূর্তে খুশি করতে পারে। যদি সে আপনার প্রকৃত বন্ধু হয়, তাহলে সে আপনাকে খুশি করার জন্য যেকোনো কিছু করতে পারবে, কারন সে জানে, সে যখন কষ্টে থাকবে আপনি তাকে অবশ্যই সাহায্য করবেন।
1. নতুন কিছু করুন
নেতিবাচক ভাবনা থেকে বেরিয়ে যান। নতুন কিছু করুন। জিমে ভর্তি হোন বা রান্নার ক্লাসে ভর্তি হোন। আগামীকাল সকালে উঠে নতুন কী করবেন তাঁর পরিকল্পনা করুন।
2. বিচ্ছিন্ন হোন
এক বা দুই মিনিটের জন্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম থেকে বিছিন্ন হয়ে যান।
3. গান গাইতে পারেন
দ্রুত মন ভালো করতে গেয়ে উঠতে পারেন পছন্দের কোনো গান। গ্যারান্টি দিচ্ছি, মন ভালো হয়ে যাবে।
4. সাহায্য করুন
অন্যকে সাহায্য করুন। পরিবারের সদস্যদের কাজে সাহায্য করুন বা বন্ধুদের কাজে সাহায্য করুন।
5. রাঁধুন
বেশি মন খারাপ লাগলে রাঁধতেও শুরু করতে পারেন। অনেক সময় রান্না করাও আপনার মেজাজকে ভালো করে দিতে পারে।
6. হাসুন
হয়তো হাসার মতো পরিস্থিতি নেই, তবু চেষ্টা করুন হাসার। হাসি কখনো কখনো চাপ কমাতে সাহায্য করে, মেজাজ ভালো রাখে, বিষণ্ণতাকেও দূরে রাখে। তাই হাসুন।
7. সব ঠিক হয়ে যাবে
ভাবুন সব ঠিক হয়ে যাবে। যদিও খুব চাপের সময় এই ভাবনাটি সহজেই আসবে না, তবু ভাবুন সব ঠিক হবে।