আমরা সবাই কিভাবে ওজন কমানো যায় এই চিন্তায় অস্থির। আমাদের চারপাশে এমন অনেকেই আছেন যারা চিকনা উপাধি প্রাপ্ত, তারা অস্থির থাকেন কিভাবে ওজন বাড়ানো যায় অন্তত ১/২ কিলো। সার্জারী বা কোন প্রকার যন্ত্রনাদায়ক পদ্ধতি ব্যাতিত কিভাবে সহজে ওজন বাড়ানো যায় তার কিছু পদ্ধতি দেওয়া হলো ১.স্বাস্থ্যকর খাবার ওজন বাড়ানোর জন্য অনেকে ওল্টা-পাল্টা খাবার খেয়ে থাকেন এতে হয়তো ওজন বাড়ে তবে শরীরে যে কিছু অস্বাস্থ্যকর চর্বি জমা হতে থাকে সে দিকে খেয়াল করেন না। স্বাস্থ্যকর উপায়ে যদি আপনার ওজন বাড়াতে চান তবে আপনাকে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে । যেমন ভাত, সামুদ্রিক মাছ (স্যামন বা টুনা) এবং ননীমুক্ত দুধ । প্রতিদিন কত পরিমান ক্যালোরি গ্রহন করছেন তার হিসাব রাখুন। ২.অতিরিক্ত পানি পান না করা পানি শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় উপদান তবে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানিই শরীরের জন্য যথেষ্ট । অন্য সময় আপনি পিপাসার্ত বোধ করলে পানির পরিবর্তে লাচ্ছি, দুধ বা ফ্রুট জোস পান করুন। ৩.নিজেকে চাপ মুক্ত রাখুন অতিরিক্ত চাপ আপনার চুল এবং ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। শরীরের ওজন হ্রাস হওয়ার পিছনে অতিরিক্ত চাপও কাজ করে থাকে । চাপ থেকে মুক্ত থাকার জন্য আপনার বন্ধু-বান্ধবদের সাথে সময় কাটান অথবা যা আপনার পছন্দ সেই কাজগুলো করুন। ৪. সঠিক নিয়মে ব্যায়াম করা আপনার বন্ধু বা অনান্যরা যেভাবে ব্যায়াম করে সেই ভাবে কখনও ব্যায়াম করতে যাবেন না কারণ আপনার শরীর আর তাদের শরীর এক নয়। এর জন্য আপনাকে কোন জিমনিশিয়ামে ভর্তি হয়ে প্রশিক্ষকের তত্বাধানে ব্যায়াম করতে হবে ।
ওজন বৃদ্ধি করতে চাইলে প্রথমে প্রয়োজন অধিক পরিমাণে ক্যালরি গ্রহণ করা। দৈনন্দিন জীবনে আপনি যে পরিমাণে ক্যালরি বার্ন করছেন তার থেকে বেশি পরিমাণে ক্যালরি গ্রহণ করলেই আপনার ওজন কমে যাওয়া হ্রাস পাবে।
প্রায় ৩৫০০ ক্যালরি সমান ১ পাউন্ড। তাই দিনে ৫০০-১০০০ ক্যালরি বেশি গ্রহণ করতে থাকলে প্রতি সপ্তাহে ১-২ পাউন্ড ওজন বৃদ্ধি পাবে।
দৈনিক খাবারে ক্যালরির পরিমাণ বৃদ্ধি করুন।
নিয়মিত খান। কোন বেলার খাবার বাদ দেবেন না। দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় বা ডায়েটে অধিক ক্যালরি যুক্ত স্বাস্থ্যকর খাবার যোগ করুন।
অতিরিক্ত ওজন কমে যাওয়া হ্রাস করতে পর্যাপ্ত খাদ্য গ্রহণ করুন।
শুনতে হাস্যকর শোনালেও কাজটা করা অতটা সহজ নয়; বিশেষ করে যারা শুকিয়ে যাচ্ছেন বা দুর্বল হয়ে পড়ছেন তাদের জন্য খাওয়া দাওয়া একটি বিরক্তিকর কাজ। কিন্তু এসব অনিহা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে একটু পর পর কিছু না কিছু খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। অস্বাস্থ্যকর খাবার নয়; ফলমূল, বাদাম, দুধ, ডিম এসব খাওয়ার অভ্যাস করুন।
প্রোটিন জাতীয় খাবার
ওজন বৃদ্ধি করার জন্য প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন- মাছ, মুরগি, গরু, ডিম, দুধ, বাদাম, অ্যালমণ্ড ইত্যাদি বেশি করে গ্রহণ করতে হবে। এর সাথে সাথে দানা জাতীয় খাবার যেমন- পাউরুটি, সিরিয়াল ইত্যাদি গ্রহণ করতে পারেন।
যে খাবার খাচ্ছেন তার লিস্ট তৈরি করে রাখুন। খাদ্য তালিকা অনুযায়ী বার বার খাদ্য গ্রহণ করুন। প্রচুর পানি খান।
ব্যায়াম
ক্যালরি বার্ন করবে ভেবে ব্যায়াম করা বন্ধ করবেন না। নিয়মিত ব্যায়াম করলে ক্ষুধা বাড়ে। ফলে খাওয়ার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয় এবং ওজন কমে যাওয়া প্রবণতা হ্রাস পায়।
এছাড়া ব্যায়াম করলে মাংসপেশী সুগঠিত হয় এবং বৃদ্ধি পায়। শক্তিবর্ধক ব্যায়াম যেমন- ভারোত্তোলন বা বেশি বেশি ওজনের ডাম্বেল ব্যবহার করলে ভাল ফল পাওয়া যায়।
ব্যায়াম করার সময় টানা একাধারে ব্যায়াম করতে থাকবেন না। বিশ্রাম নিয়ে নিয়ে ব্যায়াম করবেন। এক সেট ব্যায়াম করার পর অন্তত ১ মিনিট বিশ্রাম নিন। ব্যায়াম শেষে মাংসপেশীগুলোর সম্পূর্ণ বিশ্রাম হয় এমন সময় পর্যন্ত আরাম করুন।
ঘুম
ওজন বৃদ্ধির সাথে ঘুম ওতপ্রোতভাবে জড়িত। দৈনিক ৮-৯ ঘণ্টা ঘুম আপনার ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। ঘুমের সময় মাংসপেশী গঠিত হতে থাকে। সারা দিনের ব্যায়ামের সঠিক উপকার কাজে লাগে আপনার ঘুমের সময়।