৬ মাস পর থেকে বুকের দুধের পাশাপাশি শিশুকে ধীরে ধীরে অন্যান্য খাবার যেমন- ভাত, ডাল, সবজি, ডিম, মাংস, মাছ এসব খাওয়ানোর অভ্যাস করতে হবে। পাশাপাশি সুজি,খিচুড়ি, পানি,চীজ বা দই, এইসব দিতে হবে। বাজারে বাচ্চাদের জন্য অনেক ধরনের সিরিয়াল বা সেরিলাক পাওয়া যায়। অনেক বাবা মা'ই সেসব খাওয়ান বাচ্চাকে, যদিও এসবের থেকে বাসার খাবার অনেক পুষ্টিকর। বাচ্চা সিরিয়াল বা সেরিলাক খেতে পছন্দ করলে তাকে সুজির নরম হালুয়া করে দিতে পারেন। মজাদার করার জন্য সাথে চিনি আর ফলের টুকরাও যোগ করে দিতে পারেন। তবে যায়ই দিন না কেন খেয়াল রাখবেন খাবারে আয়রনের মাত্রা ঠিক রাখবেন
৬-৮ মাস বয়স সকাল ৭টা-৮টা বুকের দুধ অথবা ৬-৮ আউন্স দুধ সকাল ১০টা, ৪-৬ টেবিল চামচ সুজি/ খিচুড়ি, ৪-৬ টেবিল চামচ চটকানো ফল। দুপুরে বুকের দুধ অথবা ৬ আউন্স দুধ, ১-৩ টেবিল চামচ খিচুড়ি/সুজি। বিকেলে ১-৩ টেবিল চামচ চটকানো ফল। বুকের দুধ, ৩-৬ আউন্স দুধ রাতে বুকের দুধ/৬-৮ আউন্স দুধ। খিচুড়ি/সুজি ৪ টেবিল চামচ। ৯-১২ মাস বয়স সকাল ৭-৮টায় বুকের দুধ/৬-৮ আউন্স দুধ। সকাল ১০টায় চার-আট টেবিল চামচ খিচুড়ি/সুজি, ৪ টেবিল চামচ পরিমাণ চটকানো ফল। দুপুরে বুকের দুধ/৬-৮ আউন্স দুধ। ৪ টেবিল চামচ খিচুড়ি/সুজি। ৪ টেবিল চামচ সবজি/মাংস বিকেলে বুকের দুধ/৬-৮ আউন্স দুধ। বিস্কুট/দই/মিষ্টি জাতীয় যেকোনো একটা খাবার। সন্ধ্যায় ৪ টেবিল চামচ সবজি/মাংস। ৪ টেবিল চামচ পরিমাণ চটকানো ফল। নুডলস/নরম পিঠা/কেক ইত্যাদি। রাতে বুকের দুধ/৬-৮ আউন্স দুধ। ৪-৬ টেবিল চামচ খিচুড়ি/সুজি।