অামার গার্লফ্রেন্ডে ২/৪/১৬ তারিখে মাসিক শুরু হয় শেষ হয় ৫/২/১৬ তারিখে ! তারপর ৭/৪/১৬ তারিখে যৌন মিলন করি তা ও কনডম ছাড়া। ১৬/৪/১৬ তারিখে অাবার নাকি মাসিক হচ্ছে ওর।আগে নাকি মাসিক হওয়ার পর সাদা স্রাব বাইর হইত। কিন্তু অাজ দেখা গেল সাদার পরিবর্তে রক্তের মত লাল স্রাব বাইর হচে্ছ দেখতে সুতার মত লম্বা। এটা কি প্রেগন্যান্ট নাকি অন্য কিছু? প্রেগন্যান্ট হলে এর প্রতিরোধ চাই। কি করতে হবে একটু বলেন। কি ঔষধ খাওয়ালে ঠিক হবে?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
avir

Call

না আপনার gf প্রেগন্যান্ট নয়, মিলনের পরে যদি মাসিক নিয়মিত হয় তাহলে বুঝতে হবে প্রেগন্যান্ট হওয়ার কোনো ঝূঁকি নেই। তবে মেয়েদের জরায়ু হতে সাদা, হলদে বা দুধের মত এক প্রকার তরলস্রাব নির্গত হয় যাকে প্রদর বা Leucorrhoea বলা হয়। সাধারণত স্রাব শ্বেত বর্ণের হয়ে থাকে বলে ইহাকে শ্বেতপ্রদর বলা হয়ে থাকে .... এই রোগের কারণ : ১) প্রধান কারন হল ইনফেকশন মহ জরায়ু "ওপেন অরগ্যান" উন্মুক্ত অংগ গুলোর মধ্যে একটি। যেহেতু জরায়ু উন্মুক্ত থাকে, তাই যে কোন ভাবে এইখানে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। ২) মলদ্বার এসে খুব সহজেই জরায়ুতে ইনফেকশন হতে পারে। ৩) পুরুষের মাধ্যমেও এই রোগ হত ট্রাইকোমানো এবং মোনালিয়া এই দু’টি ইনফেকশন যৌন রোগের জীবানু বহনকারী পুরুষের মাধ্যমে স্ত্রীলোকদের মধ্যে সংক্রমিত হয়। মোনালিয়া জীব জরায়ুতে চুলকানি হয় এবং ব্যথা করে। ঘন হলুদের মত স্রাব হয়। ৪) ট্রাইকোমানো জীবানু জরায়ুতে জ্বালাভাব থাকে, চুলকানি হয়, জরায়ু একটু ফুলে যায়, লালচে হয়ে যায়। ফেনাটে দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব হয়। ৫) পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাব ও উপ পরিবেশের অভাবের কারনে এই রোগ হতে পারে। এখন করনীয় : এরজন্য লিকর(LECOR) সিরাপ টি ৩ চামুচ দিনে ৩বার অথবা ডাক্তার এর পরামর্শ মত সেবন করানো। এবং এইসকল সমস্যার জন্য একজন যৌন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এর পরামর্শ মতো চিকিৎসা নেওয়া জরুরি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ