আল্লাহপাক পবিত্রতা পছন্দ করেন। আল্লাহ পবিত্র। আল্লাহর কাছে পাক পবিত্র জিনিস গ্রহণীয়। আল্লাহ তায়ালা বলেন "যারা পাক পবিত্র থাকেন আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন।" যারা পাক, সাফ থাকে পরিস্কার পোশাক পরে তাদের সবাইকে ভালোবাসেন। পাকসাফ থাকলে দেহ মন ভালো থাকে। মহানবী (স.) বলেন, "পবিত্রতা ঈমানের অঙ্গ। পাক পবিত্র হওয়ার জন্য অযু, গোসল আবশ্যক। আমরা সুন্নত অনুযায়ী নবীর দেখানো ও শেখানো পদ্ধতিতে অযু, গোসলের নিয়ম জানব। প্রথমে অযু: কুরআন মাজিদে আল্লাহ তায়ালা সালাত আদায়ের আগে অযু করার নির্দেশ দিয়েছেন। সালাতের আগে অযু করা ফরয। অযু ছাড়া সালাত আদায় হয় না। অযুর ফরজ মোট চারটি, ১। মুখমণ্ডল ধোয়া, ২। কনুইসহ উভয় হাত ধোয়া, ৩। মাথা মাসেহ করা, ৪। পায়ের টাখনুসহ উভয় পা ধোয়া। বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম বলে অযু করা। উভয় হাতের কব্জি পর্যন্ত তিনবার ধোয়া। মেসওয়াক করা। মেসওয়াক না থাকলে আঙ্গুল দিয়ে দাঁত মাজা, তিনবার কুলি করা, তিনবার নাকে পানি দেওয়া, তিনবার সমস্ত মুখ ধৌত করা, মুখ ধোয়ার সময় দাঁড়ি থাকলে আঙ্গুল দিয়ে খেলাল করা, পুরা মাথা একবার মাসেহ করা, মাথার সাথে সাথে কানদ্বয় মাসেহ করা। দুই পায়ের টাখনুসহ তিনবার ধোয়া। হাত ও পা ধোয়ার সময় আঙ্গুল খিলাল করা। সবকটি অঙ্গ ভালো করে ধোয়া। যাতে সামান্যতম শুকনা না থাকে। অযুর মধ্যবর্তী অবস্থায় অযথা কথা না বলা এক অঙ্গ ধুয়ে সাথে সাথে অন্য অঙ্গ ধোয়া। ধারাবাহিকভাবে অযু করা এবং ডান দিক থেকে শুরু করা। অযুর শেষে কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করা। অযু ভঙ্গের কারণসমূহ নানা কারণে অযু নষ্ট হয়। এগুলোর প্রতি আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। অযু নষ্ট হওয়ার কারণ: ১। পায়খানা, প্রশ্রাবের রাস্তা দিয়ে কোন কিছু বাহির হওয়া, ২। মুখ ভরে বমি করলে। ৩। কেন কিছু ঠেস দিয়ে বা কাত হইয়া ঘুমিয়ে যাওয়া, ৪। রক্ত পুঁজ পানি শরীর থেকে বের হয়ে গড়িয়ে পড়া, ৫। পাগল মাতাল ও অচেতন হইলে, ৬। সালাতের মধ্যে উচ্চস্বরে হাসিলে। গোসল: সুস্থ শরীর ও সুন্দর মনের জন্য আমাদের পাক থাকার প্রয়োজন। কিন্তু নানা কাজে শরীর ময়লা ও অপবিত্র হয় আমাদের অস্বস্তি লাগে। এই ময়লা ও অপবিত্রতা দূর করতে উত্তম উপায় হলো গোসল করা। গোসল করার জন্য শুধু পানি ঢাললে গোসল হয় না বা নাপাকি যায় না। গোসলের কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে। গোসলের তিন ফরয, যথা: ১। গড়গড়ার সাথে কুলি করা, ২। নাকে পানি দেওয়া, ৩। পানি দিয়ে ভালোভাবে শরীরর ধৌত করা।
গোসলের পড়ে পায়ে একমগ পানি দিয়ে পা না দুলে নাকি আযু হয় না, একথা কখন ও শুনি নি। ইসলামিক নিয়মে গোসলের ফরয ফরযঃ গোসল করার সময় প্রথমে ইস্তিঞ্জা করে নিবে, অতঃপর পবিত্রতা অর্জনের নিয়তে উভয় হাত ধুয়ে নিয়ে শরীর ও কাপড় থেকে নাপাকী দূর করবে । তারপর হাত ভাল করে পরিষ্কার করে নিবে । অতঃপর নামাযের উযুর মত উযু করে নিবে । উযুর সময় ভালভাবে গড় গড়া করবে এটা গোসলের প্রথম ফরয এবং দ্বিতীয ফরয হল, নাকের নরম জায়গা পর্যন্ত পানি পৌছাবে। তৃতীয় ফরয হল উযুর শেষে মাথায় পানি ঢালবে । অতঃপর ডান কাঁধে ও পরে বাম কাঁধে পানি ঢালবে । এভাবে তিনবার সম্পূর্ণ শরীর ভালভাবে ঘষে গোসল শেষ করবে । এই তিনটি হল, গোসলের ফরয ।[ প্রমাণঃ ফাতাওয়া দারুল উলুম, ১:১৪৬# শামী ১.১১৯ ]
গোসলের ফরয ৪টি,তার মধ্যে এমনতো কোথাও লিখা নে,যে গোসলের পর পা না ধুলে গোসল হয়না৷ হ্যাঁ আপনাকে পা ঐ সময় ধুতে হবে,যখন আপনি গোসল করতেছেন এমন জায়গায় যেখানে গোসল করার পর পানি জমে থাকে,তখন গোসল শেষ করে পা টা একটু করে ধুয়ে নিবেন৷কেননা গোসলের পানি এগুলা (ماء مستعمل) ব্যবহৃত পানি৷ আর ব্যবহৃত পানি যেটা নিজে পাক,তবে অন্যকে পাক করতে পারেনা৷