এমন কিছু অসাধারণ খাবারের নাম, খাদ্য তালিকায় যারা স্থান পেলে বাড়বে দেহের উচ্চতা। ১. আপেল : আপেলে থাকা ফাইবার এবং পানি বাচ্চাদের লম্বা হতে সাহায্য করে থাকে। তাই প্রতিদিন খাবারের আধা ঘন্টা আগে একটি করে আপেল খেতে দিন এতে করে ফাইবারটি লম্বা হতে সাহায্য করে থাকবে। ২. আভাকাডো : দুপুরে খাবার সময়ে অর্ধেকটা আভাকাডো দেহে বিভিন্ন পুষ্টি সরবরাহ করে থাকে। এত করে লম্বা হতে সহায়তা করে থাকে। ৩. স্যুপ : স্যুপ স্বাস্থ্য উপযোগী একটি খাবার। এতে ক্যালরি রয়েছে যা ক্ষুধা বাড়িয়ে দেয়। ফলে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণের ফলে কোষ বৃদ্ধি করে লম্বা করে তোলে। ৪. মটরশুটি, ছোলা, মসূর : এই ধরনের খাবারগুলোতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, ভিটামিন বি এবং আয়রন রয়েছে যেগুলো শরীরের কোষ বুদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে। ফলে লম্বা হতেও সাহায্য করে থাকে। ৫. ডার্ক চকোলেট : বাচ্চাদের এমনিতে চকোলেট খেতে দেয়া হয় না। কিন্তু এই ডার্ক চকোলেটও বাচ্চাদের লম্বা করতে সহায়তা করে। এতে থাকা ক্যালরি কোষ বদ্ধি করে ফলে বাচ্চারা লম্বা হয়ে ওঠে। ৬. ডিম : ডিম একটি স্বাস্থ্যকর খাবার। এতে প্রোটিন এবং ভিটামিন প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। এর ফলে শরীরের বৃদ্ধি হয়ে থাকে এবং লম্বা হয়। ৭. বাদাম : বাদাম বা কাজুবাদামও স্বাস্থ্য উপযোগী একটি খাবার। এটিতে থাকা বিভিন্ন প্রোটিন, ভিটামিন দেহের বিভিন্ন পুষ্টি যোগায়, এবং লম্বা হতেও সহায়তা করে থাকে। আর আপনি লম্বা হতে চিত্রসহ ব্যায়াম এখানে দেখুন- http://www.healthbarta.com/2015/02/11/3786/
সাধারণত মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৬ আর ছেলেদের ক্ষেত্রে ১৮ বয়সের পর লম্বা হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। তবে বলা হয়ে থাকে ২০ বছরের পর আর লম্বা হয় না । কারো কারো মতে ২৫ এর পর গ্রোথ আর হয়না। বন্ধ হয়ে যায়। সত্যি বলতে কি লম্বা হওয়াটা যেহেতু বংশগত বা জেনেটিক ফ্যাক্টর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং বয়স যদি ২৫ এর বেশি হয়ে থাকে তবে বিশেষ কিছু করার থাকে না। তবে যদি বয়স ২০ এর নিচে হয় , বিশেষ করে যারা শিশু বা বয়ঃসন্ধিকাল চলছে যাদের, তাদের জন্য কিছু ডায়েট বা ব্যায়াম করলে উপকার পাওয়া সম্ভব। তাই যাদের বংশে খাটো হওয়ার প্রবণতা আছে তাদের বাচ্চাদের ছোটবেলা থেকে যত্ন নেয়া উচিত্ ।
০১. সুষম খাদ্য গ্রহণ করাঃ
এক জন লোক অনেক খাটো দেখায় যদি তার শরীর ফাঁপা থাকে। তাই ফিট থাকতে হয় সঠিক খাবার খেয়ে।
- প্রচুর পরিমাণে লীন প্রোটিন খেতে হবে। যেমন সাদা ফার্মের মুরগীর মাংস, মাছ ও দুগ্ধজাত খাবারে প্রচুর লীন প্রোটিন থাকে। যা পেশী গঠনে সাহায্য করে ও হাড্ডির ক্ষত পূরণ করে।
- কার্বোহাইড্রেট খেতে হবে প্রচুর পরিমাণে। যেমন – ভাত, আলু, কেক ইত্যাদি। অতিরিক্ত মিষ্টি ও সোডা থেকে দূরে থাকুন।
- প্রচুর ক্যালসিয়াম খান যা সবুজ শাকসবজীতে পাওয়া যায়। দুধ, দই -এ প্রচুর ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়।
- যথেষ্ট পরিমাণে জিংক থেতে হবে। জিংক পাওয়া যায় কুমড়া, ওয়েস্টার ও গম, ও চিনাবাদামে।
- ভিটামিন ডি খেতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে। এটি পেশী ও হাড্ডি গঠনে ভূমিকা পালন করে। এর অভাবে শিশুদের গ্রোথ ক্ষতিগ্রস্থ হয় এবং তরুণীদের ওজন বাড়ে। মাছে, মাশরুমে ও সূর্যের আলোতে পাওয়া যায় ভিটামিন ডি।
০২. ব্যায়ামঃ
তরুণরা বিশেষ করে বয়ঃসন্ধি কালে হাইট বাড়ানোর ব্যায়াম করে। লাফান, যেমন – দড়ি লাফান, সাঁতার কাটুন, সাইকেল চালান, প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট। জিমে জয়েন করুন পারলে। খেলাধুলা করুন।
০৩. ঘুমঃ
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান প্রতিদিন। ঘুমের সময় শরীর বাড়ে। তাই পর্যাপ্ত ঘুমালে শরীর লম্বা হওয়ার মতো সময় পায়। কমপক্ষে ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমান যদি আপনার বয়স ২০ এর কম হয়। শরীরের হরমোন গভীর ঘুম এর সময় উত্পন্ন হয়। পিটুইটারী গ্লান্ড থেকে গ্রোথ হরমোন বের হতে সাহায্য করে।
০৪. গ্রোথ যেসব কারণে প্রভাবিত হয় তা পরিহার করার চেষ্টাকরুন। আপনার ন্যাচারাল হাইট যাতে পরিবেশ গত কারণে না কমে তার চেষ্টা করবেন। এলকোহল বা স্মোকিং করা যাবেনা। এগুলো কম বয়সে খাওয়া উচিত্ নয়। যারা অপুষ্টিতে ভোগেন তাদের স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি খাটো দেখায়। যারা একটু খাটো তারা সোজা হয়ে থাকার চেষ্টা করবেন সব সময়। কুঁজো হয়ে হাঁটবেন না। ঘাড়টা একটু পেছনে বাঁকিয়ে সোজা হয়ে হাঁটার অভ্যেস করুন। এতে কিছুটা লম্বা লাগবে। একটু টাইট কাপড় পরার চেষ্টা করবেন। নিজেকে চিকন দেখাতে পারলে কিছুটা লম্বা লাগবে। ডার্ক রঙের ড্রেস যেমন – কালো, নীল, সবুজ পরার চেষ্টা করবেন। মেয়েরা বাইরে গেলে হাইহিল পরবেন।
এছাড়া ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন, যদি দেখেন যে আপনার সন্তানের সঠিক গ্রোথ হচ্ছেনা। ডাক্তার রা অনেক রকম টিট্টমেন্ট দিয়ে থাকেন। গ্রোথ হরমোন থেরাপি ছোট বেলায় নিলে কিছুটা উপকার পাওয়া যায়। তাই আপনার শিশুর সঠিক গ্রোথ হচ্ছে কিনা তা জানতে একজন শিশু বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ রাখুন।
তথ্য সূত্রঃ সাজগোজ ডট কম
১) খেতে হবে সুষম খাদ্যঃ উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য প্রথমেই খেয়াল রাখতে হবে খাবারের প্রতি। খেতে হবে সুষম খাদ্য যাতে থাকবে শর্করা, আমিষ, ভিটামিন, মিনারেল, স্নেহ জাতীয় পদার্থের সঠিক অনুপাত। দেহ সঠিকভাবে পুষ্টি পেলেই একটা নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত উচ্চতা দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। ২) নিয়মিত খান ক্যালসিয়ামঃ খেতে হবে দুধ ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার। ক্যালসিয়াম আমাদের হাড়ের গঠনতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য। পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম হাড় মজবুত করে আপনাকে দিবে সুন্দর দৈহিক গঠন। আপনার দৈহিক গঠন সুন্দর হলে আপনাকে লম্বা দেখাবে। ৩) নিতে হবে বিশ্রামঃ উচ্চতা বাড়ানোর জন্য সঠিক পরিমাণে বিশ্রাম নেয়াটাও সমপরিমাণে অপরিহার্য। ঘুমের মাঝে শরীর দ্রুত বৃদ্ধি পায়, সেই সাথে শারীরিক সব ত্রুটি মেরামত হয়ে থাকে ঘুমের মাঝেই। তাই প্রত্যেক ব্যক্তির, বিশেষ করে কম বয়সীদের উচিৎ গড়ে প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা করে বিশ্রাম নেয়া। ৪) নিয়মিত ব্যায়াম করুনঃ উচ্চতা বাড়ানোর অন্যতম ভাল উপায় হল নিয়মিত ব্যায়াম করা। ব্যায়াম বা খেলাধূলা করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। প্রথমে শুরু করতে পারেন বেশ কিছু স্ত্রেচিং দ্বারা। ধীরে ধীরে ব্যায়ামের মাত্রা বাড়িয়ে নিন। নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীরের বিভিন্ন জোড়াগুলোতে ভাল প্রভাব পড়ে ফলে উচ্চতা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। ৫) ত্যাগ করুন বদভ্যাসঃ শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে এমন বদভ্যাস দ্রুত ত্যাগ করুন। মাত্রাতিরিক্ত চা বা কফি কোনটাই খাবেন না। এগুলো শরীরের উপরে বাজে প্রভাব ফেলে যা পরবর্তীতে আপনার উচ্চতা বৃদ্ধিতে বাধার সৃষ্টি করতে পারে। ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে তাও ত্যাগ করতে হবে। বোতলজাত জুস ও কোমলপানীয়ও আপনার শরীরের একইভাবে ক্ষতি সাধন করে। তাই এগুলোও ত্যাগ করা বাঞ্ছনীয়। এসবের বদলে খেতে পারেন গ্রিন টি বা তাজা ফলের জুস। এতে পাবেন আপনার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সেই সাথে ক্ষতির ভয় থাকবেনা এসব গ্রহন করলে। ৬) খেতে হবে বুঝে শুনেঃ খাবার সময় বেছে চলার চেষ্টা করবেন। এমন খাদ্য গ্রহন করবেন না যা আপনার শারীরিক বৃদ্ধির উপরে চাপ ফেলে। যেমন অতিরিক্ত রেড মিট গ্রহন করা খুব ক্ষতিকর। সেই সাথে তৈলাক্ত ও ভাজাপোড়া খাবার আপনার শারীরিক বৃদ্ধিতে বাজে প্রভাব ফেলে তাই এসব যতটা সম্ভব ত্যাগ করাই ভাল। ৭) চর্চা করুন শ্বাসপ্রশ্বাসেরঃ স্বাভাবিক নয়, শ্বাস নিন গভীরভাবে। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, গভীরভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস গ্রহন ও বর্জন করলে তা শারীরিক নানা জটিলতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে অনেকাংশেই। যেহেতু সব সময় গভীরভাবে শ্বাস নেয়া সম্ভব নয় তাই দিনের যেকোনো একটি সময় নির্বাচন করে গভীরভাবে শ্বাস প্রশ্বাস নেয়ার ব্যায়াম করুন। চাইলে মেডিটেশন করতে পারেন কারণ মেডিটেশনও একই ফল দেয়। ৮) সঠিক দেহভঙ্গিঃ যদি আপনার বয়স ২৫ অতিক্রম করে থাকে এবং নিজের উচ্চতা আপনার কাছে যথেষ্ট বলে মনে না হয় তবে মন খারাপ করে বসে যাবেন না। আর সবার মত আপনিও নিজেকে লম্বা হিসেবে তুলে ধরতে পারেন। এ জন্য দরকার শুধু একটু মাথা খাটানোর। আপনার দেহভঙ্গির প্রতি নজর দিন। ঘাড় ও পিঠ সোজা করে হাঁটুন। বসার সময়েও সোজা হয়ে বসুন। মাথা সোজা রাখুন। কুঁজো হয়ে ও নিচু হয়ে হাটা বা বসার অভ্যাস থাকলে নিয়মিত সোজা হয়ে চলাফেরা ও বসার চর্চা চালিয়ে যান। আপনার দেহভঙ্গি উদ্ধত হলে আপনাকে দেখতে লম্বা দেখাবে। ৯) কমিয়ে নিন ওজনঃ আপনার ওজন বেশি থাকলে কিন্তু আপনাকে খাটো দেখাবে। সেক্ষেত্রে সঠিকভাবে নিয়ম মেনে ওজন কমিয়ে নিন। ওজন কমে গেলে আপনাকে অনেকটাই লম্বা দেখাবে। ১০) পোশাক নির্বাচনঃ আপনার নিজের উচ্চতাকে বাড়িয়ে তুলে ধরতে যে জিনিসটি সব থেকে বেশি কাজ করবে তা হল আপনার সাজপোশাক। সঠিক পোশাক নির্বাচন করতে পারলে তা আপনাকে দিতে পারে লম্বা হবার অনুভূতি। মেয়েদের ক্ষেত্রে শাড়ি পরলে স্ট্রাইপ, ও ছোট প্রিন্টের মধ্যে জর্জেট, লিলেন, শিফন ইত্যাদি বেছে নিন ভারি কাজ করা শাড়ির বদলে। সালোওয়ার কামিজ ও ফতুয়ার ক্ষেত্রে লম্বা ও বডি হাগিং ধাঁচের হলে ভাল লাগবে। রঙ হিসেবে গাঢ় রঙ বেছে নিতে পারেন। পায়ে থাকতে পারে হিল জাতীয় জুতা বা স্যান্ডাল। পুরুষদের জন্য জুতা হতে পারে হিল সমৃদ্ধ। সাথে শার্ট হতে পারে টাইট ফিটিঙের। পরতে পারেন স্ট্রাইপ ও চেক। মোটাদের ক্ষেত্রে কাপড় কিছুটা ঢিলা এবং লম্বা মাপের হল ভাল লাগবে। এতে মোটাভাব ঢেকে গিয়ে শুকনা ও লম্বা দেখাবে।
লম্বা হওয়ার সহজ উপায় নেই। উচ্চতা বৃদ্ধি মূলত বংশগত। তারপরেও কিছু কিছু খাদ্যাভ্যাস, লম্বা হওয়ার ব্যায়াম ও কিছু নিয়ম মেনে চললেও কিছুটা লম্বা হওয়া যেতে পারে। জেনে নিন লম্বা হওয়ার উপায় বিস্তারিতভাবে। উচ্চতা বৃদ্ধির মূল উপাদান গ্রোথ হরমোন এমন একটি পদার্থ যা শরীরে প্রাকৃতিকভাবেই সৃষ্টি হয়। বেশী পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালরি, খনিজ পদার্থ, প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন খাদ্যাভ্যাস যা মানবদেহের নতুন কোষ গঠন, হাড় নির্মাণ এবং সেলের গঠন নির্মাণে সহায়তা করে। তবে বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত যে, মানবদেহ বৃদ্ধির ৮০% নির্ভর করে জিনতত্ত্বের উপর। আর বাকি ২০% অন্যান্য কিছু কৌশল বা পরিবেশের উপর। ৮-১১ ঘণ্টা ঘুম ও বিশ্রাম প্রাকৃতিক উপায়ে লম্বা হবার সবচাইতে ভালো পদ্ধতি হচ্ছে ঘুম। ঘুম আমাদের মানসিক ও শারীরিক শান্তির পাশাপাশি ঘুমের সময় দেহ গঠনের টিস্যুগুলো কাজ করে। আমাদের দেহে শরীর গঠনের হরমোন প্রাকৃতিক উপায়ে উৎপন্ন হতে থাকে পরিমিত পরিমাণে ঘুম ও বিশ্রাম নেয়ার মাধ্যমে। এরফলে আমাদের উচ্চতা ও শারীরিক গঠন বৃদ্ধি পায়। তাই বয়স অনুযায়ী ৮-১১ ঘণ্টা ঘুম ও বিশ্রাম নেয়ার চেষ্টা করবেন। লম্বা হওয়ার ব্যায়াম ও খেলাধুলা শৈশব থেকেই যারা সুঠাম দেহের অধিকারী হয় এবং অনেক বেশি খেলাধুলা করে থাকে তাদের উচ্চতা অন্যদের তুলনায় বেশি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে। এমনকি সাতার, ফুটবল, আরোবিক্স, ক্রিকেট, টেনিস, বাস্কেটবলের মতো খেলার মাধ্যমে দেহের উচ্চতা বৃদ্ধি করে লম্বা হওয়াতে সহায়ক। এছাড়া হাঙ্গিং, স্ট্রেচিং ধরণের লম্বা হওয়ার ব্যায়াম করতে পারেন। কারণ যারা সুঠাম দেহের অধিকারী এবং অনেক বেশি খেলাধুলা, ব্যায়াম করেন তারা স্বভাবতই অন্যদের তুলনায় একটু বেশি পুষ্টিকর খাবার খেয়ে থাকেন। এতে দুটো ব্যাপারই কাজ করে উচ্চতা বৃদ্ধিতে। সঠিকভাবে ঘুমান লম্বা হওয়ার সহজ উপায় হচ্ছে হাঁটাচলা করার সময়, বসার সময় সঠিকভাবে ঘাড় ও মেরুদণ্ড সোজা রাখবেন। ঘুমানোর সময়ও ঘাড় সোজা রেখে ঘুমানোর চেষ্টা লম্বা হবার ক্ষেত্রে সহায়তা করে থাকে। পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর খাবার লম্বা হওয়ার জন্য প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার কোন বিকল্প নেই। পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর খাবার দেহের হাড় ও কোষের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। লম্বা হওয়ার জন্য প্রয়োজন হচ্ছে সুষম খাদ্য খাওয়ার অভ্যাস। প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, জিঙ্ক যুক্ত খাদ্য খেতে হবে। আমাদের দেহে ভিটামিন ডি গ্রোথ হরমোন উৎপন্ন করে। আমাদের দেহে ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠন এবং হাড় মজবুত করে। দুধে প্রচুর ক্যালসিয়াম রয়েছে, দুধের পরিবর্তে ডাল ও বাদাম খেয়ে দুধের অভাব অনেকাংশে পূরণ করা সম্ভব।৬০ গ্রাম ডালে প্রায় ২৫০ মিঃ লিঃ দুধের সমান প্রোটিন আছে। এছাড়া দই, সবুজ শাকসবজীতেও ক্যালসিয়াম পাবেন। ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, এবং কার্বোহাইড্রেট কোষ গঠন ও বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। আমাদের দেহে প্রোটিন পেশীর বৃদ্ধি ও হাড়ের সঠিক বিকাশে সাহায্য করে। পর্যাপ্ত পরিমাণ চর্বিহীন প্রোটিন খাবার খাবেন। চর্বিহীন প্রোটিন খাবার বলতে মুরগীর মাংস, ডাল, মাছ, দুধ এই ধরনের খাদ্য। উচ্চতা বৃদ্ধিতে ভাত এর বদলে রুটি খাওয়া ভাল। এছাড়াও খাবার হজম ও সম্পূর্ণ দেহে পুষ্টি পৌঁছানোর বিষয়ের উপরও লম্বা হওয়া নির্ভরশীল। সুষম খাদ্য নিয়মিত খাবার চেষ্টা করবেন। নিয়ম মেনে খাওয়া দাওয়া করুন সঠিক সময় অনুযায়ী খাওয়া দাওয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকুন। লম্বা হওয়ার জন্য দিনে তিনবার খাওয়ার পরিবর্তে দিনে অন্তত পাঁচ বার খাওয়া দাওয়া করার অভ্যাস করবেন। অসময়ে খাবার খাওয়া, এক বেলায় খাওয়া অন্য বেলায় না খাওয়া, এক বেলায় বেশি খাওয়া অন্য বেলায় কম খাওয়া, এমন করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। নিয়ম না মেনে খাওয়া দাওয়া করা লম্বা হওয়ার জন্য বিরাট প্রতিবন্ধকতা সরূপ। লম্বার হওয়ার জন্য কোন ঔষুধ নয় লম্বা হওয়ার সহজ উপায় হিসাবে সবচেয়ে কার্যকর ও খুবই ব্যয়বহুল উপায়। লম্বা হওয়ার জন্য মানবদেহে ইঞ্জেকশন দিয়ে হরমোন বৃদ্ধি করা যায়। এটি সম্পূর্ণ বেআইনি, ফলে একজন ডাক্তার কখনই এরকম কিছু প্রেস্ক্রাইব করবে না। লম্বা হওয়ার জন্য বাজারে অনেক ঔষুধ পাওয়া যায়। এগুলোও আপনাকে লম্বা হওয়ার নিশ্চয়তা দিলেও আসলে এগুলো ব্যবহারে লম্বা হওয়ার পরিবর্তে স্বাস্থ্যহানি করবে। লম্বা হওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করে এমন কিছু করবেন না লম্বা হবার জন্য শরীরের উপর চাপ সৃষ্টি করে এমন ভারি কোন জিনিস বহন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। ভারি জিনিস বহনের কারনে মেরুদণ্ডের উপর চাপ পড়ে ফলে লম্বা হবার পথে বাধা প্রাপ্ত হয়। যেমনঃ পানি ভর্তি বালতি, ভারি স্কুল ব্যাগ। উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য কিছু জিনিস এড়িয়ে চলতে হবে। পচা, বাসি খাদ্য একেবারে খাওয়া যাবেনা। এমনকি সকালে না খেয়ে কাজে যাওয়া ত্যাগ করতে হবে। জাংক ফুড, স্যাচুরেটেড ফ্যাট, অতিরিক্ত চিনি, কার্বোনেটেড ড্রিংকস, ড্রাগ, এলকোহল, ধূমপান, মদ্যপান ইত্যাদি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তেমনি দেহে গ্রোথ হরমোন তৈরিতে বাঁধা প্রদান করে ও করটিসল উত্পাদিত হয়। ফলে লম্বা হবার পথে বাধা প্রাপ্ত হয়। মানসিক চাপ দেহ লম্বা হওয়ার ক্ষেত্রে একটি বিরাট বাঁধা রাতে না ঘুমানো, যেকোনো মানসিক চাপ যার কারণে শরীরের গ্রোথ হরমোনের মাত্রা কমে যায় এবং করটিসল উৎপাদিত হয়। করটিসল কমাতে ভিটামিন C সম্পূরকসমূহ সাহায্য করে। Niacin supplementation Niacin হচ্ছে একটি প্রাকৃতিক ভিটামিন নামক ভিটামিন B3। সাধারণ মানুষের বৃদ্ধি থেকে ৫০০গ্রাম নিয়াসিন সেবন করা মানুষের লম্বা হওয়ার প্রবণতা বেশি হয়। গবেষণায় দেখা গেছে যে, মানবদেহের বৃদ্ধির প্রায় ৮০% নির্ভর করে আপনার বংশের উপর। বাকি ২০% প্রভাব থাকে আপনার পরিবেশ, খাদ্যাভ্যাস ও আপনার দৈনন্দিন কার্যকলাপের উপর। সুতরাং এগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে আপনিও লম্বা হতে পারবেন। লম্বা হওয়ার ব্যায়াম যোগব্যায়ামের অভ্যাস উচ্চতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রতিদিন নিয়মিত নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম করলে দেহে ঘুমের সময় যে গ্রোথ হরমোনের নিঃসরণ ঘটায়, তা উৎপন্ন করে এবং আমাদের লম্বা হওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করে। ট্রাইঅ্যাঙ্গেল পোজ, মাউন্টেইন পোজ, কোবরা পোজ, প্লিজেন্ট পোজ, ট্রি পোজ ইত্যাদি বিভিন্ন ধরণের ব্যায়াম লম্বা হওয়ার বিশেষ ভাবে সহায়ক। যদি ব্যায়াম করতে খুব বেশী ভালো না লাগে তবে প্রতিদিন হাঁটুন, প্রতিদিন বাই-সাইকেল চালান বা প্রতিদিন অন্তত ২০ মিনিট ১০ সেকেন্ড করে ঝুলে থাকবেন। যেকোনো কঠিন শারীরিক ব্যায়াম আপনাকে লম্বা হতে সাহায্য করবে। তবে অবশ্যই ২১বছর বয়স হওয়ার পর করবেন। লম্বা হবার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করুন। প্রয়োজনে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন নিজের উচ্চতা নিয়ে অনেকেই বেশ হীনমন্যতায় ভুগেন। অনেকের ধারণা লম্বা কম বেশি হওয়ার পেছনে শুধুমাত্র জেনেটিক কিছু ব্যাপার কাজ করে। তবে আপনার পরিবেশ, খাদ্যাভ্যাস ও আপনার দৈনন্দিন কার্যকলাপের উপরও উচ্চতা কম বেশি হয়। ২০ বছর বয়সেও যদি উচ্চতা সঠিকভাবে না বাড়ে তবে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। (Visited 512 times, 7 visits today)