যদি কোন ভ্যানচালক যাত্রী/মালামাল না নিয়ে সারাদিন রাস্তায় ঘুরে তবে কি কোন লাভ আছে ? আপনি অবশ্যই উত্তর দিবেন "না"। সুতরাং আপনি নিশ্চয় বুঝতে পারছেন শুধু শুধু বই নিয়ে বসে থেকে কোন লাভ নেই । পড়ার সময় পূর্ন মনোযোগ দিতে নিরিবিলি কোন জায়গা নির্বাচন করুন। পড়ার সময় চারিদিকে কি ঘটছে তা আপনার দেখার দরকার নেই। পড়তে বসার পুর্বে কতটুকু পড়বেন তা ঠিক করে নিন এবং সেটুকু কমপ্লিট না করে উঠবেন না এই প্রতিজ্ঞা করুন। এইভাবে এগুতে পারেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

পড়াশোনার ফাকে মাঝে মাঝে লেখা-লেখি করুন। একদমই পড়তে মন না চাইলে বিভিন্ন গল্প কবিতা উপন্যাসের বই পড়ার অভ্যাস করুন। দেখবেন এক সময় পাঠ্যবই পড়তেও ভাল লাগছে। এছাড়া পড়াই মনোযোগ সৃষ্টির জন্য নীচের কাজগুলো করতে পারেন- এবার আসুন জেনে নেই কিভাবে পড়ায় আগ্রহ ও মনযোগ তৈরি করা যায় তার কিছু সহজতম কৌশল— (১) প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে কেন আপনি পড়ছেন। যখন আপনি বুঝবেন, এই পড়াটা ভালোভাবে করার মাধ্যমেই আপনি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করতে পারবেন এবং আপনার পক্ষে ধাপে ধাপে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব, তখনই আপনি আগ্রহী হবেন। আর আগ্রহ থাকলে যেকোনো কাজে মনোযোগ এমনিতেই আসে। অর্থাৎ আপনাকে জানতে হবে যে, কেন এই কাজটা গুরুত্বপূর্ণ। ২) মনোযোগের একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আনন্দ। পড়তে বসার আগে একটু চিন্তা করুন- কী পড়বেন, কেন পড়বেন, কতক্ষণ ধরে পড়বেন। প্রত্যেকবার পড়ার আগে কিছু টার্গেট ঠিক করে নিন। যেমন, এত পৃষ্ঠা বা এতগুলো অনুশীলনী।তাহলে দেখবেন আপনার সমস্ত মনযোগ ঐ পড়াটুকু কমপ্লিট করাতে নিবদ্ধ হবে। (৩) বিষয়ের বৈচিত্র রাখুন।ভাগ ভাগ করে বিভিন্ন সাব্জেট পরুন।একঘেঁয়েমি আসবে না।নিত্য নতুন পড়ার কৌশল চিন্তা করুন।রং বেরঙ্গের পেন দিয়ে বই দাগানোর অভ্যাস করতে পারেন,এটিও পড়াকে আনন্দঘন করে তুলতে সাহায্য করে। (৪) এনার্জি লেভেলের সঙ্গে আগ্রহের একটা সম্পর্ক আছে।এনার্জি যত বেশি, মনোযোগ নিবদ্ধ করার ক্ষমতা তত বেশি হয়। আর অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীর দিনের প্রথমভাগেই এনার্জি বেশি থাকে। তাদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, যে পড়াটা দিনে এক ঘণ্টায় পড়তে পারছে সেই একই পড়া পড়তে রাতে দেড় ঘণ্টা লাগছে। তাই কঠিন,বিরক্তিকর ও একঘেয়ে বিষয়গুলো সকালের দিকেই পড়ুন। পছন্দের বিষয়গুলো পড়ুন পরের দিকে। তবে যদি উল্টোটা হয়, অর্থাৎ রাতে পড়তে আপনি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, তাহলে সেভাবেই সাজান আপনার রুটিন। (৫) আরেকটা কাজ করবেন-একটানা না পড়ে বিরতি দিয়ে পড়বেন।কারণ গবেষণায় দেখা গেছে,সাধারণত একটানা ৪০ মিনিটের বেশি একজন মানুষ মনোযোগ দিতে পারে না। তাই একটানা মনোযোগের জন্যে মনের ওপর বল প্রয়োগ না করে প্রতি ৩০-৪০ মিনিট পড়ার পর ৫-১০ মিনিটের একটা ছোট্ট বিরতি নিতে পারেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Mdnurnabi

Call

পড়ায় মনোযোগ দেয়ার উপায়: মনোযোগ/ আগ্রহ বাড়ানোঃ মনোযোগী হতে হলে আপনার আগ্রহ বাড়াতে হবে। তবে মনোযোগটা থাকতে হবে নিজের প্রতি এবং সময়ের প্রতি। যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনার আগ্রহ বাড়ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি কখনোই মনোযোগী হতে পারবেন না। তাই প্রথমে অমনোযোগের কারণটি খুঁজে বের করুন। কোন সময়টাতে পড়তে বসলে আপনার মনোযোগ থাকেনা লক্ষ্য করুনl মনোযোগের জন্যে আপনি কোন ভঙ্গিতে বসছেন সেটিও গুরুত্বপূর্ণ। সোজা হয়ে আরামে বসুন। অপ্রয়োজনীয় নড়াচড়া বন্ধ করুন। চেয়ারে এমনভাবে বসুন যাতে পা মেঝেতে লেগে থাকে। টেবিলের দিকে একটু ঝুঁকে বসুন। আপনার চোখ থেকে টেবিলের দূরত্ব অন্তত দু ফুট হওয়া উচিৎ। লক্ষ্যের প্রতি মনোযোগীঃ যদি কোনো কাজকে আপনি উপভোগ না করতে পারেন, তাহলে কোনোভাবেই কাজে মনোযোগী হওয়া সম্ভব নয়। যদি কোনো কাজ করার জন্য প্রচুর পরিশ্রম করেও হঠাৎ মাঝপথেই থেমে যান উক্ত কাজটি আপনার কোনোদিনই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে না। তাই, নিজের লক্ষ্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। যদি লক্ষ্যের প্রতি মনোযোগী হওয়া যায়, তা হলে খুব সহজেই পাঠ্যবইয়ের প্রতিও মনোযোগ চলে আসে। কেননা লক্ষ্য পূরণের প্রথম ধাপই হচ্ছে পাঠ্যবই। পড়ার পরিবেশঃ মূলত সম্পূর্ণ মনোযোগ দেয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট সুষ্ঠু সুন্দর পরিবেশ দরকার। কম্পিউটারে গান চলছে আর আপনি যদি পড়ার টেবিলে থাকেন তাহলে পাঠ্যবইয়ের প্রতি মনোনিবেশ করা সম্ভব নয়। আপনার পড়ার জন্য একটি টেবিল ও চেয়ার থাকা জরুরী। এই বস্তুগুলো এমন স্থানে সাজাতে হবে যেন আপনি আরামের সাথে বসতে পারেন। একটানা না পড়ে বিরতি দিয়ে পড়বেন। প্রতি ৫০ মিনিট পড়ার পর ৫ মিনিটের একটা ছোট্ট বিরতি নিতে পারেন। কিন্তু এ বিরতির সময় টিভি, মোবাইল বা কম্পিউটার নিয়ে ব্যস্ত হবেন না যা হয়তো ৫ মিনিটের নামে দুঘণ্টা নিয়ে নিতে পারে। রুটিন পরিকল্পনাঃ সময়টাকে খুব গুরুত্ব দিন। মনে রাখবেন আপনার প্রতিটা দিন, প্রতিটা মুহূর্ত আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।তাই পড়াশোনার ব্যাপারেও একটি সুশৃঙ্খল তালিকা তৈরি করা যায়।এতে করে সময়ের সম্পর্কে আরো বেশি দায়িত্বশীল হওয়া যায়। অনেক সময় দেখা যায়, যে পড়াটা দিনে ১ ঘন্টায় পড়তে পারছেন সেই একই পড়া পড়তে রাতে দেড় ঘণ্টা লাগছে। তাই কঠিন, বিরক্তিকর ও একঘেয়ে বিষয়গুলো সকালের দিকেই পড়ুন। পছন্দের বিষয়গুলো পড়ুন পরের দিকে। পড়ার পাশাপাশি লেখার অভ্যাস খুবই জরুরি। তবে যদি উল্টোটা হয়, অর্থাৎ রাতে পড়তে আপনি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, তাহলে সেভাবেই সাজান আপনার রুটিন। খাওয়া-দাওয়াঃ পুষ্টিকর খাবার সময়মত খেতে হবে। আর পড়াশোনায় ব্যাস্ত থাকলে ক্ষুধা একটু বেশিই লাগে। তাই হাতের কাছেই কিছু শুঁকনো খাবার রাখুন এবং প্রচুর পরিমানে পানি পান করুন। অন্যমনস্কতা/একঘেয়েমি থেকে বাঁচতেঃ পড়তে পড়তে মন যখন উদ্দেশ্যহীনতায় ভেসে বেড়াচ্ছে জোর করে তখন বইয়ের দিকে তাকিয়ে না থেকে দাঁড়িয়ে পড়ুন। তবে রুম ছেড়ে যাবেন না। কয়েকবার এ অভ্যাস করলেই দেখবেন আর অন্যমনস্ক হচ্ছেন না।এছাড়া একটানা একটা বিষয় পড়তে আপনি বিরক্ত হতে পারেন। তাই অন্য বিষয়গুলোর প্রতি নজর দিন। বিষয়টার সাথে আপনার সময়সীমা বেঁধে দিন। বিশ্রামঃ সারাক্ষণ কাজ আমাদের মস্তিষ্ককে ক্লান্ত করে তোলে। ক্লান্তি মস্তিষ্কের কাজ করার ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। তাই পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। আপনাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অবশ্যই ৬-৮ ঘণ্টার কম কিংবা বেশি ঘুমনো যাবে না। এতে আপনার শরীরের ভারসাম্য কিঞ্চিৎ ব্যাঘাত ঘটতে পারে। নিয়মিতঃ পড়াশোনায় নিয়মিত না হলে আপনার এর থেকে বিচ্ছুতি ঘটবে তাই নিয়মমাফিক পড়াশোনা করুন। আপনাকে অবশ্যই ‘কাল’ কথাটা ভুলে যেতে হবে। ‘আজ’ কথাটা সবসময় মাথায় রাখতে হবে। আপনি পড়াশোনা শুরু করবেন কাল নয়, আজকে এখনি শুরু করুন। বুঝে পড়ুনঃ এ কবার পড়েই কোনো বিষয় মনে রাখা সহজ নয়। তাই যে কোনো বিষয় মুখস্থ করার আগে বিষয়টি কয়েকবার পড়ে বুঝে নিতে হবে। তাহলে সেটা মনে রাখা অনেক সহজ হবে। ক্রোধঃ ক্রো ধ বা রাগ মন ও মস্তিষ্কের শত্রু। আমরা যখন রেগে যাই তখন শরীরে নিঃসৃত হয় বিশেষ এক ধরনের রাসায়নিক যৌগ যা আমাদের মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়। মেডিটেশনঃ নিয়ম করে দিনের কিছু সময় মেডিটেশন করুন। যোগ ব্যায়াম করতে পারেন। সম্ভব না হলে অন্তত সকাল-সন্ধ্যা খোলা ময়দানে হাঁটুন। এ অভ্যাসগুলো মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। মস্তিষ্কের তথ্য ধারণ ক্ষমতা বাড়ায়। স্মরণশক্তি মূলত নির্ভর করে আমাদের চিন্তা করার ক্ষমতার ওপর। মেডিটেশন আমাদের চিন্তা করার ক্ষমতা বাড়ায়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ