শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

ভাল ঘুম হতে গেলে মনের ভিতরে জমে থাকা টেনশন কমান। **অফিসের কাজ একদম বাড়িতে নয়। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান। **ভাল গল্পের বই পড়ুন। ভূত বা রহ্স্যর গল্প রাতে না পড়াই ভাল। রোমান্টিক গল্প পড়ুন। দেখবেন তাড়াতাড়ি ঘুম আসবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, হাতে ট্যাব না রেখে একটা বই রাখুন, ঘুম আপনার চোখের পাতা ভারি করবে। ** রাতে হাল্কা খাবার খান। জানেন তো বাঙালি গ্যাস অম্বল আর পাশ বালিশ ছাড়া ঘুমাতে পারেনা। তাই ঘুম ঠিকঠাক রাখতে রাতে তেল-ঝাল মশলার খাবার অব্যশই ত্যাগ করুন। ** টেনশন কমাতে অযথা ওষুধ খাবেন না। ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ব্যস, আর কী? জলের মতো ঘুম পেতে জীবনযাত্রাকে একটু সরল করুন। দেখবেন বাড়িতে গেলেও ঘুম হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

ভালো ঘুম নিশ্চিত করার জন্য কিছু করণীয় উল্লেখ করা হয়। ঘুমের পরিবেশ তৈরি করুন: ঘুমানোর জন্য চাই সঠিক ঘুমের অনুকূল পরিবেশ। ঘুমানোর কক্ষটি হতে হবে শান্ত, অন্ধকার আর শীতল। বাইরের অপ্রয়োজনীয় শব্দ থেকে রেহাই পেতে, ফ্যান চালু করে দিন, কিংবা আরামদায়ক একটি হেডফোন কানে গুঁজে শুনতে পারেন ধীরলয়ের কোমল কোনো সঙ্গীত। শোয়ার আগে নিজেকে চমৎকার একটি ঘুমের জন্য প্রস্তুত করুন। যেমন- কুসুম গরম পানিতে স্নান, দাঁত ব্রাশ করা, বিছানা গোছানো, বই পড়া। শোবার বিছানাটি হওয়া উচিত দৃঢ়, কিন্তু বেশি শক্ত নয়। ঘুমানোর সময় ঠিক রাখুন: প্রতিদিন একই সময় ঘুমানো ও জাগার অভ্যাস তৈরি করুন। এর ফলে দেহঘড়ি নির্দিষ্ট রুটিন তৈরি হয়। তবে ঘুম না এলে জোর করার প্রয়োজন নেই। কোনো একটি কাজে ব্যস্ত হয়ে যান, আপনাআপনিই ঘুম চলে আসবে। মন শান্ত রাখা: বিক্ষিপ্ত মনের কারণে ঘুমের অভাব হতে পারে। যদি দুশ্চিন্তা করার প্রবণতা থাকে, তাহলে দুশ্চিন্তার বিষয় নিয়ে ভাবার জন্য দিনের কিছুটা সময় আলাদা রাখুন। ইতিবাচক চিন্তা দিয়ে তার মোকাবিলা করুন। এছাড়াও মন শান্ত করার জন্য ধ্যান, শিথিলায়ন, শ্বাসচর্চা বেশ উপকারী। থাকতে হবে সবল: প্রতিদিন সামান্য শরীরচর্চা; যেমন- হাঁটা কিংবা যোগ ব্যায়াম ভালো ঘুম হওয়ার জন্য উপকারী। তবে ঘুমের ঠিক আগে আগে ব্যায়াম করা ঠিক নয়। খাবারদাবার ও ক্যাফেইন, অ্যালকোহল, ধূমপানের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখুন: ঘুমের অন্যতম শত্রু হল সিগারেট, অ্যালকোহল ও ক্যাফেইনজাতীয় পানীয়। ঘুমানোর আট থেকে ছয় ঘণ্টা আগে থেকে এসব পরিহার করুন। পেটে ক্ষুধা নিয়ে ঘুমাতে যাওয়া ঠিক নয়। তবে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আগে ভরপেট খাওয়াও অনুচিত। বারবার বাথরুমে যাওয়া এড়ানোর জন্য ঘুমানোর আগে পানি কম খাওয়া ভালো। টেলিভিশন, ট্যাব, স্মার্টফোন ব্যবহার না করা: ঘুমানোর আগে টিভি দেখা, ট্যাব, স্মার্টফোনজাতীয় যন্ত্র ব্যবহার ঘুমানোর পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। এদের পর্দা থেকে বিচ্ছুরিত আলো শুধু মেলাটোনিন’য়ের নিঃসরণকেই বাধা দেয় না পাশাপাশি এসব ডিভাইসের ব্যবহার মনকেও বিক্ষিপ্ত করে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ