অনেক সময় দেখা যায় যে মাজার নিয়ে অনেকে অনেক কিছু বলছে।  কেও পক্ষে আর কেওবা বিপক্ষে ।

মাজার ইসলাম কতটুকু সমর্থন করে ?

পীর সাহেবরা কি সত্যি মানুষকে জান্নাত পাইয়ে দিতে পারে ?

আর কেনই বা হিন্দুরা মাজারে যায়  ? 


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

মাজার একটি আরবী শব্দ, যা এখন শুধু বাংলাতেই ব্যবহৃত হয়। শব্দটি ফারসী দরগাহ শব্দের প্রতিশব্দ। এর ধাতুগত অর্থ ‘যিয়ারতের স্থান’। মাজার বলতে সাধারণত আওলিয়া-দরবেশগণের সমাধিস্থলকে বোঝায়। মাজারকে রওযা বা কবরও বলা হয়। এর নিকটবর্তী স্থানে মসজিদ, মাদ্রাসা, মকতব ইত্যাদি গড়ে ওঠে। মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) মদীনার কবরস্থান জান্নাত-আল বাকীতে এবং উহুদযুদ্ধে শাহাদতপ্রাপ্ত সাহাবীদের কবরস্থানে গমন করতেন এবং তাঁদের জন্য দোয়া করতেন। কবরকে মসজিদে পরিণত করা অর্থাৎ সিজদাহ করা ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। মাজারে মোম জ্বালানো, ফুল বিছানো, মাজারসজ্জ্বা করা ইত্যাদিও এর অন্তর্ভূক্ত । মাজারকে যারা সিজদার স্থল বানায়, ইসলামের দৃষ্টিতে তারা স্পষ্টশিরকে লিপ্ত। মাজারের প্রতি মুসলমানদের আকর্ষণ বৃদ্ধি পায় সুফী তরীকাগুলির প্রভাবের ফলে। সুফীতত্ত্বের অনুসারী মুসলমানরা সুফী দরবেশদের কবরস্থান যিয়ারত করতে পছন্দ করেন। অনেক মাজারে সমাধিস্থ ব্যক্তির উরস অর্থাৎ জন্ম-মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়। একে ঈসালে ছওয়াবের মাহফিল বলে। ঐতিহাসিক মাজারগুলি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ওয়াক্‌ফ সম্পত্তি থাকে এবং খাদিমও থাকেন; অনেক ক্ষেত্রে তাঁরা উত্তরাধিকারসূত্রে এ পদে অধিষ্ঠিত হন। ভারতীয় উপমহাদেশে বিভিন্ন মুসলিম দেশ থেকে আগত ইসলাম প্রচারক আওলিয়া-দরবেশদের মাজারগুলি এখনও বিদ্যমান, যথা: আজমীরে খাজা মঈনউদ্দীন চিশতির মাজার, দিল্লিতে নিযামউদ্দীন আওলিয়ার মাজার, লাহোরে ফরিদউদ্দীন গঞ্জ-এ-শাক্কারের মাজার, সিলেটে হযরত শাহ জালালের মাজার, রাজশাহীর শাহ মখদুম মাজার, ঢাকায় শাহ আলী বাগদাদীর মাজার, খুলনায় খানজাহান আলীর মাজার ইত্যাদি। চট্টগ্রাম মাজারের শহর হিসেবে খ্যাত, কারণ সেখানে বারো-আওলিয়ার মাজার আছে। অন্য ভাষায় পড়ুন

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

Call

একটি আরবী শব্দ, যামাজার এখন শুধু বাংলাতেই ব্যবহৃত হয়। শব্দটি ফারসী দরগাহ শব্দের প্রতিশব্দ। এর ধাতুগত অর্থ ‘যিয়ারতের স্থান’। মাজার বলতে সাধারণত আওলিয়া-দরবেশগণের সমাধিস্থলকে বোঝায়। মাজারকে রওযা বা কবরও বলা হয়। এর নিকটবর্তী স্থানে মসজিদ, মাদ্রাসা, মকতব ইত্যাদি গড়ে ওঠে। মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) মদীনার কবরস্থান জান্নাত-আল বাকীতে এবং উহুদযুদ্ধে শাহাদতপ্রাপ্ত সাহাবীদের কবরস্থানে গমন করতেন এবং তাঁদের জন্য দোয়া করতেন। কবরকে মসজিদে পরিণত করা অর্থাৎ সিজদাহ করা ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। মাজারে মোম জ্বালানো, ফুল বিছানো, মাজারসজ্জ্বা করা ইত্যাদিও এর অন্তর্ভূক্ত । মাজারকে যারা সিজদার স্থল বানায়, ইসলামের দৃষ্টিতে তারা স্পষ্টশিরকে লিপ্ত। মাজাররে একটি বিষয় লক্ষনীয় যে, এখানে হিন্দু মুসলিম সমান সমান। মুসলমানদের সাথে সাথে হিন্দুরাও মাজার গুলোতে পুজো দেয়, প্রার্থনা করে। কিন্তু, কোন মন্দির দেখিনি যেখানে কোন মুসলমান প্রার্থনা করছে। দেখার জন্য কেবল দু'একজন যায়। কিন্তু কেন???? তবে কি হিন্দুরা মন্দিরে প্রার্থনা করে প্রার্থনা অনুযায়ি না পেয়ে তারা মাজারের দারস্ত হয়?? কোন অশ্রাব্য ভাষা ব্যাবহার না করে আলোচনা কাম্য। মাজার গুলো ভন্ডামিতে ভরপুর, আর ইসলাম কখনোই মাজার সাপোর্ট করে না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

মূলত দেখার বিষয় হচ্ছে মাজারের নামে সংশ্লিষ্ট লোকেরা কি কি কর্মকান্ড পরিচালনা করে। যদি তাদের কর্মকান্ড ইসলামসম্মত মানবকল্যানে কোন ভুমিকা রাখে তাহলে মাজার মসজিদের মতই পবিত্র কিন্তু যদি সেখানে বিতর্কিত কর্মকান্ড, ভন্ডামী, শিরক জাতীয় কিছু হয় (যেগুলো অামাদের দেশে সচরাচর দেখা যায়) তাহলে মাজার নামধারি বিতর্কিত প্রতিষ্ঠানগুলো কোন গুরুত্ব বহন করে না, অার অমার্জনীয় গুনাহের মধ্যে শিরক অন্যতম।  অামি কখনও দেখিনি বা শুনিনি বন্যা, জনচ্ছাস বা যেকোন দূর্যোগে অসহায় মানুষের জন্য কোন মাজার কমিটি থেকে সাহয্য করছে !

অারেকটা বিষয় কোন বিখ্যাত অাউলিয়ার নামে যদি কোন মাজার প্রতিষ্ঠা হয় অার তাতে কিছু ভন্ড পথভ্রষ্ট মানুষ বিতর্কিত কাজ করে তার মানে এই না যে ঐ মাজারের কর্মকান্ডের সাথে ঐ অাউলিয়ার নুন্যতম কোন সম্পর্ক অাছে, কারন তিনি এগুলো দেখছেন না বা সমর্থন করছেন না। এই হিসাবে সচরাচর যে মাজারগুলো দেখা যায় সেগুলো সহজ-সরল অার স্বপ্নবাজ মানুষদের বোকা বানিয়ে বিনা পুজিতে বিরাটা অবৈধ ব্যাবসার রাজত্ব ছাড়া কিছুই না। ঐ সকল অাউলিয়ারা তাদের জীবদ্বশায় কি করেছে তার থেকে বড় বিষয় বর্তমানে তাদের নামে কিছু সঙ্গবদ্ধ চক্র কি কর্মকান্ড করছে। বাংলাদেশে এমন অনেক বিখ্যাতা অাউলিয়ার নামে বিখ্যাত মাজার অাছে যেখানে সেই অাউলিয়ার জীবনে কখনো অাসেইনি অথচ কিছু মানুষ তাদের কল্পিত কবর বানিয়ে কোটি টাকার বিশাল ব্যাবসা খুলে বসেছে ! সংগত কারনে নাম উল্লেখ করলাম না।

যেখানে ইসলামে কবর স্থায়ী সংরক্ষন করা নিষেধ সেখানে মাজারের কবরে কোটি টাকা খরচ করে অলংকিত করা, কবরে সিজদাহ করা, মোমবাতি-অাগরবাতি দেয়া, টাকা-পয়সা বা গরু-ছাগ উৎস্বর্গ করা সম্পুর্ণ নিষিদ্ধ কবর পুজার শামিল। মৃত মানুষের অাত্মা থাকে অাকাশে দুনিয়ার সাথে তাদের নুন্যতম কোন সম্পর্ক থাকে না। মৃত মানুষের অাত্মা নিজের অতীত কৃতকর্মের অনুশোচনায় প্রতিনিয়ত দগ্ধ হতে থাকে তাই তারা দুনিয়ার কোন খবর জানে না, কারো জন্য সুপারিশ করার নুন্যতম কোন ক্ষমতা রাখে না। 

পৃতিবীতে এই পর্যন্ত যত মানুষদের কবর দেয়া হয়েছে সেগুলো যদি স্থায়ী সংরক্ষন করা হত তাহলে অামাদের জন্য এক ইঞ্চি জায়গাও অবশিষ্ট থাকতো না তাই নিজেই যাচাই করে দেখুন রাজকিয়ভাবে কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে কবর সংরক্ষন কতটা ইসলাম সম্মত বা মানব কল্যানে অাদৌ কোন অবদান রাখছে কি?

এটা অামার ব্যাক্তিগত বিশ্লেষন ভুল-ত্রুটি মার্জনীয় ।

ধন্যবাদ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ