আমার নাকি ঘুমের মাঝে নাক ডাকে | এর কারন ও প্রতিকার কারো জানা থাকলে বলবেন
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

স্থূলকায় ব্যক্তিদের তালু, ফ্যাংরিস ও জিভের মাংসপেশি অন্যদের তুলনায় বেশি শিথিল হয়ে যায় বলে তাদের এই সমস্যা একটু বেশি দেখা যায় হয়তো, তবে স্থূলতাকেই প্রধান কারন বলা যায় না। গলা বা নাকের কোনো অসুখ, টনসিল, বড় জিভ, লম্বা আলজিভ, ছোট চোয়ালের হাড়, তালুতে প্যারালাইসিস, সিস্ট, পলিপ, মদ্যপান, ধূমপান, উচ্চ রক্তচাপ, মাদকাসক্তি, থাইরয়েডের অসুখ, স্নায়ুঘটিত রোগ, হার্ট বা ফুসফুসের রোগ ইত্যাদি অনেক কারনেই নাক ডাকা সমস্যা দেখা যায়। নারী- পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ, ক্ষীনকায়-স্থূলকায় যে কোনো মানুষেরই এর যে কোনো একটি বা একাধিক সমস্যা থাকতে পারে। প্রতিকারঃ ১। আপনার ঘুমের পজিশন পরিবর্তন করুন পিঠে ভর করে শোয়া শরীরের ত্বক এবং বিভিন্ন অংগ-প্রত্যংগের জন্য উপকারী হলেও যারা নাক ডাকেন, তাদের জন্য সুবিধাজনক পজিশন নয়। পিঠে ভর করে শোয়ার ফলে জিহ্বার মূল এবং সফট প্যালেট গলার পিছনের দেয়ালের সাথে লেগে যায়। যার ফলে ঘুমের মধ্যে শ্বাস-প্রশ্বাসে একধরনের শব্দ-কম্পনের সৃষ্টি করে। কাজেই পিঠে ভর করে না শুয়ে পাশ ফিরে শুতে পারেন। এতে নাক ডাকা বন্ধ হতে পারে। স্লটারের মতে বডি পিলো বা কোল বালিশ ব্যবহার করে একপাশে শুতে পারেন এবং এতে নাটকীয় ফল পাবেন। চক্রবর্তির মতে পাজামার মধ্যে পিছনের অংশে একটি টেনিস বল পেতে রেখে শুতে পারেন। “এটা আপনাকে পিঠে ভর দিয়ে শোয়া থেকে বিরত রাখবে। অথবা আপনি বিছানায় শরীরটাকে এলিয়ে দিয়ে মাথাটাকে উপরের দিকে রেখে সটান শুয়ে পড়তে পারেন। এটা আপনার নাকের বায়ু চলাচলের পথকে খোলা রাখবে এবং নাক ডাকা বন্ধ করবে। তবে মনে রাখবেন এই পজিশনে ঘুমালে আপনার ঘাড় ব্যাথা হতে পারে। এরপরও যদি নাক ডাকা বন্ধ না হয়, তাহলে বুঝতে হবে আপনার স্লিপ এ্যাপনিয়া আছে। এক্ষেত্রে দেরী না করে ডাক্তারের শ্মরণাপন্ন হোন” – চক্রবর্তি বলেন। ২। ওজন কমান ওজন কমালে কারো কারো ক্ষেত্রে নাক ডাকা বন্ধ হতে পারে, তবে সবার জন্য নয়। স্লটারের মতে অনেক পাতলা শরীরের লোক আছেন, যারা নাক ডাকা সমস্যায় ভুগছেন। তিনি আরো বলেন, “আপনার যদি ওজন বেড়ে যায় আর আপনি ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা শুরু করেন যা ওজন বাড়ার আগে আপনার ছিল না, তবে ওজন কমালে তা বন্ধ হতে পারে। আপনার যদি ঘাড়ের দিকে ওজন বাড়ে, তাহলে তা’ গলার ভিতরের পরিধি কমিয়ে দেয় এবং ঘুমের মধ্যে যা আরো সংকুচিত হয়। ফলে নাক ডাকা শুরু হয়”। ৩। এ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন এ্যালকোহল এবং ঘুমের বড়ি গলার পিছনের অংশের মাংসপেশির স্বাভাবিক অবস্থায় আসতে বাধা দেয়। এর ফলে নাক ডাকতে পারেন। চক্রবর্তি বলেন, “ঘুমানোর ৪/৫ ঘন্টা আগে এ্যালকোহল পানে নাক ডাকা বেশি রকম বেড়ে যেতে পারে। যারা স্বাভাবিক অবস্থায় নাক ডাকেন না, এ্যালকোহল পানের পর ঘুমানোর সময় তাদের নাক ডাকবে। ৪। ভালো ঘুমের জন্য ভাল অভ্যাস গড়ে তুলুন ঘুমের বদ অভ্যাসগুলো পরিত্যাগ করুন। যেমন সময়মত না ঘুমাতে যাওয়া, ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত টিভি দেখা, অতিরিক্ত পরিশ্রম করা বা পর্যাপ্ত পরিমান ঘুম ছাড়া দীর্ঘসময় ধরে কাজ করা ইত্যাদি। কারন এতে করে আপনি খুব বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়বেন। আর যখন ঘুমাতে যাবেন আপনার মাংসপেশিগুলো ঢলঢলো হয়ে পড়বে, নাকের ভিতরের বায়ু চলাচলের রাস্তা সংকুচিত হয়ে পড়বে। আপনি গভীর ঘুমে নেতিয়ে পড়বেন। শুরু হবে নাক ডাকা। ৫। নাকের ফুটো খোলা রাখার চেষ্টা করুন নাকের ফুটো বা বায়ু চলাচলের পথ খোলা রাখতে পারলে নাক ডাকা বন্ধ হবে। কারন এতে প্রশস্ত জায়গা দিয়ে বাতাস ধীর গতিতে প্রবেশ করতে পারবে, ফলে নাক ডাকা বন্ধ হবে। স্লটার বলেন, “কল্পনা করুন আপনি একটি হোস পাইপ দিয়ে বাগানে পানি দিচ্ছেন। যদি হোস পাইপের নালীটা সরু হয়, তাহলে তার ভিতর দিয়ে পানি তীব্র বেগে প্রবাহিত হবে। আপনার নাকের ফুটো তেমনি কাজ করে। যদি আপনার নাক ঠান্ডাজনিত বা অন্য কোন কারনে বন্ধ থাকে বা নাকের ফুটো সরু হয়ে থাকে, তাহলে তার ভিতর দিয়ে দ্রুত এবং জোরে জোরে বাতাস ভিতরে প্রবেশ করবে এবং নাক ডাকার শব্দ হবে। স্লটারের মতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে হালকা গরম পানিতে গোসল করে নিলে নাকের পথ প্রশস্ত থাকবে। তবে গোসলে এক বোতল লবনগোলা পানি দিয়ে আস্তে আস্তে নাকে ছিঁটিয়ে দিয়ে নাক পরিস্কার করে নিতে পারেন। এতে ভাল উপকার পাওয়া যায়। ‘নেতি পট’ ব্যবহার করে সল্ট- ওয়াটার সলিউশন দিয়ে আলতোভাবে নাক ধুয়ে ফেলতে পারেন। এছাড়া ন্যাসাল স্ট্রিপ ব্যবহার করতে পারেন যদি না আপনার নাকে কোন সমস্যা থাকে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

নাকের সুড়ঙ্গ পরিষ্কার রাখুন: যদি নাকের সুড়ঙ্গপথ সর্দির কারণে মিউকাস দিয়ে বন্ধ থাকে তবে শ্বাস নিতে কষ্ট হবে। তখন বাধ্য হয়ে আপনি নাকের বদলে মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস নেবেন। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে গরম পানির ভাপ নিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে। রাতের খাবার সময় ঠিক করুন: ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ২ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খাবেন। ফলে খাবার হজম হবে আপনি জেগে থাকতেই, যা আপনাকে আরামদায়ক, ভালো ঘুম নিশ্চিত করবে। প্রচুর তরল পান করুন: প্রতিদিন প্রচুর তরল পান করুন। শুষ্কতা থেকে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, শ্বাসনালি এবং নাকের মিউকাসকেও নরম রাখুন।  ব্যায়াম: হৃৎপি-কে সবল রাখতে, রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ব্যায়াম প্রয়োজন। নিয়মিত ব্যায়াম ঘুমের ধরনকেও স্বাভাবিক রাখে। যে কারণে প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন। নাকডাকা কমান। ধূমপান ত্যাগ করুন: শ্বাসনালিতে ক্লট তৈরি করে ধূমপান শ্বাস-প্রশাসে বাধা দেয়। ধূমপান ছাড়লে এ সমস্যা কমে যায়। ফলে নাকডাকাও কমে যায়। ঘুমের সময় ঠিক করুন: ঘুম স্বাস্থ্যের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা ঘুমান প্রতিদিন। প্রতিদিন যথাসময়ে ঘুমাতে যান ঠিক সময়ে উঠুন। এটি আপনার জীবনে ছন্দ নিয়ে আসবে। নাকডাকা কমানোতে এর প্রভাব রয়েছে। অ্যালকোহল এবং অন্যান্য ঘুমের ওষুধ ছেড়ে দিন: যারা নাক ডাকেন না তারাও অ্যালকোহল গ্রহণ করলে নাক ডাকতে পারেন। ঘুমানোর আগে অ্যালকোহল নিলে এটি শ্বাসনালিকে শিথিল করে দেয়, যা নাক ডাকার কারণ হতে পারে। অতিরিক্ত বালিশ নিন: ঘুমানোর আগে মাথার নিচে অতিরিক্ত একটা বালিশ দিন। তাতে আপনার মাথা বুক থেকে উপরে থাকবে, যা নাক ডাকা কমিয়ে দেবে শ্বাসনালিকে বেশি খোলা রেখে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
shuvoshek

Call

ঘুমের মধ্যে প্রশ্বাস নেয়া এবং নিঃশ্বাস ছাড়ার বারবার ব্যহত হলেই মানুষ নাক ডাকে। ঘনঘন এই শ্বাস নেয়া এবং ছাড়া বন্ধ হলেই ..

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

Call
গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকা অবস্থায় মানুষ যখন শ্বাস নেয় তখন ঐ অপ্রস্থ পথে বাতাস যেতে আসতে বাঁধা পায়। আর বাতাস এমনি এক জিনিস যা তার চলার পথে কোথাও বাঁধা পেলে গতি বেড়ে যায়। আমাদের তালুর পেছনে নরম তালু আছে। বাতাসের তীব্রতা বাড়লে উক্ত নরম তালুতে কম্পনের সৃষ্টি হয়।কম্পনের ফলে শব্দ উৎপন্ন হয়। নরম তালুতে কম্পনের ফলে সৃষ্ট শব্দকে বলা হয় নাসিকা গর্জন বা নাক ডাকা।এর প্রতিকার জানতেএখানে দেখুন
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

নাক ডাকার মূল কারণ হল ঘুমোনর সময় নিঃশ্বাসের সমস্যা৷ ঘুমের মধ্যে প্রশ্বাস নেয়া এবং নিঃশ্বাস ছাড়ার বারবার ব্যহত হলেই মানুষ নাক ডাকে৷ ঘনঘন এই শ্বাস নেয়া এবং ছাড়া বন্ধ হলেই নাক থেকে বিভিন্ন ধরণের শব্দ বের হয়৷ আসলে শব্দটির উৎস নাক নয়, গলা৷ আমাদের গলার মধ্যে কিছু সফ্ট টিস্যু থাকে এবং কিছু পেশি থাকে৷ ঘুমের সময় গলার ওই পেশির সংকোচন প্রসারণ হয়৷ তার ফলে যদি গলার ভিতরের শ্বাসনালির পথ বারবার বন্ধ হয় এবং খোলে তখনই এই নাক থেকে শব্দ বের হয়৷ নাক ডাকার ফলে শরীরের উপরে চাপ সৃষ্টি হয় যা পরবর্তীতে হৃদরোগের কারণ হতে পারে৷ তাই নাক ডাকাকে দীর্ঘদিন অবহেলা করা উচিত নয়৷ কখনো কখনো নাক ডাকা এতটাই ভয়ঙ্কার হতে পারে যে তাকে কমাতে গলায় অস্ত্রপচার করে সফ্ট টিস্যুর সম্পরসারণ কমাতে হয়৷ তাহলে নাসিকা গর্জন বন্ধ করতে কি করবেন? শোওয়ার সময় পেশিকে রিল্যাক্স করে শুতে হবে৷ ওজন কমাতে হবে৷ তাছাড়া শ্বাস প্রশ্বাসের পথকে ঠিক রাখা প্রয়োজন৷ এর জন্য গলার ও চোয়ালের কিছু ব্যায়াম রয়েছে৷ এই ব্যায়ামগুলো আপনার গলার ও চোয়ালের পেশিকে শক্তিশালী করতে পারে৷ পেশির সংকোচন প্রসারণকে সীমিত রাখতে পারে এই ব্যায়ামগুলো৷ ফলে ঘুমের সময় শ্বাস-প্রশ্বাস বিঘ্নিত হয় না৷ নাসিকা গর্জনও ধীরে ধীরে কমে আসে৷

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ