শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

শ্বাসনালীর সরুতা প্রতিরোধ করে নাক ডাকা নিরাময় করা যায়। সরুতা প্রতিরোধে এ পদক্ষেপগুলো অবলম্বন করা যায়_ শরীরের ওজন কমানো। ধূমপান এবং মদ্যপান থেকে বিরত থাকা ঘুমানোর পূর্বে নিদ্রা উত্তেজক, ট্রাংকুলাইজার, এন্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ সেবন থেকে বিরত থাকা। নিয়মিত একই সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস করা। একটু উঁচু বালিশে, যে কোনো একপাশে কাত হয়ে ঘুমানো। এরপরেও যদি নাক ডাকা বন্ধ না হয় তাহলে ব্যক্ষব্যাধি এবং নাক, কান, গলার বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

নীচের টিপসগুলি অনুস্বরন করলে আশা করি ভাল ফল পাবেঃ ১। আপনার ঘুমের পজিশন পরিবর্তন করুন পিঠে ভর করে শোয়া শরীরের ত্বক এবং বিভিন্ন অংগ-প্রত্যংগের জন্য উপকারী হলেও যারা নাক ডাকেন, তাদের জন্য সুবিধাজনক পজিশন নয়। পিঠে ভর করে শোয়ার ফলে জিহ্বার মূল এবং সফট প্যালেট গলার পিছনের দেয়ালের সাথে লেগে যায়। যার ফলে ঘুমের মধ্যে শ্বাস-প্রশ্বাসে একধরনের শব্দ-কম্পনের সৃষ্টি করে। কাজেই পিঠে ভর করে না শুয়ে পাশ ফিরে শুতে পারেন। এতে নাক ডাকা বন্ধ হতে পারে। স্লটারের মতে বডি পিলো বা কোল বালিশ ব্যবহার করে একপাশে শুতে পারেন এবং এতে নাটকীয় ফল পাবেন। চক্রবর্তির মতে পাজামার মধ্যে পিছনের অংশে একটি টেনিস বল পেতে রেখে শুতে পারেন। “এটা আপনাকে পিঠে ভর দিয়ে শোয়া থেকে বিরত রাখবে। অথবা আপনি বিছানায় শরীরটাকে এলিয়ে দিয়ে মাথাটাকে উপরের দিকে রেখে সটান শুয়ে পড়তে পারেন। এটা আপনার নাকের বায়ু চলাচলের পথকে খোলা রাখবে এবং নাক ডাকা বন্ধ করবে। তবে মনে রাখবেন এই পজিশনে ঘুমালে আপনার ঘাড় ব্যাথা হতে পারে। এরপরও যদি নাক ডাকা বন্ধ না হয়, তাহলে বুঝতে হবে আপনার স্লিপ এ্যাপনিয়া আছে। এক্ষেত্রে দেরী না করে ডাক্তারের শ্মরণাপন্ন হোন” – চক্রবর্তি বলেন। ২। ওজন কমান ওজন কমালে কারো কারো ক্ষেত্রে নাক ডাকা বন্ধ হতে পারে, তবে সবার জন্য নয়। স্লটারের মতে অনেক পাতলা শরীরের লোক আছেন, যারা নাক ডাকা সমস্যায় ভুগছেন। তিনি আরো বলেন, “আপনার যদি ওজন বেড়ে যায় আর আপনি ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা শুরু করেন যা ওজন বাড়ার আগে আপনার ছিল না, তবে ওজন কমালে তা বন্ধ হতে পারে। আপনার যদি ঘাড়ের দিকে ওজন বাড়ে, তাহলে তা’ গলার ভিতরের পরিধি কমিয়ে দেয় এবং ঘুমের মধ্যে যা আরো সংকুচিত হয়। ফলে নাক ডাকা শুরু হয়”। ৩। এ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন এ্যালকোহল এবং ঘুমের বড়ি গলার পিছনের অংশের মাংসপেশির স্বাভাবিক অবস্থায় আসতে বাধা দেয়। এর ফলে নাক ডাকতে পারেন। চক্রবর্তি বলেন, “ঘুমানোর ৪/৫ ঘন্টা আগে এ্যালকোহল পানে নাক ডাকা বেশি রকম বেড়ে যেতে পারে। যারা স্বাভাবিক অবস্থায় নাক ডাকেন না, এ্যালকোহল পানের পর ঘুমানোর সময় তাদের নাক ডাকবে। ৪। ভালো ঘুমের জন্য ভাল অভ্যাস গড়ে তুলুন ঘুমের বদ অভ্যাসগুলো পরিত্যাগ করুন। যেমন সময়মত না ঘুমাতে যাওয়া, ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত টিভি দেখা, অতিরিক্ত পরিশ্রম করা বা পর্যাপ্ত পরিমান ঘুম ছাড়া দীর্ঘসময় ধরে কাজ করা ইত্যাদি। কারন এতে করে আপনি খুব বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়বেন। আর যখন ঘুমাতে যাবেন আপনার মাংসপেশিগুলো ঢলঢলো হয়ে পড়বে, নাকের ভিতরের বায়ু চলাচলের রাস্তা সংকুচিত হয়ে পড়বে। আপনি গভীর ঘুমে নেতিয়ে পড়বেন। শুরু হবে নাক ডাকা। ৫। নাকের ফুটো খোলা রাখার চেষ্টা করুন নাকের ফুটো বা বায়ু চলাচলের পথ খোলা রাখতে পারলে নাক ডাকা বন্ধ হবে। কারন এতে প্রশস্ত জায়গা দিয়ে বাতাস ধীর গতিতে প্রবেশ করতে পারবে, ফলে নাক ডাকা বন্ধ হবে। স্লটার বলেন, “কল্পনা করুন আপনি একটি হোস পাইপ দিয়ে বাগানে পানি দিচ্ছেন। যদি হোস পাইপের নালীটা সরু হয়, তাহলে তার ভিতর দিয়ে পানি তীব্র বেগে প্রবাহিত হবে। আপনার নাকের ফুটো তেমনি কাজ করে। যদি আপনার নাক ঠান্ডাজনিত বা অন্য কোন কারনে বন্ধ থাকে বা নাকের ফুটো সরু হয়ে থাকে, তাহলে তার ভিতর দিয়ে দ্রুত এবং জোরে জোরে বাতাস ভিতরে প্রবেশ করবে এবং নাক ডাকার শব্দ হবে। স্লটারের মতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে হালকা গরম পানিতে গোসল করে নিলে নাকের পথ প্রশস্ত থাকবে। তবে গোসলে এক বোতল লবনগোলা পানি দিয়ে আস্তে আস্তে নাকে ছিঁটিয়ে দিয়ে নাক পরিস্কার করে নিতে পারেন। এতে ভাল উপকার পাওয়া যায়। ‘নেতি পট’ ব্যবহার করে সল্ট-ওয়াটার সলিউশন দিয়ে আলতোভাবে নাক ধুয়ে ফেলতে পারেন। এছাড়া ন্যাসাল স্ট্রিপ ব্যবহার করতে পারেন যদি না আপনার নাকে কোন সমস্যা থাকে। ৬। প্রয়োজনে বালিশ পরিবর্তন করুন আপনার বেডরুমের এবং বালিশ, বিছানার চাদরে এ্যালার্জেন এর উপস্থিতি আপনার নাক ডাকার অন্যতম কারন হতে পারে। ভেবে দেখেছেন কি? সেই কবে আপনি ফ্যানের পাখাগুলো পরিস্কার করেছেন? কবে বালিশের কভার, বিছানার চাদর পরিস্কার করেছেন? হ্যাঁ, এগুলো অপরিস্কার থাকলে যেমন ধুলো-বালি জমে তেমনি একধরনের মাইট জন্মে, যাতে এ্যালার্জিক রি-এ্যাকশন হতে পারে। এরফলে সেই একই সমস্যা - নাকের ফুটো সরু হয়ে যাওয়া আর নাক ডাকা শুরু হতে পারে। আবার যারা পোষা প্রানী নিয়ে এক বিছানায় শোন, তাদেরও এ্যালার্জিতে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে। কারন পোষা প্রানীর ত্বকের খুঁসকি আপনার চুলাকনির কারন হতে পারে। প্রতি ১/২ সপ্তাহ পর পর একবার বালিশ রোদে দিন। সম্ভব হলে ম্যাট বা তোষকও। বালিশের কভার, বিছানার চাদর নিয়মিত ধোয়ার অভ্যাস গড়ুন। আর প্রতি ছয় মাসে এগুলো পরিবর্তন করুন। ৭। বেশি করে তরল পান করুন পর্যাপ্ত পরিমানে তরল পান করুন, যাতে শরীরে পানি শুন্যতা দেখা না দেয়। শরীরে পানি শুন্যতা দেখা দিলে বা কমে গেলে নাক দিয়ে আঁঠালো বা পিচ্ছিল পদার্থ বের হয় যা আপনার নাককে থকথকে করে এবং নাক ডাকা আরো বাড়িয়ে দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে শরীরে আর্দ্র বা পানির মাত্রা সঠিক রাখার জন্য মহিলাদের ক্ষেত্রে সবমিলিয়ে ১১ কাপের মত তরল গ্রহন করা উচিত আর পুরুষের জন্য ১৬ কাপের মত। সর্বপরি পর্যাপ্ত পরিমান ঘুমানোর চেষ্টা করুন, পাশ ফিরে শোয়ার চেষ্টা করুন, ঘুমানোর আগে এ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন, নাক বন্ধ সমস্যা থাকলে হালকা গরম পানিতে গোসল করে নিন। স্লটারের মতে এই ধরনের সাধারন কিছু নিয়ম মেনে চললে নাক ডাকার ক্ষেত্রে আপনি পেতে পারেন অভাবনীয় সাফল্য।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Mdnurnabi

Call

নাক ডাকা দূর করার উপায়

মধ্যবয়স্ক ৪০ শতাংশ পুরুষ ও ২০ শতাংশ নারী ঘুমের মধ্যে নাক ডাকেন। নাক ডাকা বড় কোনো সমস্যা মনে না হলেও শ্বাসযন্ত্র ও অন্য কিছু শারীরিক সমস্যার কারণে নাক ডাকতে পারে। ঘুমের মধ্যে শ্বাস-প্রশ্বাসের গতিপথে কোনো বাধা পেলে বাতাস শ্বাসযন্ত্রে কাঁপুনির সৃষ্টি করে। এরই ফলে নাক ডাকার শব্দ হয়।

এ ছাড়া ওজন বেড়ে যাওয়ার সাথে গলার চার পাশের চর্বি জমা হলে, গলার পেশির নমনীয়তা কমে গেলে, জন্মগত কারণে শ্বাসযন্ত্র সরু হলে, ধূমপান, অতিরিক্ত অ্যালকোহল ও ঘুমের ওষুধ এই সমস্যা বাড়ায়।

নাক ডাকা থেকে পরিত্রাণ পেতে কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে তা হলো :
১। যাদের নাক বন্ধ থাকে বা সর্দি লেগে থাকে তারা নাক পরিষ্কার করে ঘুমাতে যান।
২। শোবার ঘরের তাপমাত্রা আর্দ্র রাখুন।
৩। শুষ্ক আবহাওয়ায় নাকের ঝিল্লিতে সমস্যা হতে পারে।
৪। ঘুমের দুই ঘণ্টা আগে থেকে চা, কফি, অ্যালকোহল বা মসলা ও তেলযুক্ত খাবার খাবেন না।
৫। সম্পূর্ণ চিত হয়ে না শুয়ে ডানে বা বাঁয়ে কাত হয়ে শোয়ার অভ্যাস করুন।
৬। সিম্প এপনিয়া বা নাক ডাকার সাথে সারা দিন ঘুম ঘুম ভাব ও যত্রতত্র ঘুমিয়ে পড়ার সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

Share

  •  
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ