অনেক সময় ঘন ঘন প্রস্রাবের মূল কারণ হলো শুধু অধিক বা অস্বাভাবিক পরিমাণে পানি বা পানীয় গ্রহণ। একে সাইকোজেনিক পলিডিপসিয়া বলা হয়। কিছু ক্ষেত্রে স্বাভাবিক কারণেই বেশি প্রস্রাব হতে পারে। যেমন: অতিমাত্রায় পানীয় বা অ্যালকোহল সেবন, ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় গ্রহণ, শীতকালে যখন ঘামের পরিমাণ কমে যায়, গর্ভাবস্থায়, প্রস্রাব বৃদ্ধিকারক ওষুধ সেবন, ১০ হাজার ফুট ওপরে ভ্রমণের সময়, অধিকমাত্রায় ভিটামিন সি ও বি২ গ্রহণ ইত্যাদি। ঘন ঘন বা অধিক প্রস্রাবের কারণ ডায়াবেটিস ছাড়া অন্য যেসব কারণে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়, তা হলো: মূত্রনালি বা মূত্রথলির সংক্রমণ। গর্ভকালীন প্রথম ও শেষ দিকে। বয়স্ক পুরুষদের প্রস্টেট গ্রন্থির সমস্যায়। স্ট্রোক ও অন্যান্য স্নায়ুরোগ, মূত্রথলির স্নায়ুবিকলতা, মূত্রথলির ক্যানসার ইত্যাদি। মস্তিষ্কের টিউমার, বিকিরণ, সার্জারি, আঘাত, কিডনি রোগ ইত্যাদি কারণে মূত্র নিয়ন্ত্রক এডিএউচ হরমোনের অভাব বা অকার্যকারিতা দেখা দেয়। থাইরয়েড হরমোন বা করটিসল হরমোনের আধিক্য। রক্তে ক্যালসিয়াম বা পটাশিয়ামের তারতম্য। ঘন ঘন প্রস্রাব বা অধিক পরিমাণ প্রস্রাব কোনো রোগ নয় বরং রোগের উপসর্গমাত্র। এর কারণে শরীরে পানিশূন্যতা, পানির ভারসাম্যহীনতা, লবণের ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি হতে পারে। তাই এ সমস্যায় আক্রান্ত হলে অবশ্যই ডায়াবেটিস বা অন্যান্য সমস্যা আছে কি না, তা পরীক্ষা করে নেওয়া জরুরি।