শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

দুয়াকরা এটা কোন হাদিসে নেই তাই করতে হবে এটা কোন কথা নয় হযরত মোহাম্মদ সা নামাজের পর কোন দুয়া করতেন না আর এই দুয়াটা পরতেন আল্লাহুম্মা আন্তাস সালাম ওয়া মিনাকাস সালাম তাবা রাক্তা ইয়া জালজালালি ওয়াল ইকরাম এই দুয়াটি পরবেন

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

ফরজ নামাজের পরে হাত তুলে দোয়া করতে হবে এটা কোন হাদিসে নাই। ফরজ নামাজের পরে হাত উঠাইয়া দোয়া করতে হবে এমন কোন বাধ্য বাধকতা নেই। তবে, নামাজের পরে দোয়া করাই ভালো বা সহীহ। তবে, না করলেও কোন সমস্যা নেই।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
MHR

Call

ফরজ সালাতের পরে ইমাম মুক্তাদি সম্মিলিত ভাবে মুনাজাত করার ব্যাপারে কোন সহিহ হাদিস নেই ! বরং এই প্রচলিত প্রথা বিদয়াত ! কেননা তা রাসুল সাঃ ও সাহাবিদের যুগে প্রচলন ছিল না ! দেখুনঃ সহিহ বুখারি ১ম খন্ড হাদিস নং 974 (ইসলামিক ফাঊন্ডেশন)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

মুনাজাত অর্থ আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা, কোনো কিছু চাওয়া বা আবেদন করা। ইসলামী শরীয়তে এর জন্য কোনো সময় নির্দিষ্ট করে দেয়া হয় নি। সরবে নীরবে যখনই প্রয়োজন হবে তখনই আল্লাহ তা‘আলার নিকট প্রার্থনা করা যেতে পারে। সুতরাং মুনাজাত একটি প্রয়োজন সাপেক্ষ ব্যাপার। ইহকাল ও পরকাল বিষয়ে মানুষের প্রয়োজনের কোনো শেষ নেই বলে মানুষের চাওয়া পাওয়ারও কোনো অন্ত নেই। উপরন্তু দু‘আ-প্রার্থনা ইবাদত-উপাসনার অন্যতম একটি অঙ্গ। হাদীসে দু‘আকে ইবাদতের সারবস্তু বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এবং আল্লাহর নিকট দু‘আ প্রার্থনা না করা হলে আল্লাহ তা‘আলা রাগান্বিত হন বলেও হাদীসে সতর্ক বার্তা এসেছে। এ দৃষ্টিকোণ থেকে নামাজের পরেও মুনাজাত করা যেতে পারে। এতে কোনো বিধি-নিষেধ নেই। বরং হাদীসে দু‘আ কবুলের আশাব্যাঞ্জক কিছু মুহূর্তের কথা বলা দেয়া হয়েছে। ফরজ নামাজের শেষের সময়টি সে মুহূর্তগুলোর মধ্যে অন্যতম। সুতরাং ব্যক্তি পর্যায়ে নামাজের পরে মুনাজাত করা যেতে পারে; এব্যাপারে কোনো দ্বিমত নেই। বরং এটি একটি কাংখিত বিষয়। তবে ফরজ নামাজের পরে সম্মিলিতভাবে হাত উঠিয়ে  মুনাজাতের ব্যাপারে উলামা মহলে কিছুটা দ্বিমত পরিলক্ষিত হয়। তবে যদি মুনাজাতের এ পদ্ধতিকে আবশ্যক মনে না করে এবং প্রথাগত রূপ না দিয়ে একান্ত স্বাভাবিক নিয়মে গ্রহণ করা হয় তবে এরও অবকাশ রয়েছে। তবে আজকের বাস্তবতা হলো, সাধারণ মানুষ এ বিষয়টিকে নামাজের আবশ্যকীয় অংশ এবং প্রথাগত আচার হিসেবে গ্রহণ করে নিয়েছে। ভাষায় না হলেও তাদের কার্যক্রমে এটিই প্রমাণিত হয়। মুনাজাত না হলে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, সবার সাথে হাত না উঠানোকে আড় চোখে দেখা, মুনাজাত শেষ হয়ে যাওয়ার পরও কেউ মুনাজাতে রত থাকলে তাকে মুনাজাত শেষের বার্তা পৌছে দেয়াসহ সংঘটিত নানা আচরণ ফরজ নামাজের পরে সম্মিলিত মুনাজাতের আবশ্যকীয়তারই বার্তা বহন করে। এর সাথে যুক্ত হয় সশব্দে মুনাজাত করে মাসবুক মুসল্লীদের একাগ্রতায় বিঘœতা সৃষ্টির মত অনাকাঙ্খিত বিষয়। এতে করে দেখা যাচ্ছে, জনসাধারণের মাঝে সম্মিলিত মুনাজাতের এ পদ্ধতিটি নামাজে ইমামের ইকতেদা তথা অনুসরণের মত আবশ্যকীয় বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। মুনাজাতের ক্ষেত্রে এসব অবাঞ্ছিত বাধ্যবাধকতা ও প্রথাসর্বস্বতা পরিহার করা উচিৎ। এবং মুনাজাতের এ বিষয়টিকে একান্ত ইমাম সাহেবের উপর ছেড়ে দেয়া উচিৎ। তার ইচ্ছা হলে কখনো করবেন। ইচ্ছা না হলে করবেন না। মুসল্লীদের ইচ্ছা হলে এক্ষেত্রে ইমামের অনুসরণ করবে। ইচ্ছা না হলে অন্যান্য আযকার পাঠে রত হবে। কিংবা ব্যক্তিগত বিশেষ প্রয়োজন হলে চলে যাবে। মুসল্লীদের এ নিয়ে কথা বলা কোনো ক্রমেই কাম্য নয়। তবে লক্ষণীয় হলো, মুনাজাতের সম্মিলিত এ পদ্ধটি সরাসরি সহীহ হাদীস, আসার এবং সাহাবী ও তাবিয়ীদের কর্মপদ্ধতিতে পাওয়া যায় না। তাই এ পদ্ধতিটিকে মাসনূন পদ্ধতি বলা যায় না। কারণ পাচ ওয়াক্ত নামাজের পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কোনো নির্ধারিত নিয়ম বা রীতি ছিল না। তিনি সাধারণভাবে এ সময়ে বিভিন্ন যিকর ও মুনাজাত পাঠ করতেন। হাদীসের গ্রন্থগুলোতে প্রায় ত্রিশ রকমের যিকর এবং দু‘আর কথা উল্লেখিত হয়েছে। কখনো তিনি যিকর পাঠ শেষে ডানে বা বামে কিংবা মুসল্লী সাহাবীদের দিকে মুখ করে ঘুরে বসতেন। কখনো বা সালামের পর উঠে দাড়িয়ে নসীহত করতেন। ইত্যাদি। আল-আহাদীসুল মুখতারাহ, হাদীস ৩০৩, মাজমাউয যাওয়ায়েদ, হাদীস ১৭৩৪৫, মাআরিফুস সুনান ৩/৪০৯, আহসানুল ফাতাওয়া ৩/৬৭-৬৮ জাওয়াহিরুল ফিকহ ২/ ১৯৯-২০৬ মাকতাবায়ে দারুল উলূম করাচি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ