শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

রোযা রেখে হস্তমৈথুন করলে নিঃসন্দেহে রোযা ভেঙ্গে যাবে। কেননা হস্তমৈথুন করা কবীরাহ গুনাহর অন্তর্গত। ইবনে কাসীর সহ বেশ কিছু হাদীসগ্রন্থের হাদীসে হস্তমৈথুনকারীকে অভিশপ্ত এবং হস্তমৈথূনকে স্বীয় হস্তের সাথে ব্যভিচার বলা হয়েছে, এছাড়াও হাদীসে বলা হয়েছে, হস্তমৈথুনকারীকে আল্লাহ জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন, কিন্তু যারা অনুশোচনা ও তওবা করবে আল্লাহ শুধু তাদেরকেই ক্ষমা করবেন। প্রাথমিকযূগের সকল আলেমগণ একে হারাম বলে সাব্যস্ত করেছেন এবং পরবর্তী সময়ের কিছু আলেম ব্যভিচারের আশঙ্কা থাকলে যদি হস্তমৈথুন করে তা থেকে বাচা যায় তবে শুধুমাত্র সেরকম ক্ষেত্রে তা হারাম হবে না বলে চিহ্নিত করেছেন। প্রাপ্ত হাদীস ও সংখ্যাগরিষ্ঠ আলেমদের মত অনুযায়ী এটি একটি বড় গুনাহের কাজ এবং এই কাজে লিপ্ত ব্যক্তিকে অবশ্যই অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে, তওবা না করলে আল্লাহ এই অপরাধ ক্ষমা করবেন না। এছাড়া, অবিবাহিত যুবকদের ইসলামে সামর্থ থাকলে দ্রুত বিয়ে করার আদেশ দেয়া হয়েছে এবং সামর্থ না থাকলে রোজা রেখে ধৈর্য্য ধারনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
mohoshin

Call

রোজা রেখে হস্তমুথ্ন করলে আব্যশয় রোজা নষ্ট হয়ে যাবে*কারন এটা একটা কবিরা গুনাহ।এবং এটাকে হারাম করা হয়েছে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

রোজা অবস্থায় হস্তমৈথুন করলে রোজা ভেঙ্গে যাবে । 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

রোযা ভেঙে যাবে, তাকে ঐরোযা কাযা করতে হবে

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

রোজা অবস্থায় হস্তমৈথুন করলে রোজা ভেঙ্গে যাবে।এবং এটি ইচ্ছাকৃত ভঙ্গগ অনুযায়ি এটির কাযাও আদায় করতে হবে।একটি হাদিস থেকেই এটি স্পস্ট হয়ে যায়।তার আগে কয়েকটা বিষয় জেনে নিই, রোজা বা সিয়াম কি:-সুবেহ সাদিক থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল ধরনের পানাহার,অশ্লিল-পাপাচার এবং জৈবিক চাহিদা থেকে বিরত থাকার নামই হলো সিয়াম। এখন আমরা জানি,জৈবিক চাহিদা হলো যৌন চাহিদা।অর্থ্যাৎ পুরুষ কর্তৃক স্ত্রী লোকের দ্বারা যৌন চাহিদা মেটানো।আর যৌন চাহিদা মিলন কালে বীর্যপাতের মাধ্যমেই হয়ে থাকে।সুতরাং বুঝা গেল বীর্যপাত করানো থেকে বিরত থাকাটাও সিয়ামের অন্তর্ভুক্ত এবং বীর্যপাত করা সিয়াম বহির্ভূত। তবে স্ত্রীকে স্বাভাবি আদর-সোহাগ করা,চুমো দেওয়া,জড়িয়ে ধরা এতে বাঁধা নেই,সওম নষ্ট হবে না। [দলিল:-‘আয়িশাহ (রাঃ) বর্ণনা করেছেন তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সওমের অবস্থায় চুমু খেতেন এবং গায়ে গা লাগাতেন। তবে তিনি তাঁর প্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রণে তোমাদের চেয়ে অধিক সক্ষম ছিলেন।(সহিহ বুখারী-১৯২৭)] সুতরাং মূল কথা হলো,নিজের যৌন চহিদাকে বা কামপ্রবৃত্তিকে হেফাজত করা।হস্তমৈথুনেরর মাধ্যমে মানুষ বীর্যপাত করে যৌন তৃপ্তি বা কামপ্রবৃত্তির কারনে।একারনে হস্তমৈথুনের মাধ্যমে বীর্যপাত করলে রোজা বা সওম ভেঙ্গে যায়। [দলিল:-আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) বর্ণনা করেছেন তিনি বলেন, আমরা আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট উপবিষ্ট ছিলাম। এমন সময় এক ব্যক্তি এসে বলল, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! আমি ধ্বংস হয়ে গেছি। আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমার কি হয়েছে? সে বলল, আমি সায়িম অবস্থায় আমার স্ত্রীর সাথে মিলিত হয়েছি। আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আযাদ করার মত কোন ক্রীতদাস তুমি মুক্ত করতে পারবে কি? সে বলল, না। তিনি বললেনঃ তুমি কি একাধারে দু’মাস সওম পালন করতে পারবে? সে বলল, না। এরপর তিনি বললেনঃ ষাটজন মিসকীন খাওয়াতে পারবে কি? সে বলল, না। রাবী বলেন, তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেমে গেলেন, আমরাও এ অবস্থায় ছিলাম। এ সময় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে এক ‘আরাক পেশ করা হল যাতে খেজুর ছিল। ‘আরাক হল ঝুড়ি। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ প্রশ্নকারী কোথায়? সে বলল, আমি। তিনি বললেনঃ এগুলো নিয়ে সদাকাহ করে দাও। তখন লোকটি বলল, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! আমার চাইতেও বেশি অভাবগ্রস্থকে সদাকাহ করব? আল্লাহ্‌র শপথ, মাদীনার উভয় লাবা অর্থাৎ উভয় প্রান্তের মধ্যে আমার পরিবারের চেয়ে অভাবগ্রস্থ কেউ নেই। আল্লাহ্‌র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হেসে উঠলেন এবং তাঁর দাঁত (আইনয়াব) দেখা গেল। অতঃপর তিনি বললেনঃ এগুলো তোমার পরিবারকে খাওয়াও।(সহিহ বুখারী-১৯৩৬)] অর্থ্যাৎ মিলনের সহবাসের কারনে তার রোজা ভেঙ্গে যায়।এরফলে রাসূল তাকে ৬০ টি রোজা পালন বা ৬০ জন মিসকিন খাওয়াতে বলে। এছাড়াও হস্তমৈথুন কবিরাহ গুনাহ এবং জঘন্য পাপাচার।আর রোজার সঙ্ঘার মধ্যে পাপাচার থেকে বিরত থাকতেও বলা হয়েছে।তাই এটির কারণে,রোজারও ভেঙ্গে যায়। [দলিল:-হযরত জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, “কত নিকৃষ্ট ঐ ব্যক্তি, যে হাতের সাথে হস্তমৈথুন করে।” অপর এক হাদিসে আছে,"কিয়ামতের দিন এক শ্রেণীর লোক এমন ভাবে উত্থিত হবে যে,তাদের হাত ব্যাভিচারের ফলে অন্তসত্তা থাকবে।অর্থ্যাৎ দুনিয়ার জীবনে তারা হস্তমৈথুন করত"] ★সুতরাং সহবাস এবং হস্তমৈথুন অর্থ্যাৎ ইচ্ছাকৃত ভাবে বীর্যপাত করলে রোজা ভেঙ্গে বা নষ্ট হয়ে যাবে এবং এর কাযা আদায় করতে হবে কিন্তু স্বপ্নদোষেরর মাধ্যমে বীর্যপাত হলে রোজা ভাঙ্গবে না কাযাও আদায় করতে হবে না। যাঝাকাল্লাহি খইর

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ