এটা আপনার কোনো মানসিক সমস্যা না, এটা জৈবিক একটি চাহিদা। মানুষ প্রাকৃতিকভাবেই একজন আরেকজনের প্রতি আকর্ষণ বোধ করে। এটা খুবই স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। এটিতে কারও কোনো হাত নাই। যেহেতু আপনি এখনও কোনো ছেলের সাহচর্য পান নি বা কোনো ছেলের সাথে সেক্স করেন নি সেহেতু ছেলেদের প্রতি একটা আকর্ষণ থাকাটা খুবই স্বাভাবিক। ছেলেরা যেমন মেয়েদের প্রতি আকর্ষণবোধ করেন ঠিক তেমনি মেয়েরাও ছেলেদের প্রতি আকর্ষণ বোধ করবেই। এতে লাজ্জিত হবার কোনো কারণই নেই। তবে হ্যা খেয়াল করে দেখেন আপনি নিজেকে সংবরণ করতে পারছেন কি না। কারণ হ্যান্ডসাম যেকোনো পুরুষ দেখেই তার সাথে সেক্স করাটা আমাদের সমাজ, ধর্ম, রীতিনীতি সবকিছুর বিপরীতে। আপনি একজনকে ভালোবাসতে পারেন, জীবনসঙ্গী হিসেবে একজনকেই বেছে নিতে পারেন তবে একাধিক পুরুষকে নয়। এমনটা হলে আপনার জীবন জটিলতায় ভরপুর হয়ে যাবে এবং তখন আপনি আর সুস্থ মানুষ থাকবেন না। এজন্য এমন ধরনের আকর্ষণকে যতটা সম্ভব নিয়ন্ত্রণ করুন যেমনটা করে আসছেন এবং যত দ্রুত সম্ভব বিয়ে করে ফেলুন।
এটা এত বেপক ভাবে হওয়াটা আপনার ভাবনার চারিত্রীক অবনতি।আর এটা প্রায় প্রত্যেকেরী হয়ে থাকে। এটাকে নিয়ন্ত্রনে আনতে আল্লাহ পাকের হুকুম, (দৃষ্টিকে অবনত রাখা) সূরা নূরের ৩০নং আয়াতে দেখে নিয়েন । এবং হাদীসে পাকে রাসূল সাঃ এর বাতানো আমলের প্রতি যত্নবান হতে হবে । তাহলঃ যখন এমন ভাবনা উদয় হয় তখন আপন মা-বোনের কথা ভাবতে হয়, তাহলে আর এমন হয়না । আর যদি বিবাহিত হয়ে থাকেন তাহলে আপন স্ত্রীর সাথে যত তারাতারি সম্ভব ইচ্ছাটাকে পুরা করে নেওয়া । ১নং আমলের সংস্লিষ্ঠতাঃ হিদীসে এক যোবকের ঘটনা বর্ননা করা হয়েছে, সে রাসূল সাঃ এর নিকট এসে বলল হুজুর! আমাকে জিনা করার অনোমতি দিন । তখন রাসূল সাঃ তার বোকের উপর হাত রাখলেন , এবং তাকে তার মা-বোনের কথা একে একে স্বরন করালেন । এর পর তার ঐ ইচ্ছা নিয়ন্ত্রনে এসে যায় । তাঁর বাকী জীবনে সে আর এমন ইচ্ছা পোষণ করে নাই । ২নং আমলের সংস্লিষ্ঠতাঃ এক হদীসে আছে, যখন কোন বেগানা মেয়ে লোকর প্রতী নজর চলে যাওয়ার কারনে চাহিদা পুরনের ইচ্ছা জাগে । তাহলে তারাতারি আপন স্ত্রীর কাছে যাও আর ইচ্ছা পুরন কর । সমাধানঃ আপনি যদি ময়ে হয়ে থাকেন তহলে এর বিপরিত দিকটা বোঝে নিন, তাহলে এই মহা সমস্বা থেকে নরাপদ হয়ে যাবেন । আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে হেফাজত করোন ।