শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Unknown

Call

সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২/৩ বার চুল ধোয়া প্রতিদিন চুল ধুলে চুল রুক্ষ হয়ে যায় এবং আগা ফেটে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। কারণ চুল ধুলে মাথার ত্বকের তেল ধুয়ে যায়। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবারের বেশি শ্যাম্পু করা উচিত নয়। কারণ অতিরিক্ত শ্যাম্পু করলে শ্যাম্পুর রাসায়নিক উপাদানও চুলের ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই ঘন ঘন শ্যাম্পু না করে সপ্তাহে দুই থেকে তিন বার চুল ধুয়ে ফেলুন। প্রতিবার শ্যাম্পু করার সময় শ্যাম্পুর সাথে কিছুটা পানি মিশিয়ে এর ঘনত্ব কমিয়ে নিন। তাহলে চুলের ওপর শ্যাম্পুর রাসায়নিক উপাদানের বিরূপ প্রভাব কিছুটা কম পড়বে। সালফেট মুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করুন প্রায় সব শ্যাম্পুতেই সালফেটের উপস্থিতি থাকে। সালফেট হলো ডিটারজেন্ট তৈরীর প্রধান একটি উপাদান যা প্রচুর ফেনা তৈরী করে। সালফেট শ্যাম্পু করার সময় প্রচুর ফেনা তৈরী করে। কিন্তু সালফেট চুলের কিউটিকলের আদ্রর্তা কেড়ে নেয়। ফলে চুল হয়ে ওঠে রুক্ষ ও নিষ্প্রাণ। ফলে চুলের আগা ফাটা শুরু হয়। তাই শ্যাম্পু কেনার সময় দেখে নিন শ্যাম্পুতে সালফেট আছে কিনা। হারবাল শ্যাম্পু গুলোতে সাধারনত সালফেট থাকে না কিংবা কম পরিমাণে থাকে। তাই চুল ধোয়ার জন্য হারবাল শ্যাম্পু বেছে নিতে পারেন। কন্ডিশনার ব্যবহার করুন অনেকেই ভাবেন আলাদা ভাবে কন্ডিশনার ব্যবহার করার কোনো প্রয়োজনই নেই। শুধু মাত্র শ্যাম্পু করলেই চলে এবং কন্ডিশনার ব্যবহার একটি বাড়তি খরচ ভেবে বেশিরভাগ মানুষই কন্ডিশনার ব্যবহার করেন না। কিন্তু শীত কালে প্রকৃতি শুষ্ক হয়ে যায়। তাই চুলের জন্য প্রয়োজন কন্ডিশনারের। কন্ডিশনার চুলকে কোমল রাখে এবং চুলের আগা ফাটা রোধ করে। নারিকেল তেল ম্যাসাজ করুন প্রাচীন কাল থেকেই চুলের যত্নের মূল একটি উপাদান হলো নারিকেল তেল। নারিকেল তেলের ব্যবহার আগের তুলনায় এখন অনেক কমে গিয়েছে। কিন্তু চুলের যত্নে নারিকেল তেল এখনো অতুলনীয়। নারিকেল তেল কুসুম গরম করে পুরো মাথায় ম্যাসাজ করে নিন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মাথায় তেল লাগিয়ে ঘুমিয়ে পরুন। সকালে উঠে ভালো করে চুল ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার নারিকেল তেল ম্যাসাজ করলে চুল হয়ে উঠবে ঝরঝরে ও উজ্জ্বল। সেই সঙ্গে চুলের আগা ফেটে যাওয়ার প্রবণতাও কমে যাবে একেবারেই। স্ট্রেইটনার ও হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার বন্ধ করুন অনেকেই চুলের স্টাইলের জন্য হেয়ার স্ট্রেইটনার অথবা কার্লিং মেশিন ব্যবহার করেন। আবার শীতে গোসল করে এসেই হেয়ার ড্রায়ার অথবা ব্লো ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকিয়ে ফেলেন অনেকে। কিন্তু চুলে যে কোনো ধরণের গরম কিছু ব্যবহার করলে চুলের আগা ফাটার প্রবণতা বেড়ে যায় এবং চুল শুষ্ক হয়ে যায়। তাই চুল ভালো রাখতে চাইলে হেয়ার স্ট্রেইটনার, কার্লিং মেশিন, হেয়ার ড্রায়ার অথবা ব্লো ড্রায়ার ব্যবহার করা বন্ধ করুন। ভেজা চুল আঁচড়াবেন না গোসল করে এসে ভেজা চুল আঁচড়ানোর অভ্যাস আছে? তাহলে আজই ত্যাগ করুন এই অভ্যাস। কারণ গোসল করে এসে ভেজা চুল আঁচড়ালে চুলের আগা ফাটার প্রবণতা বাড়ে। ভেজা অবস্থায় চুলে জট লেগে থাকে এবং চুল নরম হয়ে থাকে। ফলে চিরুনি দিয়ে জট ছাড়ানোর চেষ্টা করতে গেলেই চুল ছিড়ে যায় এবং আগা ফেটে যায়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ