আবু হুরায়রা সূত্রে ইমাম বুখারি ও মুসলিম বর্ণনা করেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: «اسْتَوْصُوا بِالنِّسَاءِ فَإِنَّ الْمَرْأَةَ خُلِقَتْ مِنْ ضِلَعٍ وَإِنَّ أَعْوَجَ شَيْءٍ فِي الضِّلَعِ أَعْلَاهُ، فَإِنْ ذَهَبْتَ تُقِيمُهُ كَسَرْتَهُ، وَإِنْ تَرَكْتَهُ لَمْ يَزَلْ أَعْوَجَ فَاسْتَوْصُوا بِالنِّسَاءِ» “তোমরা নারীদের ব্যাপারে কল্যাণকামী হও, কারণ নারীকে পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে, পাঁজরের মধ্যে উপরের হাড্ডি সবচেয়ে বেশী বাঁকা। যদি তা সোজা করতে চাও ভেঙ্গে ফেলবে, ছেড়ে দিলেও তার বক্রতা যাবে না। অতএব নারীদের ব্যাপারে কল্যাণকামী হও।”[4] হাফেয ইব্‌ন হাজার রহ. বলেন: “এ হাদিস ইব্‌ন ইসহাকও বর্ণনা করেছেন, তবে তিনি অতিরিক্ত বলেছেন: «الْيُسْرَى مِنْ قَبْل أَنْ يَدْخُل الْجَنَّة ، وَجُعِلَ مَكَانه لَحْم» জান্নাতে প্রবেশ করানোর পূর্বে বাম পাঁজর থেকে (তাকে সৃষ্টি করা হয়), অতঃপর তার জায়গায় গোস্ত তৈরি করা হয়।”[5] [4] বুখারি: (৩৩৩১), মুসলিম: (১৪৭০) [5] ফাতহুল বারি: (৬/৩৬৮) তাহলে কি প্রতিটি পুরুষের স্ত্রীকে তাদের পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। নাকি শুধু হাওয়া (আঃ) কে সৃষ্টি করা হয়েছিল।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

#9 হযরত হাওয়া আ: কে হযরত আদম আ: এর পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে এটা চিরসত্য কথা। পাঁজরের হাড় মানে বক্ষপিঞ্জরের হাড় মানে কাঠি (rib) ।এটা প্রতিটি মানুষের ই দুপাশে মোট ১২+১২ =২৪ টি আছে।নারীর এবং পুরুষের উভয়ের। কারো কম বা অর্ধেক নেই বরং সমান। এখানে সকল মেয়েরাই হাওয়া আঃ থেকে সৃষ্টি তাই সব মেয়েরই গঠন, বৈশিষ্ট্য উনার মতই হবে,তারা একটু বাঁকা স্বভাবের হবে এটাই স্বাভাবিক। আর ছেলেরা হযরত আদম আ: এর মত হবে এটাও স্বাভাবিক ।কারন মেন্ডেলিয় সূত্রানুসারে পিতা মাতার বৈশিষ্ট্য জিনগত কারনে তার সন্তারদের মাঝে চলে আসে। কাজেই যেহেতু আমাদের পাঁজরের হাড় কমছে না তাই এখনকার মেয়েরা আর আলাদা করে আমাদের হাড় নিয়ে তৈরি হচ্ছে না যেমনটি হয়েছিল আদম আ: এর ক্ষেত্রে, কারন তারা তাদের আদিমাতা থেকেই সেই বাঁকা হাড় দিয়ে তৈরি।মানে সমস্থ মেয়েই যেহেতু হাওয়া আ: থেকে এসেছে তাই তারাও বাঁকা হাড় দিয়ে তৈরি,এটা এখন আর হওয়ার প্রয়োজন নেই।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

Call

আসুন, ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে ব্যাপারটি বোঝার চেষ্টা করি:

সূরা আন নিসা'র ১নং আয়াতে আল্লাহপাক উল্লেখ করেছেন:

يَا أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُواْ رَبَّكُمُ الَّذِي خَلَقَكُم مِّن نَّفْسٍ وَاحِدَةٍ وَخَلَقَ مِنْهَا زَوْجَهَا وَبَثَّ مِنْهُمَا رِجَالاً كَثِيرًا وَنِسَاء وَاتَّقُواْ اللّهَ الَّذِي تَسَاءلُونَ بِهِ وَالأَرْحَامَ إِنَّ اللّهَ كَانَ عَلَيْكُمْ رَقِيبًا
হে মানব সমাজ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার সঙ্গীনীকে সৃষ্টি করেছেন; আর বিস্তার করেছেন তাদের দু’জন থেকে অগণিত পুরুষ ও নারী। আর আল্লাহকে ভয় কর, যাঁর নামে তোমরা একে অপরের নিকট যাচঞ্ঝা করে থাক এবং আত্নীয় জ্ঞাতিদের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন কর। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের ব্যাপারে সচেতন রয়েছেন।

আবার অন্য এক জায়গায় আল্লাহপাক বলেছেন:

هُوَ الَّذِي خَلَقَكُم مِّن نَّفْسٍ وَاحِدَةٍ وَجَعَلَ مِنْهَا زَوْجَهَا لِيَسْكُنَ إِلَيْهَا فَلَمَّا تَغَشَّاهَا حَمَلَتْ حَمْلاً خَفِيفًا فَمَرَّتْ بِهِ فَلَمَّا أَثْقَلَت دَّعَوَا اللّهَ رَبَّهُمَا لَئِنْ آتَيْتَنَا صَالِحاً لَّنَكُونَنَّ مِنَ الشَّاكِرِينَ
তিনিই সে সত্তা যিনি তোমাদিগকে সৃষ্টি করেছেন একটি মাত্র সত্তা থেকে; আর "তার থেকেই তৈরী করেছেন তার জোড়া", যাতে তার কাছে স্বস্তি পেতে পারে। অতঃপর পুরুষ যখন নারীকে আবৃত করল, তখন, সে গর্ভবতী হল। অতি হালকা গর্ভ। সে তাই নিয়ে চলাফেরা করতে থাকল। তারপর যখন বোঝা হয়ে গেল, তখন উভয়েই আল্লাহকে ডাকল যিনি তাদের পালনকর্তা যে, তুমি যদি আমাদিগকে সুস্থ ও ভাল দান কর তবে আমরা তোমার শুকরিয়া আদায় করব।
(সূরা: আল আ’রাফ | আয়াত: ১৮৯)

উপরের আয়াত দুটি বিশ্লেষন করলে দেখা যায়, "তোমাদেরকে/তোমাদিগকে সৃষ্টি করেছেন এক ব্যক্তি থেকে/একটি মাত্র সত্তা থেকে"। এখানে তোমাদেরকে/তোমাদিগকে বলতে সমগ্র মানবজাতিকে বুঝিয়েছেন। কেবলমাত্র পুরুষজাতিকে নয়। তাহলে সমগ্র মানবজাতিকে তিনি একটি মাত্র সত্তা বা ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন। আর "বিস্তার করেছেন তাদের দু’জন থেকে অগণিত পুরুষ ও নারী" এই কথাটি দ্বারা তো পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছেন যে সমগ্র পুরুষ ও নারী সৃষ্টি করে বিস্তার করেছেন অর্থাৎ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি একথা বলেননি যে প্রত্যেক পুরুষ থেকে তার সঙ্গীনীকে সৃষ্টি করেছেন। কাজেই ধর্মীয় দিক থেকে এব্যাপারটি পরিষ্কার যে আল্লাহ হযরত আদম (আ:) কে সৃষ্টির পর তার পাঁজরের হাড় থেকে হযরত হাওয়া (আ:) কে সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের থেকে পর্যায়ক্রমে সকল পুরুষ-নারী সৃষ্টি করে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিয়েছেন।

এবার একটি হাদিস শুনি:

আবু হুরায়রা সূত্রে ইমাম বুখারি ও মুসলিম বর্ণনা করেন, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

اسْتَوْصُوا بِالنِّسَاءِ فَإِنَّ الْمَرْأَةَ خُلِقَتْ مِنْ ضِلَعٍ وَإِنَّ أَعْوَجَ شَيْءٍ فِي الضِّلَعِ أَعْلَاهُ، فَإِنْ ذَهَبْتَ تُقِيمُهُ كَسَرْتَهُ، وَإِنْ تَرَكْتَهُ لَمْ يَزَلْ أَعْوَجَ فَاسْتَوْصُوا بِالنِّسَاءِ
তোমরা নারীদের ব্যাপারে কল্যাণকামী হও, কারণ নারীকে পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। পাঁজরের মধ্যে উপরের হাড্ডি সবচেয়ে বেশী বাঁকা, যদি তা সোজা করতে চাও ভেঙ্গে ফেলবে, ছেড়ে দিলেও তার বক্রতা যাবে না। অতএব নারীদের ব্যাপারে কল্যাণকামী হও।

এখানেও বলা হয়নি যে প্রত্যেক নারী তার স্বামীর পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি।

একটি কথা বলা যায়, যেসব মহিলা তালাক প্রাপ্ত হয়ে বা স্বামী মারা যাওয়ার কারনে অন্য পুরুষের সাথে বিয়ে করেন, তাদের ব্যাপরে কোরআন বা হাদিসে কিছু বলা হয়নি। তাহলে তারা কিসের থেকে সৃষ্টি বা কতজন পুরুষের পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি?

তাই কোরআন ও হাদিসের আলোকে একথা বলা যায় যে, আল্লাহপাক সর্বপ্রথম হযরত আদম (আ:) কে সৃষ্টি করেছেন। এরপর তার পাঁজরের হাড় থেকে হযরত হাওয়া (আ:) কে সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের দু'জন থেকে পর্যায়ক্রমে সমগ্র মানবজাতি সৃষ্টি করে সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে ছিয়েছেন। প্রত্যেক নারীকে তার স্বামীর (বা পুরুষের) পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করেননি

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী প্রতিটি স্ত্রীকে তার স্বামীর পাঁজরের হাড্ডি থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে, এমন নয়৷ বরং হযরত আদম আ. এর পাঁজরের হাড্ডি থেকে হযরত হাওয়া আ. কে সৃষ্টি করা হয়েছে৷ এরপর তাঁদের থেকে অগণিত নারী পুরুষ বিস্তার লাভ করেছে৷ আল্লাহ তাআলা বলেন,

হে মানব সমাজ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার সঙ্গীনীকে সৃষ্টি করেছেন; আর বিস্তার করেছেন তাদের দু’জন থেকে অগণিত পুরুষ ও নারী। (সূরা নিসা- ১)

অন্যত্র বলেছেন,

তিনিই সে সত্তা যিনি তোমাদিগকে সৃষ্টি করেছেন একটি মাত্র সত্তা থেকে; আর "তার থেকেই তৈরী করেছেন তার জোড়া", যাতে তার কাছে স্বস্তি পেতে পারে। অতঃপর পুরুষ যখন নারীকে আবৃত করল, তখন, সে গর্ভবতী হল। (সূরা আ’রাফ- ১৮৯)

এ থেকেই বোঝা যায়, প্রত্যেক স্ত্রী তার স্বামীর হাড্ডি থেকে সৃষ্ট নয়; বরং শুধুমাত্র হযরত হাওয়া আ. হযরত আদম আ. এর পাঁজরের হাড্ডি থেকে সৃষ্ট৷ তাঁদের থেকে সৃষ্টি হয়েছে পরবর্তী সকল প্রজন্ম৷


হাদীসে এসেছে, আবূ হুরাইরা রাযি. থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা নারীদের ব্যাপারে কল্যাণকামী হও, কারণ নারীকে পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। পাঁজরের মধ্যে উপরের হাড্ডি সবচেয়ে বেশী বাঁকা, যদি তা সোজা করতে চাও ভেঙ্গে ফেলবে, ছেড়ে দিলেও তার বক্রতা যাবে না। অতএব নারীদের ব্যাপারে কল্যাণকামী হও। (সহীহ মুসলিম)

এ হাদীস দ্বারা এটা বলা উদ্দেশ্য নয় যে, প্রত্যেক স্ত্রী তার স্বামীর হাড্ডি থেকে সৃষ্টি হয়েছে; বরং এখানে নারীদের সাথে পুরুষরা কিরূপ আচরণ করবে তা শিক্ষা দেয়া হয়েছে৷

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

জান্নাতে আদমের পাঁজরের হাড় থেকে তার জোড়া হিসাবে স্ত্রী হাওয়াকে সৃষ্টি করা হয়েছিল। কিন্ত প্রতিটি পুরুষের স্ত্রীকে তাদের পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়নি শুধু হাওয়া (আঃ) কে সৃষ্টি করা হয়েছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা নারীদেরকে উত্তম উপদেশ দিবে। কেননা নারী জাতিকে পাঁজরের হাড় দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে। আর পাঁজরের হাড়গুলোর অধিক বাঁকা। তুমি যদি তা সোজা করতে যাও, তাহলে তা ভেঙ্গে ফেলবে আর যদি ছেড়ে দাও, তাহলে সব সময় তা বাকাই থেকে যাবে। কাজেই নারীদের সাথে উপদেশপূর্ণ কথাবার্তা বলবে। আল্লাহ বলেনঃ তিনিই তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন ও তার থেকে তার স্ত্রী সৃষ্টি করেছেন যাতে সে তার কাছে শান্তি পায়। (আ'রাফঃ ১৮৯) আল্লাহ আরো বলেনঃ আর তার নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জোড়া যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তি পাও এবং সৃজন করেছেন তোমাদের মধ্যে ভালবাসা ও সহমর্মিতা। চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য এতে অবশ্যই বহু নিদর্শন রয়েছে। (সূরা আর-রূমঃ ২১) আল্লাহর কুদরতের দ্বিতীয় নিদর্শন এই যে, মানুষের মধ্য থেকে আল্লাহ তাআলা নারী জাতিকে সৃষ্টি করেছেন। তারা পুরুষের সংগিনী হয়েছে। তোমাদেরই মধ্যে থেকে নারী জাতিকে সৃষ্টি করা হয়েছে যাতে তারা তোমাদের স্ত্রী হয় এবং তোমরা এক অপরের সঙ্গী বা জোড়া জোড়া হয়ে যাও। অতএব পুরুষ নারীর ও নারী পুরুষের সঙ্গী বা জোড়া। নারীদেরকে পুরুষদের মধ্য হতেই সৃষ্টি করার অর্থ হল, পৃথিবীর প্রথম নারী মা হাওয়াকে আদম (আঃ)-এর বাম পার্শের পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। অতঃপর তাদের দুই জন হতে মানুষের জন্মের স্বাভাবিক ধারাবাহিকতা আরম্ভ হয়েছে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

সকল নারীর দেহে একটা হাড় পুরুষের চেয়ে বেশি আছে! এর কারণ, ছেলেদের ঐ একটা হাড় দিয়ে মেয়েদের সৃষ্টি করা হয়েছে!

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

হযরত হাওয়া (আঃ)-কে যেমন তাঁর স্বামী হযরত আদম (আঃ)-এর পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে, ঠিক তেমনি প্রত‍্যেক স্ত্রীকে তার স্বামীর পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। কারণ, মহান আল্লাহ হযরত হাওয়া (আঃ)-কে হযরত আদম (আঃ)-এর পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করেছেন, যাতে করে হাওয়া (আঃ) ও আদম (আঃ) উভয়ে উভয়ের নিকট স্বস্তি পেতে পারে। ঠিক তেমনি আল্লাহ প্রত‍্যেক স্ত্রীকে তার স্বামীর পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করেছেন, যাতে করে তারাও উভয়ে উভয়ের নিকট স্বস্তি পেতে পারে। আল্লাহ আদম (আঃ) ও হাওয়া (আঃ) এর সাথে এক আচরণ করবেন আর অন‍্যসব স্বামী-স্ত্রীর সাথে আরেক আচরণ করবেন, সেরূপ ব‍্যক্তি নন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সকলের জন‍্য সমআচরণকারী। আল্লাহ যদি শুধু হাওয়া (আঃ)-কে (তাঁর স্বামীর) পাজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করতেন, তাহলে রাসূল (সাঃ) কেনো বললেন, সকল নারীদেরকে (তার স্বামীর) পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে? যেহেতু সকল নারীরাই পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি হওয়ার কথা আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেন, সেহেতু আল্লাহ নিশ্চয়ই সকল নারীকে আদম (আঃ)-এর পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করেন নি? আল্লাহ শুধুমাত্র হাওয়া (আঃ)-কে তাঁর স্বামী আদম (আঃ)-এর পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করেছেন। ঠিক তেমনি বাকি সব নারীদেরকে তার নিজেদের স্বামীর পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করেছেন। প্রত‍্যেক মানুষের শরীরে পাঁজর রয়েছে দুটি, একটি ডান পাজর আর আরেকটি বাম পাজর। ডান পাজরে ১২টি বাঁকা হাড় এবং বাম পাজরে ১২টি বাঁকা হাড় রয়েছে। আল্লাহ প্রত‍্যেক নারীদেরকে তার স্বামীর বুকের বাম পাঁজরের উপরের সবচেয়ে বাঁকা হাড়টি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন, যা কখনো সোজা করতে গেলে ভেঙে যাবে, আবার ছেড়ে দিলে কখনো বক্রতা হারাবে না তথা সোজা হবে না। আল্লাহ মানবজাতিকে বিস্তার করেছেন হযরত আদম (আঃ) ও হযরত হাওয়া (আঃ)-এর মাধ‍্যমে এবং হাওয়া (আঃ)-কে সৃষ্টি করেছেন আদম (আঃ)-এর পাঁজরের হাড় থেকে। তার মানে এই নয় যে, আল্লাহ সকল নারীদেরকে আদম (আঃ)-এর পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ হাওয়া (আঃ)-কে যেমন তার স্বামীর পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করেছেন, তেমনি প্রত‍্যেক স্ত্রীকে তার স্বামীর পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করেছেন। যেহেতু আল্লাহ প্রত‍্যেক মানব-মানবীর প্রতি সমআচরণকারী। যদি শুধুমাত্র হাওয়া (আঃ)-কে পাঁজরের বাঁকা হাড় দিয়ে সৃষ্টি করা হতো, তাহলে রাসূল (সাঃ) বলতেন না, সকল নারীদেরকে পাঁজরের বাঁকা হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। সব নারীরাই পাঁজরের বাঁকা হাড় থেকে সৃষ্টি, শুধু হাওয়া (আঃ) নন। আল্লাহ আদম (আঃ) থেকে হাওয়া (আঃ)-কে সৃষ্টি করেছেন, যাতে তাঁরা উভয়ে উভয়ের নিকট শান্তি পায়। ঠিক তেমনি আল্লাহ প্রত‍্যেক স্বামী হতে তার স্ত্রী সৃষ্টি করেছেন, যাতে উভয়ে উভয়ের নিকট শান্তি পায় এবং প্রত‍্যেকের মধ‍্যে ভালোবাসা ও সহমর্মিতা বজায় থাকে। আল্লাহ কেনো হাওয়া (আঃ) সহ সকল নারীদেরকে তাদের নিজেদের স্বামীর পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করলেন? যাতে করে প্রত‍্যেক স্ত্রী তার স্বামীর কিছু গুণ, স্বভাব, বৈশিষ্ট‍্য পায়। যাতে করে তাদের মধ‍্যে অনেক আচরণে মিল থাকে। যাতে করে স্বামী-স্ত্রী পরস্পরে অনেক মিল-মোহাব্বত, শান্তি, ভালোবাসা ও সহমর্মিতা বজায় থাকে। আমরা অনেক সময় দেখতে পাই, স্বামী-স্ত্রী আচরণে, চেহারায়, এমনকি নামে পর্যন্ত মিল থাকে। এটা আল্লাহর বিশেষ কুদরত। আল্লাহ যে প্রত‍্যেক স্ত্রীকে তার স্বামীর পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করেছেন, তার বড় প্রমাণ প্রত‍্যেক পুরুষের বুকের বাম পাঁজরের উপরের হাড়টিই সবচেয়ে বেশি বাঁকা, যা সোজা করতে গেলে ভেঙ্গে যাবে, আবার ছেড়ে দিলে বক্রতা হারাবে না তথা সোজা হবে না। যেসব নারী চিরকুমারী, বুঝতে হবে আল্লাহ তাদেরকে কোনো পুরুষের পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করেননি (স্বাভাবিক নিয়মে সৃষ্টি করেছেন)। আল্লাহ শুধুমাত্র স্ত্রীগণকে তার স্বামীগণের পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করেছেন, চিরকুমারী বা কোনো অবিবাহিত মেয়েদেরকে নয়। আর যেসব বিধবা বা তালাকপ্রাপ্তা নারী পরবর্তীতে বিয়ে করে, তাহলে বুঝতে হবে আল্লাহ তাদেরকে তাদের সর্বশেষ স্বামীর পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করেছেন। হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)-এর সঙ্গে বিবাহের পূর্বে হযরত খাদীজা (রাঃ)-এর আরো দুটি বিয়ে হয়েছিলো এবং তিনি বিধবা ছিলেন। তার মানে এই নয় যে, হযরত খাদীজা (রাঃ) তাঁর পূর্ববর্তী দুই স্বামীর পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি হয়েছেন, বরং বুঝতে হবে তিনি তাঁর সর্বশেষ স্বামী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)-এর পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি হয়েছেন। ঠিক তেমনি হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)-এর সঙ্গে বিবাহের পূর্বে হযরত আয়শা (রাঃ) ব‍্যতীত অন‍্য সব স্ত্রীই তালাকপ্রাপ্তা বা বিধবা ছিলেন এবং হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) হলেন তাঁদের সকলের সর্বশেষ স্বামী। সুতরাং, হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)-এর সকল স্ত্রী (সাঃ)-এর নিজের পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি হয়েছেন। আল্লাহ স্ত্রীগণকে তাদের স্বামীগণ হতে সৃষ্টি করেছেন, যাতে বহু ক্ষেত্রে তাদের মধ‍্যে মিল থাকে এবং মায়া-মমতা-ভালোবাসা-শ্রদ্ধা-সম্মান বজায় থাকে এবং উভয়ে উভয়ের অনুগত (অধীন) হয়। পবিত্র কুরআন ও পবিত্র হাদীস হচ্ছে দুটি রহস‍্যময় বিজ্ঞানগন্থ। তাই কুরআন ও হাদীসের প্রতিটি আয়াত বা বাণীর বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ‍্যমে মর্ম উপলব্ধি করতে হবে। চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন‍্য এতে অবশ‍্যই বহু নিদর্শন রয়েছে। আল্লাহ আমাদেরকে সেই নিদর্শন উপলব্ধি করার তাওফীক দান করুক। আমিন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ