শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

শুধু আট প্রকার পশু দ্বারা কুরবানী দেয়া বৈধ • আট প্রকার পশু দ্বারা কুরবানী সর্বসম্মতি ক্রমে জায়েজ। তা হল: (১) ভেড়া বা দুম্বা (২) ছাগল (৩) গরু (৪) উট। এগুলোর প্রত্যেকটির নর ও মাদি। (আল আনআমঃ ১৪৪ ও ১৪) ইবনু আব্দুল বার (রহঃ) বলেন: والذي يضحى به بإجماع المسلمين، الأزواج الثمانية، وهى: الضأن والمعزوالإبل والبقر…. (انظر تفسير القرطبي عند تقسيره للآية: وفديناه بذبح عظيم ) মুসলিমদের ঐকমত্যে আট প্রকার পশু দ্বারা কুরবানী করা যাবে। তা হল: ভেড়া বা দুম্বা, ছাগল, উট,এবং গরু (এ গুলো নর ও মাদি)। তবে ইবনুল মুনযির বলেন, হাসান বিন ছালেহ হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন: “নীল গাভী দ্বারা সাতজনের পক্ষ থেকে কুরবানী করা যাবে।” ( তাফসীর কুরতুবী, সূরা সাফ্ফাতের ১০৭ নং আয়াতের তাফসীর) ইমাম শীরাযী বলেন: চতুষ্পদ জন্তু ছাড়া কুরবানী আদায় হবে না। আর চতুষ্পদ জন্তু হল: উট, গরু, ছাগল ও ভেড়া। কারণ আল্লাহ তায়ালা বলেন: ﴿لِيَذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ عَلَى مَا رَزَقَهُمْ مِنْ بَهِيمَةِ الْأَنْعَامِ﴾ “তারা যেন আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে ঐ সমস্ত চতুষ্পদ জন্তুর উপর (যবেহ করার সময়) যা আল্লাহ তাদের কে রিজিক হিসাবে প্রদান করেছেন।” (আল আনআমঃ ১৪৪) {দ্রঃ আল মুহাযযা (৮/৩৯২) গরুর ন্যায় মহিষের যাকাতের উপর কিয়াস করে অনেকে মহিষ দ্বারা কুরবানী জায়েজ বলেছেন। (মিরআত (২/৩৫৩-৫৪) এছাড়া হযরত আসমা (রা:) থেকে ঘোড়া কুরবানী, আবু হোরায়রা (রা:) থেকে মোরগ কুরবানী, হাসান বিন ছালেহ থেকে জংলি গাভী ও হরিণ কুরবানী ইত্যাদি কথাও বর্ণিত হয়েছে। সুবুলুস সালাম (কায়রো থেকে প্রকাশিত) ১৯৮৭, ৪/১৮৫) (যদিও বুখারী -মীরাটঃ ১৩২৮ হি: ) ৮২৮ পৃষ্ঠায় বর্ণিত আসমা (রা:) এর রেওয়ায়াত ব্যতীত অন্য গুলির বর্ণনা সন্দেহ মুক্ত নয় ) কিন্তু এসবের কোনটি রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সুন্নাত হিসাবে প্রমাণিত নয়। (দ্রঃ মসায়েলে কুরবানীঃ ৫) বুখারীর আসমা বর্ণিত হাদীছে ঘোড়া দ্বারা কুরবানী কথা আসেনি বরং সাধারণ যবেহ করার কথা এসেছে। যেমনঃ عن أسماء قالت: نحرنا فرسا على عهد رسول الله  فأكلناه (رواه البخاري برقم ৫৫১০، ومسلم برقم ১৯৪২ والنسائي ৭/২২৭) আসমা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমরা রাসুলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জামানায় একটি ঘোড়া জবহ করে খেয়েছিলাম।” (বুখারী হা/ ৫৫১০, মুসলিম হা/ ১৯৪২, নাসায়ী (৭/২২৭), প্রভৃতি) মোট কথা: আট প্রকার পশু দ্বারা কুরবানী করা বৈধ। এতে কোন মতবিরোধ নেই এবং এগুলো দ্বারা কুরবানী করা রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং ছাহাবাদের থেকেও প্রমাণিত। ঐ আট প্রকার পশু হল: (১) ভেড়া বা দুম্বা (২) ছাগল (৩) গরু (৪) উট। এগুলো নর ও মাদি। অতএব কুরবানী দিতে হলে এগুলো দ্বারাই কুরবানী দেয়া উচিত।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

* বকরী, পাঠা, খাসী, ভেড়া, ভেড়ী, দুম্বা, গাভী, ষাড়, বলদ, মহিষ, উট- এই শ্রেণীর গৃহপালিত জন্তু দ্বারা কুরবানী করা জায়েয আছে।

* বকরী, খাসী, ভেড়া, ভেড়ী, দুম্বা কুরবানীর ক্ষেত্রে অন্ততপক্ষে পূর্ণ এক বৎসর বয়সের হতে হবে। তবে ভেড়া, ভেড়ী ও দুম্বার বয়স যদি পূর্ণ এক বৎসর না হয়; কিন্তু মোটা তাজা ও স্বাস্থ্যবান হওয়ার কারণে এক বৎসর বয়সী ভেড়া, দুম্বার মত দেখা যায় তাহলে সে ভেড়া ও দুম্বা দ্বারা কুরবানী করা জায়েয আছে। তবে অন্তত ছয় মাস বয়সের অবশ্যই হতে হবে।

*  কুরবানীর পশু ভাল ও হৃষ্ট পুষ্ট হওয়া উত্তম।

*  কুরবানীর উদ্দেশে ক্রয়কৃত প্রাণীর মাঝে কুরবানী প্রতিবন্ধক দোষ ত্রুটি দেখা দিলে তদস্থলে আরেকটি ক্রয় করে কুরবানী করতে হবে। তবে কুরবানী দাতা দরিদ্র হলে তদ্দ¦ারাই কুরবানী করতে পারবে।

* বন্ধ্যা বা গর্ভবতী পশু দ্বারা কুরবানী করা জায়েয আছে। তবে যদি জবাইর পর গর্ভে বাচ্চা পরিলক্ষিত হয় তাহলে তাও জবাই করে দিতে হবে। তবে বাচ্চা প্রসবের নিকটবর্তী হলে এরূপ পশু দ্বারা কুরবানী করা মাকরূহ।-আদদুররুল মুখতার মাআ রদ্দিল মুহতার ৯/৪৬৫-৪৬৯, ৪৬৭, ৪৭১।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ