শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

কুরবানীর পশু যবেহ করতে আর্থিকভাবে সামর্থবান ব্যক্তির উপর কুরবানী ওয়াজিব। সামর্থবান কাকে বলা হবে এ বিষয়ে ওলামায়ে কিরামের মতপার্থক্য রয়েছে। ১. হানাফী মাযহাবের আলেমদের মতে, ব্যক্তিগত আসবাব পত্র ও ঈদের দিনগুলোর মধ্যে খাওয়া-দাওয়ার অতিরিক্ত যাকাতের নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিকের উপর কুরবানী ওয়াজিব হবে। ২. একদল আলেমের মতে, ঈদের দিনগুলোতে কুরবানীর পশু খরিদ করার মত অর্থ যার কাছে রয়েছে সে কুরবানী আদায় করবে। (তাবয়ীনুল হাক্বাইক-৩/৬, শারহ আর-রিসালাহ- পৃ: ৩৬৭, হাশিয়াতুল বাজুরী ২/৩০৪, কাশ্শাফুল কিনা’ ৩/১৮)। এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদীস দ্বিতীয় মতটিকে শক্তিশালী করে। হাদীসে এসেছে : «مَنْ وَجَدَ سَعَةً فَلَمْ يُضَحِّ فَلَا يَقْرَبَنَّ مُصَلَّانَا» ‘যে কুরবানী করার মত আর্থিক স্বচ্ছলতা লাভ করে সে যদি কুরবানী না করে তবে সে যেন আমাদের ইদগাহে না আসে।’ এতে প্রমাণিত হয়েছে কুরবানীর পশু যবেহ করার স্বচ্ছলতাই এর জন্য অন্যতম শর্ত। কুরবানীর জন্য নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়া শর্ত নয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
 জিলহজ মাসের ১০ তারিখ ফজর থেকে নিয়ে ১২ তারিখ সন্ধ্যা পর্যন্ত কুরবানীর দিনগুলোতে যেসব মুসলিম, স্বাধীন, বুদ্ধিমান, সাবালক এবং মুকীম তথা স্থানীয় ব্যক্তির নিকট ৭.৫ তোলা (৮৭.৪৮ গ্রাম) স্বর্ণ অথবা ৫২.৫ তোলা (৬১২.৩৬ গ্রাম) রুপা অথবা সমপরিমাণ মূল্যের ব্যবসায়িক পণ্য বা তরল (নগদ) অর্থ থাকবে তাদের উপর কুরবানী করা আবশ্যক হবে। উল্লেখ্য, ব্যবসায়িক পণ্য এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত জমির মূল্য ও কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার ক্ষেত্রে বিবেচ্য হবে-আদদুররুল মুখতার ৯/৫৫২, ৫৫৮।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ