শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

কুরবানী দাতার করণীয় ১. শুধু কুরবানীর গোশত খাওয়ার জন্য কুরবানীর পশু যবেহ করা নয়, বরং আল্লাহর নৈকট্য লাভ করার কুরবানী করবেন । এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন : «وَمَنْ نَحَرَ قَبْلَ الصَّلاَةِ فَإِنَّمَا هُوَ لَحْمٌ قَدَّمَهُ لِأَهْلِهِ، لَيْسَ مِنَ النُّسْكِ فِي شَيْءٍ» “আর যে কেউ সালাতের পূর্বে নাহর করবে বা যবেহ করবে, সে তো তার পরিবার বর্গের জন্য গোশতের ব্যবস্থা করল, কুরবানীর কিছু আদায় হল না। [সহীহ বুখারী: ৯৬৫ ] ২. কুরবানীদাতা ঈদের চাঁদ দেখার পর স্বীয় চুল ও নখ কাটা থেকে কুরবানী করা পর্যন্ত বিরত থাকবেন। হাদীসে এসেছে, উম্মে সালামাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহা থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, «إِذَا رَأَيْتُمْ هِلَالَ ذِي الْحِجَّةِ وَأَرَادَ أَحَدُكُمْ أَنْ يُضَحِّيَ فَلْيُمْسِكْ عَنْ شَعْرِهِ وَأَظْفَارِهِ» “তোমাদের মাঝে যে কুরবানী করার ইচ্ছে করে সে যেন যিলহজ মাসের চাঁদ দেখার পর থেকে চুল ও নখ কাটা থেকে বিরত থাকে।” ইমাম মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ৩. কুরবানীর দ্বারা পরিবেশ দূষিত হয় এমন কোনো কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। সুতরাং পশুর রক্ত মাটি দ্বারা ঢেকে দেয়া, ময়লা, আবর্জনা সরিয়ে ফেলা একান্ত প্রয়োজন । আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে কুরাবানীর মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করার তাওফীক দিন । আমীন وصلى الله على نبينا محمد وعلي اله وأصحابه ومن تبعهم بإحسان إلى يوم الدين وأخر دعوانا أن الحمد لله رب العالمين লেখক: হাবীবুল্লাহ মুহাম্মাদ ইকবাল সম্পাদনা: ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া সূত্র: ইসলামহাউজ

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ