Sanjoyrand1

Call

ইস্টার্ণ ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের একটি উল্লেখযোগ্য অলাভজনক ও অরাজনৈতিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। ২০০৩ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি তার যাত্রা শুরু করে (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৯২ অনুসারে)। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক অনুমদিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে মোট চারটি অনুষদ নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হয়ে থাকে।

 

ঠিকানাঃ

ভর্তি অফিসঃ বাসা# ২৬, রোড# ০৫, ধানমন্ডি, ঢাকা – ১২০৫

 

যোগাযোগঃ

ফোনঃ +৮৮০২৯৬৭১৯১২ অথবা +৮৮০২৯৬৭১৯২৫

মোবাইলঃ +৮৮০১৭৪১৩০০০০২ অথবা +৮৮০১৮২৩৬৬০৮৩৩

ই-মেইলঃ [email protected]

ওয়েবসাইটঃ www.easternuni.edu.bd

 

ইস্টার্ণ ইউনিভার্সিটির প্রোগ্রামগুলোঃ

প্রকৌশল অনুষদঃ

কলা অনুষদঃ

আইন অনুষদঃ

ব্যবসা অনুষদঃ

=>বিএসসি ইন সিএসই

=>বিএসসি ইন ইইই

=>বিএসসি ইন ইইই (সান্ধকালীন)

=>বিএসসি ইন ইটিই

=>বি.এ. (অনার্স) ইন ইংলিশ

=>এম.এ. ইন ইএলটি (১ বছর)

=>এম.এ. ইন ইএলটি (২ বছর)

=>এম.এ. ইন ইএলএল

=>এল.এল.বি. (অনার্স)

=>এল.এল.এম. (১ বছর)

=>বিবিএ

=>এমবিএ (নিয়মিত)

=>এমবিএ (এক্সিকিউটিভ)

 

শিক্ষা পদ্ধতিঃ

এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি চার মাসে একটি সেমিস্টার হয়। সেই হিসেবে বছরে থাকে তিনটি সেমিস্টার। বছরের শুরুর সেমিস্টারটি হল ‘স্প্রিং’, মাঝেরটা ‘সামার’এবংশেষেরটা ‘ফল’। প্রতিটি অনুষদের জন্যই এই একই নিতিমালা প্রযোজ্য।

 

স্নাতক প্রোগ্রামে ভর্তি প্রক্রিয়াঃ

১। প্রথমত, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে ভর্তি ফর্ম ডাউনলোড করতে হবে। অথবা, ভর্তি অফিস থেকেও ফর্মটি সংগ্রহ করা যাবে।

২। ফর্মে নির্ধারিত সকল ফাকা জায়গা পূরণ করতে হবে।

৩। সংগৃহীত ফর্মটি ভর্তি অফিসে স্বশরীরে গিয়ে জমা দিতে হবে। ফর্মের সাথে সদ্য তোলাদুই কপি পাস্পোর্ট সাইজের রঙ্গিন ছবি সাত্যায়িত করে জমা দিতে হবে।

৪। ফর্ম বাবদ তিনশত টাকা ফি জমা দিতে হবে। যদি ফর্মটি পূর্বেই অফিস থেকে সংগৃহীত হয়ে থাকে তবে তা নেয়ার সময় ফি দিতে হয়, তাই আর পরে ফি দেয়া লাগে না। কিন্তু ডাউনলোড করা ফর্মের ক্ষেত্রে পরে ফি জমা দিতে হয়।

৫। অফিস থেকে লিখিত পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে হবে।

৬। যে সকল ছাত্র-ছাত্রীদের  এসএসসি ও এইচএসসি উভয়ে অথবা সম মানের পরীক্ষায় জিপিএ ৫ আছে, তাদের লিখিত পরীক্ষা দেয়া লাগবে না, কিন্তু মৌখিক পরীক্ষা দিতে হবে।

৭। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তির্ণ হওয়ার পরে, পূর্বের অর্জিত সকল সার্টিফিকেটের ও প্রসংশাপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি (প্রত্যেকটি এক কপি করে) জমা দিতে হবে।

৮। সদ্য তোলা ২ কপি পাসস্পোর্ট ও ২ কপি স্ট্যাম্প সাইজ রঙ্গিন ছবি সত্যায়িত করে জমা দিতে হবে।

৯। ভর্তি ফি জমা দিতে হবে (ঢাকা ব্যাংকের যেকোন শাখায় অথবা আইএফাইসি ব্যাংকের ধানমন্ডির মিরপুর রোড শাখায় (রয়্যাল প্লাজা) জমা দিতে হবে)।

১০। ব্যাংকের রশিদ ভর্তি অফিসে জমা দিয়ে অন্যান্য ফর্মালিটিগুলো পালন করে আইডি নম্বর সংগ্রহ করতে হবে।

১১। নবীন বরণ অনুষ্ঠানের দাওয়াতপত্র নিতে হবে। এরপর ক্লাস শুরু হলে নিজ অনুষদ থেকে আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে হবে।

 

স্নাতক প্রোগ্রামে ভর্তির নূন্যতম যোগ্যতাঃ

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছুদের অবশ্যই এসএসসি/দাখিল পরীক্ষায় নূন্যতম জিপিএ২.৫০ এবং এইচএসসি/আলিম/ডিপ্লোমা (টেকনিক্যাল বোর্ড) পরীক্ষায় নূন্যতম জিপিএ ২.০০ এবং উভয় পরীক্ষার জিপিএ-এর যোগফল নূন্যতম ৬.০০ হতে হবে। জিসিই ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষেত্রে, ‘ও’লেভেলেনূন্যতমজিপিএ২.৫০ (পাঁচবিষয়েপাশসহ) এবং‘এ’লেভেলেনূন্যতমজিপিএ২.০০ (দুইবিষয়েপাশসহ) থাকতেহবে।‘ও’লেভেলকিংবা‘এ’লেভেলেরকোনোবিষয়েই‘ই’গ্রেডথাকাযাবেনা।

 

স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে ভর্তি প্রক্রিয়াঃ

১। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে ভর্তি ফর্ম ডাউনলোড করতে হবে। অথবা, ভর্তি অফিস থেকেও ফর্মটি সংগ্রহ করা যাবে।

২। ফর্মে নির্ধারিত সকল ফাকা জায়গা পূরণ করতে হবে। ফর্মের সাথে সদ্য তোলা ৪ কপি পাসস্পোর্ট ও ২ কপি স্ট্যাম্প সাইজ রঙ্গিন ছবি সত্যায়িত করে জমা দিতে হবে।

৩। পূর্বের অর্জিত সকল সার্টিফিকেটের ও প্রসংশাপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি (প্রত্যেকটি এক কপি করে) জমা দিতে হবে।

৪। ভর্তি ফি জমা দিতে হবে (ঢাকা ব্যাংকের যেকোন শাখায় অথবা আইএফাইসি ব্যাংকের ধানমন্ডির মিরপুর রোড শাখায় (রয়্যাল প্লাজা) জমা দিতে হবে)।

৫। ব্যাংকের রশিদ ভর্তি অফিসে জমা দিয়ে অন্যান্য ফর্মালিটিগুলো পালন করে আইডি নম্বর সংগ্রহ করতে হবে।

৬। নবীন বরণ অনুষ্ঠানের দাওয়াতপত্র নিতে হবে। এরপর ক্লাস শুরু হলে নিজ অনুষদ থেকে আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে হবে।

 

স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে ভর্তির নূন্যতম যোগ্যতাঃ

এসএসসি ও এইচএসসি দুই পরীক্ষাতেই নূন্যতম জিপিএ ২.৫০ অথবা দ্বিতীয় বিভাগে পাশ করতে হবে। জিসিই ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষেত্রে, ‘ও’লেভেলেনূন্যতমজিপিএ২.৫০ (পাঁচবিষয়েপাশসহ) এবং‘এ’লেভেলেনূন্যতমজিপিএ২.০০ (দুইবিষয়েপাশসহ) থাকতেহবে।‘ও’লেভেলকিংবা‘এ’লেভেলেরকোনোবিষয়েই‘ই’গ্রেডথাকাযাবেনা।নূন্যতম দ্বিতীয় বিভাগ বা সিজিপিএ ২.৫০ সহ স্নাতক পাশ থাকতে হবে। এক্সিকিউটিভ এমবিএ প্রোগ্রামের জন্য এইগুলোর সাথে নূন্যতম দুই বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিস্তারিত খরচঃ

ভর্তি ফিঃ

যে কোনো প্রোগ্রামেই ভর্তির জন্য ফি নেয়া হয় ১০,০০০ (দশ হাজার) টাকা।

 

টিউশন ফিঃ

টিউশন ফি নেয়া হয় ক্রেডিট আওয়ার হিসেবে। যে প্রোগ্রামে যে রকম ক্রেডিট আওয়ার থাকে, তার জন্য সেরকম খরচ হবে। নিচের ছকে কোন প্রোগ্রামের কত ক্রেডিট আওয়ার এবং কোন প্রোগ্রামের জন্য প্রত্যেক ক্রেডিট আওয়ার ফি কত তা দেয়া হলঃ

প্রোগ্রামের নাম

ক্রেডিট আওয়ার

প্রতি ক্রেডিট আওয়ার ফি (টাকা)

বিএসসি ইন সিএসই

১৫৭

৳ ২,২৫০

বিএসসি ইন ইইই

১৪৯

৳ ৩,১৭৫

বিএসসি ইন ইইই (সান্ধকালীন)

১৩২

৳ ২,৩৭৫

বিএসসি ইন ইটিই

১৫৫

৳ ২,২৫০

বি.এ. (অনার্স) ইন ইংলিশ

১২১

৳ ১,৭৭৫

এম.এ. ইন ইএলটি (১ বছর)

৪২

৳ ১,৪২৫

এম.এ. ইন ইএলটি (২ বছর)

৬৬

৳ ১,৩০০

এম.এ. ইন ইএলএল

৪১

৳ ১,৫৭৫

এল.এল.বি. (অনার্স)

১৩০

৳ ২,২৫০

এল.এল.এম. (১ বছর)

৩৬

৳ ১,৬৭৫

বিবিএ

১৩২

৳ ৩,১৫০

এমবিএ (নিয়মিত)

৬৬

৳ ২,৭৭৫

এমবিএ (এক্সিকিউটিভ)

৪৮

৳ ২,৭৭৫

 

অন্যান্য ফিঃ

১। রেজিস্ট্রেশন ফি (প্রতি সেমিস্টার) = ৳ ২,০০০

২। উন্নয়ন ফি (প্রতি সেমিস্টার) = ৳ ২,০০০

৩। সেমিস্টার কার্যক্রম ফি (প্রতি সেমিস্টার) = ৳ ১,০০০

৪। ল্যাব ফি (প্রতি সেমিস্টার) = ৳ ৫০০

৫। লাইব্রেরী ফি (প্রতি সেমিস্টার) = ৳ ৫০০

তাহলে, যেকোন প্রোগ্রামের ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষেত্রে, প্রতি সেমিস্টারে টিউশন ফি ছাড়া অন্যান্য ফি বাবদ দিতে হয় মোট ৬,০০০ (ছয়) হাজার টাকা।

 

টাকা জমা দেয়ার পদ্ধতিঃ

প্রতি সেমিস্টারের শুরুতে অন্যান্য খরচ বাবদ ছয় হাজার টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। আর, প্রতি সেমিস্টারের টিউশন ফি-কে সমান তিন ভাগে ভাগ করে, তিন কিস্তিতে দিতে হয়। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় কিস্তির তারিখ নোটিশ বোর্ডে দেয়া হয়। স্বাধারণত, সেমিস্টারের মাঝে এক মাস অন্তর অন্তর তিনটি তারিখ দেয়া হয়।

 

ফেরতযোগ্য জমাঃ

লাইব্রেরী ও ল্যাব সিকিউরিটি বাবদ ফেরতযোগ্য জামানত ২,০০০ (দুই হাজার) টাকা ভর্তির সময় নেয়া হয়, যা ডিগ্রী নেয়া শেষে ফেরত দেয়া হয়।

 

টিউশন ফি ছাড়/ স্কলারশীপঃ

স্নাতক প্রোগ্রামের জন্য, ভর্তির সময় পূর্বের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে ১০% থেকে ১০০% পর্যন্ত ছাড় দিয়ে থাকে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি। এছাড়াও প্রত্যেক সেমিস্টারের ফলাফলের ভিত্তিতে পরের সেমিস্টারে ১০% থেকে ৫০% ছাড় দেওয়া হয়। সকল ছাত্রীদের জন্য ১০% স্পেশাল ছাড় থাকে। আবার, আদিবাসীদের জন্য থাকে ১৫% এবং স্বামী-স্ত্রী একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়তে পড়লে তারা দুইজনই পাবে ২৫% ছাড়। তাছাড়া, শারীরিক বিকলঙ্গ এবং অসচ্ছল-মেধাবীদের জন্য থাকে স্পেশাল কিছু ছাড়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ