শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ইস্কান্দার মির্জা ১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর সামরিক আইন জারী করেছিলেন। জেনারেল মহম্মদ আইয়ুব খানকে প্রধান শাসক নিয়োগ করার পর আইয়ুব নিজেই সংসদীয় কতৃপক্ষের ক্ষমতা ও এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সামরিক ক্ষমতার অধিকারী আইয়ুব রাষ্ট্রপতি মির্জাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেন ১৯৫৮ সালের ২৭ অক্টোবর। এরপর থেকেই পাকিস্তান রাজনীতির সামরিকীকরণের সূচনা হয়। চার বছর পরে ১৯৬২ সালে সংবিধানের কিছুগ পরিবর্তন সাধিত হয় এবং ২৫ মার্চ ১৯৬৯ দ্বিতীয়বার পাকিস্তানে সামরিক আইন জারী হয়। রাষ্ট্রপতি আইয়ুব সামরিক বিশেষ ক্ষমতা প্রদান করেন সেনাবাহিনী প্রধান, জেনারেল ইয়াহিয়া খানকে। পশ্চিম পাকিস্তানে জেনারেল ইয়াহিয়া একক ক্ষমতার অবলুপ্তি করন করতে ব্যক্তি বিশেষে ভোটাধিকারের নিয়ম চালু করেন। জুলফিকার আলী ভুট্টো তৃতীয়বার সামরিক শাসন চালু করেন ২১ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের পরে। জেনারেল মহম্মদ জিয়া উল হক ১৯৭৭ সালে চতুর্থবারের জন্যে আবার সামরিক শাসন জারী করেছিলেন। প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ভুট্টোকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করেন জেনারেল জিয়া। এরপর সামরিক শক্তি বলে বেলুচিস্তান ও অন্যান্য প্রদেশের অশান্তি বিক্ষোভকে দমন করেন তিনি। জিয়া প্লেন দুর্ঘটনায় মারা যান।

১৯৯৯ সালের ১২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে সরিয়ে সেনাপ্রধান পারভেজ মুশাররফ ক্ষমতায় আসেন যদিও ঘোষিতভাবে সামরিক আইন জারী করা হয়নি। মুশারফ চিফ এক্সিকিউটিভ হিসেবে ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন যতক্ষন না রাষ্ট্রপতি রফিক তারার পদত্যাগ ও মুশারফ নতুন রাষ্ট্রপতি না হন। ২০০২ সালের নির্বাচনে জাফারুল্লাহ খান জামালি প্রধানমন্ত্রীত্ব পান। সরকার রাষ্ট্রপতি মুশারফ ও নির্বাচিত মন্ত্রীসভার সাধারন বোঝাপড়ার মাধ্যমেই চলতে থাকে। ২০০৭ সালে জেলারেল মুশারফ জরুরী অবস্থা জারী করেন ও পক্ষান্তরে সামরিক শাসনই জারী হয় দেশব্যাপী। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে বরখাস্ত করা হয়। ২০০৭ সালে ১২ নভেম্বর মুশারফ সামরিক আইনে কিছু পরিবর্তন করে অতিরিক্ত ক্ষমতা দেন বাহিনীকে।

সুত্রঃ উইকিপিডিয়া

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

1958 সালে  পাকিস্তানে  সামরিক শাসন  শুরু  হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ