আল্লাহ ও রাসূলকে যে-কোনভাবে কষ্ট দেয়া কুফরী কাজ, যা ইসলাম থেকে বের করে দেয়।
আল্লাহকে গালি দেওয়া কুফরি, গালিদাতাকে হত্যা
করা ওয়াজিব। এতে কোনো মুসলিমের দ্বিমত
নেই। দ্বিমত শুধু তার তওবার ক্ষেত্রে, তওবা
তাকে মৃত্যুদণ্ড থেকে অব্যাহতি দিবে কি দিবে
না, যদি সে তওবা করে? এ সম্পর্কে দুটি মত
প্রসিদ্ধ।
আল্লাহকে গালি দেওয়া ও তার সাথে উপহাস করা
মূলত তাকে কষ্ট দেওয়া। কষ্ট দেওয়ার শাস্তি
সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন: নিশ্চয় যারা
আল্লাহ ও তার রাসূলকে কষ্ট দেয়, আল্লাহ
তাদেরকে দুনিয়া ও আখিরাতে লানত করেন, এবং
তিনি তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন
অপমানজনক আযাব। (আহযাবঃ ৫৭)।
হাদীসে এসেছে, আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: আল্লাহ তাআলা বলেন: আদম সন্তান আমাকে কষ্ট দেয়। তারা যুগকে গালি দেয়, অথচ আমি যুগ। রাত-দিনের আবর্তন আমিই করে থাকি। (সহীহ বুখারীঃ ৪৮২৬, সহীহ মুসলিমঃ ২)।
সুতরাং যুগকে গালি দেয়া, প্রকৃতিকে দোষারোপ করা ঠিক নয়। কারণ প্রাকৃতিক কর্ম আল্লাহ তাআলার হাতে, কোন যুগ বা রাশিচক্রের নয়।
কেউ রাগের মাথায় আল্লাহকে গালি দিলো
যেকোনো বিষয়ে আবার
সাথে সাথে ক্ষমা চাইলো
তাহলে তার গুনাহ মাফ হবে।
তবে আবার যদি সে সবসময়ই এমন করে পরে মাফ চায়
তাহলে মাফ হবে না।
কেননা,
পাপের সম্পর্ক যদি আল্লাহর সাথে হয়, তাহলে তা থেকে তওবা করতে হলে তার মাঝে তিনটি শর্ত বিদ্যমান থাকতে হবে বলে ওলামাগণ বলে থাকেন।
১। পাপ কাজটি পরিহার করতে হবে।
২। কৃত পাপকর্মের প্রতি আন্তরিকভাবে লজ্জিত বা অনুতপ্ত হতে হবে।
৩। ভবিষ্যতে আর এই পাপ কর্মে লিপ্ত হবেনা বলে দৃঢ় সংকল্প করতে হবে।