আমরা দুইজন  গোপনে বিয়ে করেছিলাম। বিয়ের পরে যে যার মতো নিজের বাবা-মা এর সাথে নিজ নিজ বাড়ি তে থাকতাম। কিন্তু আমার স্ত্রীর বাসায় ব্যাপার টা জানাজানি হয়ে যায় বিয়ের দের মাসের মাথায় এবং তাকে জোর করে একটা কাজী অফিসে নিয়ে গিয়ে তালাকনামা তে সই করিয়ে নেয়। আমার বাসায় সেই তালাকনামার কাগজ ডাক যোগে আসে সেখানে আমার কোনো সই করতেও হয় নি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বিয়ের 45 দিনের মাথায় এক পক্ষ তালাক দিলে সেই তালাক কী আইনত হয়ে যায়?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

জী তালাক হয়ে যাবে। তালাক বিয়ের কতদিন বা কতক্ষন পরে তালাক দেয়া হয়েছে সেটা কোন মূখ্য বিষয় নয় সেটা ছেলে বা মেয়ে যে পক্ষই তালাক দিক না কেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

বাংলাদেশ মুসলিম পারিবারিক আইন এবং ইসলামী আইন মতে যদি স্বামী স্ত্রীকে বিবাহ করার সময় বা অন্য সময় নিজের উপর তালাক পতিত করার অধিকার প্রদান করে থাকে, তাহলে যে শর্তে তালাক পতিত করার অধিকার প্রদান করেছে, উক্ত শর্ত পাওয়া গেলে যত তালাকের অধিকার প্রদান করেছে, তা প্রদান করে নিলে স্ত্রীর উপর তালাক পতিত হয়ে যায়। যদি এক বা দুই তালাক প্রদান করে থাকে, তাহলে স্বামী স্ত্রী উভয়ে নতুন করে বিবাহ করে নিলেই হবে। আবার ঘর সংসার করতে পারবে। আর যদি তিন তালাক প্রদান করে থাকে, তাহলে আর এক সাথে থাকতে পারবে না। আর যদি স্ত্রীকে নিজের উপর তালাক প্রদানের অধিকার বিষয়ে স্বামী কিছুই না জানে। তাকে না জানিয়ে কাজী নিজের পক্ষ থেকে তালাকের অধিকার দিয়ে থাকে, তাহলে এর দ্বারা স্ত্রী নিজের উপর তালাক প্রদানের অধিকার পায় না। অনুরূপভাবে বিবাহের সময় কাবিন নামায় তালাকের অধিকার দেয়া সংক্রান্ত কোন বিষয় যদি স্বামী না জেনে থাকে, বরং কাজী নিজের পক্ষ থেকে তালাকের অধিকার দিয়ে থাকে, তাহলে এ অধিকার বলে স্ত্রী নিজের উপর তালাক পতিত করলে এর দ্বারা কোন তালাক পতিত হয় না। সুতরাং আপনি যদি কাবিন নামায় কিংবা মৌখিকভাবে আপনার স্ত্রীকে তালাক গ্রহণের এখতিয়ার দিয়ে থাকেন তাহলে আপনার স্ত্রীর পক্ষ থেকে প্রদত্ত তালাক কার্যকর হবে। অন্যথায় কার্যকর হবে না। আশকরি বিষয়টি বুঝেছেন। ধন্যবাদ। সূত্র:ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ১/৩৭৯, আল-মুহিতুল বুরহানী: ৪/৪৮৬, ফাতাওয়া তাতারখানিয়া: ৩/৩৮০, রদ্দুর মুহতার: ৪/৪৫২

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ