লালন শাহকে 'লালন ফকির' বলার কারণঃ লালন শাহ কয়েকটি গানে নিজেকে 'লালন ফকির' হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এর কারণ হতে পারেঃ
আমরা জানি, মুসলমান সাধু পুরুষকে ফকির বলে। লালনের গানে ধর্ম নিরপেক্ষতা প্রকাশ পেলেও হয়তো লালন মনে মনে নিজেকে মুসলমান ধর্মপরায়ণ হিসেবেই ভাবতেন, সেজন্য নিজেকে 'লালন ফকির' বলেছেন।
অথবা, হতে পারে লালন নিজেকে 'অতি দরিদ্র ও নিঃস্ব ব্যক্তি' মনে করতেন, সেজন্য নিজেকে 'লালন ফকির' হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
অথবা, হতে পারে লালন নিজেকে মরমি সাধক তথা সমব্যথী, সহানুভূতিসম্পন্ন, দরদী, মর্ম উপলব্ধিকারী সাধক মনে করতেন, সেজন্য নিজেকে 'লালন ফকির' হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
লালন ফকির কি মুসলমান ছিলেনঃ ধারণা করা যায়, তিনি মুসলমান ছিলেন। কারণঃ
'লালন শাহ' এই নামটির মধ্যে 'শাহ' কথাটি রয়েছে। যেহেতু মুসলমান সুলতানকে 'শাহ' বলে এবং 'শাহ' মুসলমান শিশুর নাম হয়ে থাকে, সেজন্য হতে পারে তিনি মুসলমান ছিলেন।
লালন শাহ নিজেকে 'লালন ফকির' হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন। যেহেতু মুসলমান সাধুপুরুষকে 'ফকির' বলে, সেজন্য হতে পারে তিনি মুসলমান ছিলেন।
লালন শাহের জন্ম পরিচয় জানা না গেলেও এটা সবাই জানে, তিনি একটি মুসলিম পরিবারে বেড়ে উঠেছিলেন এবং সেখানে তার অভিভাবক মুসলমান ছিলেন। যেহেতু তিনি মুসলমানদের ছোঁয়ায় বা লালন-পালনে বড় হয়েছেন। হতে পারে, তিনি মুসলমান মা-বাবার সন্তান ছিলেন বিধায় আল্লাহ তাকে মুসলিম পরিবারে বেড়ে উঠার ব্যবস্থা করেছিলেন।
আমরা জানি, খ্রিস্টান হলে কফিনে আর হিন্দু হলে মারা যাওয়ার পর চিতায় পুড়ে ছাই করা হয়। কিন্তু তার ইচ্ছায় তার মৃত্যুর পর এর কোনোটিই করা হয় নি। যদিও তার ইচ্ছায় তার মৃত্যুর পর জানাযা হয়নি, তবুও তাকে তার ইচ্ছায় কবর খুড়ে দাফন করা হয়েছিল। মারা যাওয়ার পর কবর খুড়ে দাফন করা মুসলমানদের নিয়ম। এ থেকেও বলা যায়, তিনি মুসলমান ছিলেন।
মৃত্যুর পর তার মাজার হয়েছে। তার শিষ্যদেরকেও তার পাশে কবর খুড়ে দাফন করা হয়েছে। মাজার, কবর এগুলো মুসলমানদেরই সাবজেক্ট। এ থেকেও ধরে নেওয়া যায়, তিনি মুসলমান ছিলেন।
যদিও তিনি মানবধর্মের অনুসারী ছিলেন। কিন্তু মানবধর্মের আরেক নাম হলো ইসলাম। কারণ, ইসলাম শুধু মুসলমানদের কথা বলে নি, সমগ্র মানবজাতির কথা বলেছে। যেমনঃ ইসলাম বলেছে, "যে একজন মানুষকে হত্যা করলো, সে যেনো গোটা মানবজাতিকেই হত্যা করলো। আবার যে একজন মানুষকে বাঁচালো, সে যেনো গোটা মানবজাতিকেই বাঁচালো। (সূরাঃ আল-মায়েদা, আয়াতঃ ৩২)"। যেহেতু তিনি ইসলাম ধর্মের আরেক নাম মানবধর্মের অনুসারী ছিলেন, এ থেকেও বলা যায় তিনি মুসলমান ছিলেন।
তিনি তার জন্ম পরিচয় গোপন রাখার কারণ হতে পারে, তিনি কোনো কারণে তার কাছের মানুষদের দ্বারা মানসিক আঘাত পেয়েছিলেন। আর ধর্ম পরিচয় গোপন রাখার কারণ হতে পারে, তিনি চেয়েছিলেন সকল ধর্মের মানুষের কাছে তার গান ও জীবনী গ্রহণযোগ্যতা পাক। ভারতীয় উপমহাদেশে লালন শাহ বা লালন ফকিরকে সর্বপ্রথম 'মহাত্মা' উপাধি দেয়া হয়েছিল। ধন্যবাদ।
তথ্যসূত্রঃ
উইকিপিডিয়া।
মাসিক মোহাম্মদী।
ব্যক্তিগত মতামত।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
আমরা জানি, অ্যালকোহলে হাইড্রোক্সিল মূলক সম্পৃক্ত কার্বনের সাথে যুক্ত থাকে, অন্যদিকে ফেনলে হাইড্রোক্সিল গ্রুপ একটি অসম্পৃক্ত এরোমেটিক হাইড্রোকার্বন চক্র, যেমনঃ বেনজিনের সাথে যুক্ত থাকে।
তাই ফেনলকে অ্যালকোহল বলা হয় না।
একবার ইরাকের কয়েকজন মহিলা ইমাম আযম আবু হানিফা (রহঃ) এর কাছে এসে প্রশ্ন করলেন, একজন পুরুষ যদি একত্রে চারজন স্ত্রী গ্রহন করতে পারে তাহলে একজন মহিলা একত্রে দুজন স্বামী গ্রহন...
ইসলাম মনে করে, এই পৃথিবীতে মানুষের পরই প্রাণিজগতের স্থান। প্রাণিজগেক পৃথক জাতি-সত্তার স্বীকৃতি দিয়ে কোরআন বলছে : ‘পৃথিবীতে বিচরণশীল যত প্রাণী আছে আর যত পাখি দুই ডানা মেলে উড়ে বেড়ায়,...
এলিয়েন...ব্যাপারটা অত্যন্ত কম্প্লিকেটেড। আসলে আমরা কেওই ঠিক করে কিছু বলতে পারি না কারণ মহাবিশ্ব এতটা বড়যে আমরা শুধু অনুমান করতে পারি এবং সম্ভাবনা বলতে পারি। এখন,এলিয়েনের প্রসঙ্গে কুরআনে কয়েকটা আয়াত...
ভাই কষ্টকে কষ্ট মনে করবেন না। এমুন কোন সিদ্ধান্ত নিবেন না, যেন সারাজীবন ও পড়কাল কষ্ট পান। ভেবে চিন্তে কাজ করুন। যার কেহ নেই তার আল্লাহ আছে। আপনি কি পড়াশুনা...
বাসর রাতকে মেয়েদের সর্বনাশের রাত বলা হয় না। বরং বাসর রাতকে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের জন্য 'মধুময় রাত' বলা হয়। এই রাতটি প্রতিটা বিবাহিত ছেলে-মেয়েদের জন্য চির কাঙ্ক্ষিত বা চির প্রত্যাশিত রাত।...
আমাদের প্রথমে দেখতে হবে গরম মসলা কোন কোন মসলার সম্মিলনে তৈরী হয়। মসলা গুলো হলো এলাচ, লবঙ্গ, গুল মরিচ, দারুচিনি, পিপুল, কালো এলাচ প্রভৃতি। প্রত্যেকটি মসলাই আলাদা আলাদা কিংবা একসাথে...
1 Answers
2628 views
Close ×
ভিডিও কলে পরামর্শ নিতে প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ