শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আপনাকে কে বলেছে গীবত করা জায়েয*ইসলাম ধর্মে গীবত করাকে মৃত ভাইয়ের মাংশ খাওয়ার সাথে তুলনা করা হয়েছে*তাহলে গীবত জায়েজ হওয়ার প্রশ্নই উঠেনা*এরকম প্রশ্ন ভুলেও আর কোনদিন করবেন না

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call
  • ৩ ব্যক্তির বিরুদ্ধে গীবত করা জায়েজ

  • হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত। রাসূল সা. ইরশাদ করেছেন-"তোমরা কি জান গীবত (পরনিন্দা) কি?" সাহাবারা বললেন-"আল্লাহ তায়ালা এবং তার রাসূলই ভাল জানেন"। হুজুর সা. বললেন-"তোমার (মুসলমান) ভাইয়ের এমন কোন আলোচনা করা যা সে অপছন্দ করে।" কোন কোন সাহাবা বললেন-"আমার ভাই সম্পর্কে যা বলি তা যদি তার মধ্যে থাকে?" (আর সে তা অপছন্দ করে তবুও কি তা গীবত বা পরনিন্দা হবে?) রাসূল সা. বললেন-"তুমি যা বললে তা তার মধ্যে (বাস্তবে) থাকলেই গীবত হবে। আর যা তুমি বললে তা তার মাঝে না থাকলে তবে যেন তুমি তাকে অপবাদ দিলে। (যা গীবতের থেকে মারাত্মক গোনাহ)" (সহীহ মুসলিম শরীফ, হাদিস নং-৬৭৫৮)
ব্যাখ্যা: 
১. কারো অত্যাচার থেকে বাঁচতে তার বিরুদ্ধে এমন ব্যক্তির কাছে দোষ বলা যে উক্ত ব্যক্তিকে শোধরাতে পারবে বা শাস্তি দিতে পারবে। যেমন জালিমের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা।
২. যার গীবত করা হচ্ছে তাকে বাঁচাতে এমন ব্যক্তির কাছে দোষ বলা যিনি উক্ত ব্যক্তিকে শোধরাতে পারবেন। যেমন সন্তান রাস্তায় বখাটেপনা করলে পিতার কাছে অভিযোগ করে দোষ বলা।
৩. যার কাছে দোষ বলা হচ্ছে উক্ত ব্যক্তিকে বাঁচাতে তার কাছে কারো দোষ বলা। যেমন বিয়ের সম্বন্ধ আসলে লোকটি যদি চরিত্রহীন হয় তাহলে এমন ব্যক্তির কাছে দোষ বলা যিনি ঐ লম্পটের সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়।

#কারো গীবত হয়ে গেলে-যদি উক্ত ব্যক্তি কাছে সরাসরি ক্ষমা চাওয়া যায়, তাহলে ক্ষমা চেয়ে নিবে। আর যদি লোকটা মারা গিয়ে থাকে বা দূরে থাকে, তাহলে আস্তাগফিরুল্লাহ পড় এই কর্মের জন্য ক্ষমা চাইবে আল্লাহর দরবাবে। ভাল থাকুন।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ