'টাই' হলো ক্রুশের অন‍্যতম প্রতীক। হযরত ঈসা (আঃ)-কে মনে করে যে কাঠের ফলকে বিদ্ধ করে যিশুকে বধ করা হয়েছিলো, তাকে ক্রুশ বলে। ক্রুশ হলো খ্রিস্টধর্মের প্রতীক। টাই এসেছে পাশ্চাত্য বা খ্রিস্ট সমাজ থেকে। খ্রিস্টানরা ক্রুশের প্রতীক হিসেবে টাই সৃষ্টি করেছে। আর তা গলায় ঝুলিয়ে রাখার ব‍্যবস্থা করেছে। পাশ্চাত্য বা খ্রিস্টান সমাজ থেকে মুসলিম সমাজেও টাই এর মারাত্মক অনুপ্রবেশ ঘটেছে। মুসলমানদের কোনো নবী, কোনো সাহাবী, কোনো তাবেয়ী, কোনো তাবে তাবেয়ী, কোনো বুজুর্গ, ওলী, আউলিয়া কোনোদিনও খ্রিস্টানদের প্রতীক ক্রুশ আর ক্রুশের প্রতীক টাই পরিধান করে নি। টাই বাধা আর গলায় ঝুলানোর সময় বিশেষভাবে লক্ষ করলে দেখা যাবে, যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ করে হত‍্যার ইতিহাস তা পরোক্ষভাবে ধারণ করেছে। তবে মুসলমানদের মধ‍্যে যারা সত‍্যিকারের জ্ঞানী, তারা তা সহজেই বুঝতে পারে, দুর্বল চিন্তাধারার মানুষেরা সহজেই কোনো সত্য উপলব্ধি করতে পারে না। অনেক মুসলমানরা জেনে না জেনে, বুঝে না বুঝে গলায় টাই পরিধান করে, যা মুসলমানদের জন্য লজ্জার বিষয়। যারা ইসলাম ব‍্যতীত মানবসৃষ্ট অন‍্য কোনো ধর্মের প্রতীক, কার্যক্রম নিজের মধ্যে ধারণ করবে, তারা সত‍্যিকারের মুসলিম হতে পারে না। তবে কোনো মুসলিম যদি না জেনে, না বুঝে গলায় টাই পরিধান করে, তাকে অমুসলিম, অমুমিন বা খ্রিস্টান বলে কটাক্ষ করা যাবে না। বরং যেসব মুসলমানরা না বুঝে, না জেনে গলায় টাই ধারণ করে, তাদেরকে এর কুফল সম্পর্কে বুঝাতে হবে। যদি তারা ঈমানদারদের কথা উপলব্ধি করে সত‍্যিটা বুঝে সঠিক পথে ফিরে আসে, তাহলে তা ঈমানদারদের সফলতা, অন‍্যথায় তা ঈমানদারদের ব‍্যর্থতা। মনে রাখবেন, মুসলমানদের জন‍্য ইসলাম ব‍্যতীত মানবসৃষ্ট অন্য কোনো ধর্ম বা ধর্মের কার্যাবলী প্রত‍্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে গ্রহণ করা সম্পূর্ণ হারাম। আর এও মনে রাখবেন, শয়তান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, ইহুদিরা প্রত‍্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মুসলমানদের ঈমান, আমল নষ্ট করার চেষ্টায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তাই কোনোভাবেই তাদেরকে অনুসরণ করা যাবে না। কুরআন, হাদীসকে আমাদের দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরতে হবে, তাহলে আমরা পথভ্রষ্ট হবো না। মনে রাখবেন, যখন মুসলমান আর অন‍্য ধর্মের মানুষদের কার্যক্রমের মধ‍্যে ধর্মীয় পার্থক্য ফুটে উঠবে, তখনই তো সে সত‍্যিকারের মুসলমান। ধন্যবাদ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ