HMMOBAROKBD

Call

আমাদের শরীর সারা দিনের কাজকর্মের পর ছন্দগতভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তখন ঘুমের প্রয়োজন পড়ে। একজন স্বাভাবিক মানুষ দৈনিক ছয় থেকে আট ঘণ্টা, অথবা সব মিলিয়ে প্রায় সাত ঘণ্টা ঘুমায়। এই ঘুম যখন কম হয়, তাকে অনিদ্রা বলা হয়।

কিন্তু সেটি কীভাবে হয়? ঘুম আসতে দেরি হলে অনিদ্রা হতে পারে। অথবা ঘুম এলে বারবার ভেঙে যায়। অথবা একবার ঘুম ভাঙলে পরবর্তী সময়ে ঘুম আসতে চায় না। খুব সকালবেলা ঘুম ভেঙে যায়। এই সবগুলোকে বলা হয় অনিদ্রা বা ইনসোমনিয়া।

এই অনিদ্রা দুই রকমের হতে পারে। একটি হলো একিউট ইনসোমনিয়া বা হঠাৎ করে অনিদ্রা। আরেকটি হচ্ছে ক্রনিক বা দীর্ঘমেয়াদি অনিদ্রা।কেউ একজন হয়তো পৃথিবীর এক জায়গায় থাকতেন, বাংলাদেশে এসেছেন। তখন সময়ের তারতম্যের কারণে ঘুমের অসুবিধা হলো, এটি একিউট ইনসোমনিয়া। বা কোনো একটি কারণে কোনো দুঃখজনক ঘটনা শুনল সেদিন আর ঘুম হলো না, এটি একিউট। এটি খুব অল্প সময় স্থায়ী থাকে। একদিন, দুদিন বা এক সপ্তাহ, দুই সপ্তাহ হয়ে থাকে।

আরেকটি হলো ক্রনিক ইনসোমনিয়া। এটি তিন মাসের বেশি সপ্তাহে অন্তত দু-তিনদিন হতে পারে।

কিছু রয়েছে প্রাইমারি ইনসোমনিয়া,যেমন- কোনো কারণ ছাড়াই তার ঘুম আসে না। 

আর একটি হলো নির্দিষ্ট কিছু কারণের জন্য অনিদ্রা। এ ক্ষেত্রে অনেকগুলো কারণ হতে পারে। প্রধান কারণ, এখন কারণ আমাদের যান্ত্রিক যুগের মানসিক চাপ।যেমন-কারো হয়তো চাকরি চলে গেছে, দিনের পর দিন চাকরি নেই, তার একটু মন খারাপ হতে পারে। মেয়ে বড় হয়েছে, বিয়ে হচ্ছে না সেটার জন্য বাবার মানসিক চাপ হতে পারে। এই মানসিক চাপ সবচেয়ে বড় কারণ।এর মধ্যে শারীরিক অসুস্থতা এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। ঘুমাতে পারছে না, এর কারণ হয়তো তার অন্য অসুখ রয়েছে। যেমন, অ্যাজমা রোগী। সারা দিন ধরে কাশছে, সারা রাত ধরে কাশছে, তো ঘুমাবে কী করে?শারীরিক অস্বস্তি বোধের কারণেও এ রকম হতে পারে। তবে বেশির ভাগ সময় কোনো কারণ ছাড়াই অনেকের ক্ষেত্রে ঘুম আসে না।অনেক সময় ঘুম হয় না এটিও বলে সরাসরি। আবার অনেকে বলে সারা দিন ঘুম ঘুম লাগে। যেহেতু রাতে তার ঘুম হয় না। অনেকে মনোযোগ দিতে পারে না। বিরক্ত হয়ে থাকে। কারো কথাবার্তা সহ্য হয় না। কোনো কাজে মনোযোগ দিতে পারে না।টেনশনে থাকে৷ 

কোন কারণ ছাড়ায় যদি এমন হয়, তবে...তার পিছনে সম্পূর্ণ ইতিহাস নিয়ে জানতে হবে আসলেই সে কতক্ষণ ঘুমায়? যদি দেখা যায়, সে দুপুরে ভাত খেয়ে দুই ঘণ্টা ঘুমিয়ে গেল, তাহলে তো তার চাহিদা পূরণ হয়ে থাকছে। কাজেই ইতিহাস ভালোভাবে নিতে হবে। জীবনযাত্রার ধরন জানতে হবে। কোনো ওষুধ খাচ্ছে কি না জানতে হবে। যদি সে সারা রাত বা ১২টা, ১টার সময় গিয়ে বসে যায় টেলিভিশন দেখতে বা একটি সিনেমা দেখতে বা ল্যাপটপ নিয়ে বসল তা হলো তো ঘুম হবে না।সকালবেলা কলেজ থাকে, স্কুল থাকে, রান্না থাকে, সংসারের কাজকর্ম থাকে। তাই উঠতে তো হবেই। কাজেই ঘুমের সময়টা ফুরিয়ে যাচ্ছে।তাই আগে পুরো কারণ জানা প্রয়োজন ঘুম কেন আসছে না। যদি কোনো নির্দিষ্ট কারণ না থাকে। তাহলে কার আচরণগত পরিবর্তন পারিপার্শ্বিক পরিবর্তন করতে হবে। এই জিনিসটি খুব জরুরি।এবং এর জন্য পরিবারের সহযোগিতা ও সহপাঠীদের সহযোগিতা খুব জরুরি।

আপনিও আপনার সমস্যাটি ঘাঁটিয়ে দেখুন৷ আপনি কোন পর্যায়ে পরেছেন৷যদি আপনার সমস্যাটি স্থায়ী হয় তবে....আপনি আপনার অভ্যাসে পরিবর্তন আনুন,প্রয়োজনে পরিবেশ পরিবর্তন করুন৷তাতেও সমস্যা সমাধান না হলে,ডাঃ দেখান৷ 



ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আসলে টেনশনে থাকলে মানুষের ঘুমে একটু ব্যাঘাত ঘটবেই। তবে যদি মধ্যরাতে ঘুুুম ভেঙ্গে যায় এবং আর ঘুম না আসে তবে তাকে মানসিক রোগ ইনসোমেনিয়া বলা হয়। দুশ্চিন্তা কমানোর চেষ্ট করুন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে অবশ্যই একজন মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাতে হবে। আপনি ঘুমানোর আগে ৩০ মিনিট মেডিটেশন করুন এতে দুশ্চিন্তা কমে ঘুম আসতে সাহাজ্য করবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ