কিন্তু যারা সীমালঙ্গন কারী,তাতের গুণাহ কি আল্লাহ মাফ করবেন?যেমন,যৌনাঙ্গকে হেফাজত করতে না পারা।।এটা একটা সীমালঙ্গনের মধ্যে পরে।এছাড়াও আরো অনেক ধরনের সীমালঙ্গন আছে।তওবা করলে কি আল্লাহ এই গুণাহ মাফ করবেন?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

গুনাহ যত বড় হোক না কেন আল্লাহর ক্ষমা, মহানুভবতা ও অনুগ্রহ তার চেয়ে বড়। তাই যারা সীমালঙ্ঘন কারী তাদের গুণাহ আল্লাহ মাফ করবেন যদি তারা তাওবাতুন নাসুহা অর্থাৎ খাঁটি তওবা করে। সবচেয়ে গুরুতর গুনাহ হলো আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরীক করা। পৃথিবীতে শিরকের চেয়ে জঘণ্য আর গুনাহ নেই। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন: নিশ্চয় আল্লাহ তার সাথে শরীক করাকে ক্ষমা করেন না। তিনি ক্ষমা করেন এ ছাড়া অন্যান্য পাপ, যার জন্য তিনি চান। আর যে আল্লাহর সাথে শরীক করে সে অবশ্যই মহাপাপ রচনা করে। (সূরা আন-নিসা, আয়াতঃ ৪৮) কেউ শিরক করে তাওবা না করে মারা গেলে আল্লাহ কোনো শিরক কারীকে ক্ষমা করবেন না, যদিও সে সিয়াম, সালাত, হজ ও যাকাত আদায় করে এবং নিজেকে মুসলিম হিসেবে দাবি করে। অতএব সব গুনাহ-ই আল্লাহ মাফ করতে পারেন যা পরিত্যাগ না করেই সে মৃত্যু বরণ করেছে, কেবল শিরক ছাড়া। শিরক থেকে তাওবা না করে মারা গেলে তার নিস্তার নেই। এ আয়াতে বলা হয়েছে যে, তিনি তার সাথে শিরক করাকে ক্ষমা করবেন না। এর বাইরে যত গুনাহ আছে সবই তিনি যার জন্যে ইচ্ছে ক্ষমা করে দিবেন। অন্য আয়াতে অবশ্য আল্লাহ তাআলা শিরক কারীদের মধ্যে যারা তাওবা করবে তাদেরকে ক্ষমা করার কথা ঘোষণা করেছেন। আল্লাহ বলেন, তবে যারা তওবা করে, বিশ্বাস ও সৎকাজ করে আল্লাহ তাদের পাপকর্মগুলিকে পুণ্য দ্বারা পরিবর্তন করে দেবেন। আর আল্লাহ চরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা আল-ফুরকানঃ ৭০) এখান হতে বুঝা যায় যে, বিশুদ্ধ তওবা দ্বারা পৃথিবীতে সমস্ত পাপ মোচন হতে পারে; তাতে তা যত বড়ই হোক না কেন। সুতরাং তাওবা করলে শিরক সহ যেকোন গুনাহ মাফ হয়ে যায়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ