কি কি বলা ও করা উচিত? । সব বলবেন আশা করি।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আজ্নের সময় একমাত্র কাজ হলো আজানের জবাব দেওয়া এবং আজানের পর আজানের দোয়া পড়া বাকিকাজ করা হারাম কারন আজানের জবাব দেওয়া ওয়াজিব। (বিঃদঃ  কোন জরুরত থাকলে ভিন্ন কথা।)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

মুয়াজ্জিন আজান দিলে আমাদের আজানের সময় তার জবাব উচিত। ইসলামে আজানের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। আজান শুনে আজানের জবাব দেওয়ারও রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব। আজান শ্রবণকারীরও মৌখিকভাবে আজানের উত্তর দেওয়া সুন্নত। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেন, যখন তোমরা আজান শুনবে, এর জবাবে মুয়াজ্জিনের অনুরূপ তোমরাও বলবে। (বুখারি, হাদিসঃ ৬১১)। আজানের জবাব দেওয়ার পদ্ধতি আজানের জবাব দেওয়ার পদ্ধতি হলো, মুয়াজ্জিন প্রত্যেকটি বাক্য বলে থামার পর শ্রোতা ওই বাক্যটি নিজেও অনুরূপভাবে বলবে। কিন্তু মুয়াজ্জিন ‘হাইয়্যা আলাস সালাহ’ ও ‘হাইয়্যা আলাল ফালাহ’ বলার সময় শ্রোতা ‘লা হাওলা ওয়া লা কুউওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ’ বলবে। এটাই বিশুদ্ধ অভিমত। (সহিহ মুসলিম, হাদিসঃ ৩৮৫)। তবে কোনো কোনো বর্ণনায় ‘হাইয়্যা আলাস সালাহ’ ও ‘হাইয়্যা আলাল ফালাহ’ বলার সময়ও মুয়াজ্জিনের অনুরূপ বলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। (কিতাবুদ দোয়া, তাবারানি হাদিসঃ ৪৫৮)। আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউমের জবাব ইসলামী ফিকহের বিভিন্ন কিতাবের বর্ণনামতে, ফজরের আজানে ‘আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউম’ এর জবাবে ‘সাদাকতা ও বারারতা’ পড়বে। কিন্তু হাদিস ও সুন্নাহে এর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না। তাই বিশুদ্ধ মতানুসারে এর জবাবেও মুয়াজ্জিনের অনুরূপ ‘আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউম’ বলাই উত্তম। কেননা হাদিস শরিফে এসেছে, আজানের জবাবে তোমরাও মুয়াজ্জিনের অনুরূপ বলবে। (তাকরিরাতে রাফেয়িঃ ১/৪৭ আহসানুল ফাতাওয়াঃ ১০/২০৬)। উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ যখন মুয়াজ্জিন আজানের সময় আলাহু আকবার আল্লাহু আকবার বলবে, তখন তোমরাও আল্লাহু আকবার বলবে। অতঃপর মুয়াজ্জিন যখন আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলবে তখন তোমরাও আশহাদু আল-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলবে। অতঃপর মুয়াজ্জিন যখন আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ বলবে তখন তোমরাও আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ বলবে। অতঃপর মুয়াজ্জিন যখন হাইয়া আলাস সালাহ বলবে তখন তোমরা বলবে, লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। অতঃপর মুয়াজ্জিন যখন হাইয়া আলাল ফালাহ বলবে তখন তোমরা বলবে লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। অতঃপর মুয়াজ্জিন যখন আল্লাহু আকবার বলবে তখন তোমরা আল্লাহু আকবার বলবে! অতঃপর মুয়াজ্জিন যখন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলবে, তখন তোমরাও লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলবে। তোমরা যদি আন্তরিকভাবে এরূপ বল তবে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে। (সূনান আবু দাউদ, হাদিস নম্বরঃ ৫২৭ হাদিসের মানঃ সহিহ)।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ