আমি আজান শিখে বেশ কয়েকদিন ধরে আমাদের গ্রামের মসজিদে আজান দেই,বিশেষ করে ৩.৪০ বা ৪.০০ টায় উঠে তাহাজ্জুদ পড়ে ফজরের জন্য রওয়ানা দেই. তো আগে আমার ভাই সহ একসাথে যেতাম তবে সে এখন যায় না,কারণ সে অলস হয়ে গেছে।তাই আমি রাগ করে গত পরশু অন্ধকারে বের হয়ে যাই আজানের ৩০ মিনিট আগে। তো মোবাইল অর্থ্যাৎ ফ্লাশলাইটও নিই নাই,যেহেতু গ্রাম মসজিদও খুব কাছে না এবং ঝোপ জঙ্গল কাজেই মাঝ রাস্তায় গিয়ে ভয় পেয়ে গেলাম।গাঢ অন্ধকার মনে মনে দোয়া পড়ছি তো হলো যে আমি হঠাৎ দেখলাম একজন টর্চলাইট নিয়ে দাড়িয়ে তবে তাকে স্পষ্ট দেখিনি কাজেই সাহস এলো সামনে যেতে লাগলাম কিন্তু পরে দেখি তিনি নেই পরে বুঝলাম এটা অন্যকিছু কারণ আজানের এতো আগে আমি ছাড়া আর কে উঠবে হুজুরও উঠে না,সুতরাং দিলাম দৌড় মসজিদের দিকে পুকুর পর্যন্ত গিয়ে দেখি ঘাট বরাবর লম্বা ধোয়া দাড়িয়ে আমি এটার দিকে তাকাতে সাহস পাচ্ছি না পরে দেখলাম পাশে গাছের সাথে ধোঁয়া জিনিসটা মিশে গেল,এবার মসজিদে পৌছে আজান দিয়ে সস্তি পেলাম। এখন আর একা একা যেতে পারি না,তবে নামাজ আজান মিস করতে অনেক কষ্ট হয়।আবার আমার ভাইও ৪ টায় কখনও উঠবে না। তো ওগুলো কি ছিল আর আমি কি দোয়া পড়লে যেতে পারব
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আয়াতুল কুরসি পড়বেন সকল ভয় ভীতি দূর হয়ে যাবে। আর দয়া করে কারও সাথে যাবেন। একা গেলে নানা ধরণের অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটতে পারে। আমি নিজেও একা একা মসজিদে যাইনা। প্রথমে সমবয়সীদের ডাকি তারপর ওরা যদি যেতে রাজি হয় তাহলে যাই অন্যথায় বাড়ি বসে পড়ি। তবে মসজিদে পড়া সর্বোত্তম। আপনার ঘটনাটা পড়ে মনে হলো এটা কোনো জিনের ঘটনা । হয়ত সে আপনাকে মসজিদে যেতে সাহায্য করেছে অথবা করতে চেয়েছে। কারণ ঐ সময়টাতে জিনেরা চলাচল করে। এজন্য মহানবী সাঃ ঘুমানোর সময় দরজা, জানলা, বাতি নিভিয়ে ঘুমাতে বলেছে। আর প্রয়োজন ব্যতীত রাত্রে বের হতে নিষেধ করেছেন। কারণ এই সময়টাতে আল্লাহ তার কিছু সৃষ্টিকে ছেড়ে দেয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ