ঘুম থেকে উঠেই মিসওয়াক করতে হবে, হোক সেটা দিনে কিংবা রাতে। কেননা, হাদীসে বর্ণিত আছেঃ “হযরত আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবীকরিম (সঃ) রাতে বা দিনে যখনই ঘুম থেকে জাগতেন, উযুর পূর্বে মিসওয়াক করতেন।” — আহমাদ (৬/১৬০), (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৫৭) মিসওয়াকের মধ্যে ধর্মীয় ও দুনিয়াবী অসংখ্য ফজিলত রয়েছে এবং এটি একটি সুন্নাতও বটে (সওয়াব রয়েছে)। এতে বিভিন্ন রাসায়নিক অংশ রয়েছে, যা দাঁতকে সব ধরনের রোগ থেকে রক্ষা করে। তাহতাবী শরীফের পাদটীকায় রয়েছেঃ ১) মিসওয়াক দ্বারা স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়, ২) মাথা ব্যথা দূর হয় এবং মাথার রগগুলোতে প্রশান্তি আসে। ৩) এতে শ্লেষ্মা (কফ, সর্দি) দূর, দৃষ্টি শক্তি তীক্ষ্ম, পাকস্থলী ঠিক এবং খাদ্য হজম হয়, বিবেক বৃদ্ধি পায়। ৪) সন্তান প্রজননে বৃদ্ধি ঘটায়। ৫) বার্ধক্য দেরীতে আসে এবং পিঠ মজবুত থাকে।” (হাশিয়াতুত তাহতাভী, আল মারাকিল ফালাহ, ৬৮ পৃষ্ঠা)