হানাফী মাজহাব মতে, ইমামের পিছনে মুক্তাদীর কোন কিরাতই পড়তে
হবে না। কারণ ইমামের কিরাতই মুক্তাদীর
কিরাত।
ইমাম সূরা ফাতিহার পর বাকি সূরা মিলালে
যেমন তা মুক্তাদীর পক্ষ থেকে হয়ে যায়,
তেমনি সূরা ফাতিহা পড়লেও তা মুক্তাদীর পক্ষ
থেকে হয়ে যাবে।
মুক্তাদীর আলাদাভাবে
সূরা ফাতিহা পড়তে হবে না, সেই সাথে
অতিরিক্ত সূরাও মিলাতে হবে না।
তাই ফজর এবং আসরের চার রাকাত ফরজ
নামাজ জামায়াতে আদায়কালে মুক্তাদিকে সুরা ফাতিহা বা ফাতিহার
সাথে অন্য কোনো সুরা
পড়তে হবে না। অর্থাৎ ফরজ নামাজে ইমামের সূরা ফাতিহা পড়তে হবে না।
কারণ তিলাওয়াত করলে পিছনে চুপ থাকার
নির্দেশ পবিত্র কুরআনে যেমন এসেছে,
তেমনি সহীহ হাদীসেও এসেছে। সেই
সাথে ইমামের সকল কিরাতই মুক্তাদীর জন্য
যথেষ্ট হয় মর্মে সহীহ হাদীসে বর্ণিত
হয়েছে।
হযরত জাবের (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূল (সাঃ) ইরশাদ
করেছেন, যার ইমাম রয়েছে, তার ইমামের
কিরাত মানেই হল তার কিরাত।
(মুয়াত্তা মালিকঃ ১২৪, মুসনাদে আহমাদঃ ১৪৬৪৩, সুনানে ইবনে মাজাহঃ ৮৫০)।