৮ম শ্রেণী উপযোগী......
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

ভিটামিন এর গুরুত্ব নিচে উল্লেখ করা হলোঃ-

  • দেহের উন্নতি সাধন করে।
  • খাদ্যের অন্যান্য উপাদানের কাজকে ত্বরান্বিত করে। 
  • দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক রাখে।
  • দেহকে সজীব রাখে।
  • শক্তি উৎপাদনে প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। 
  • রক্তকণিকার কাজে ভিটামিনের ভূমিকা অপরিসীম। 
  • দেহের বিভিন্ন কার্যকলাপের অনুঘটক হিসেবে ভূমিকা পালন করে। 
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আমাদের দেহের স্বাভাবিক বিকাশ সাধনের জন্য এবং জীবন প্রক্রিয়া সঠিক ভাবে সম্পাদনের জন্য অতি অল্প মাত্রার কিছু জৈব যোগের দরকার হয়; এরাই ভিটামিন নামে পরিচিত। ভিটামিন আমাদের শরীরে ক্যালোরি বা শক্তির জোগান দেয় না ঠিকই, কিন্তু যাতে আমরা খাদ্য থেকে পাওয়া ক্যালোরি বা শক্তি ভালো ভাবে ব্যবহার করতে পারি সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করে। অনেক "প্রসেসড" ফুড খাওয়া, রাত জাগা, ধূমপান ইত্যাদি আমাদের শরীরে ভিটামিনের প্রয়োজন বাড়িয়ে দেয় স্বাভাবিকের চাইতেও। এছাড়াও স্বাভাবিকভাবেই নীরোগ ও সুস্থ শরীরের জন্য দরকার প্রয়োজনীয় ভিটামিন। ভিটামিন ও খনিজ উপাদান খাদ্য তালিকায় সঠিক পরিমানে না থাকলে শরীর সুস্থ রাখা কঠিন হয়ে পরে। ভিটামিন এ- ভিটামিন এ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, চোখ ভাল রাখে। এর অভাবে দৃষ্টি শক্তি লোপ পায়, এমনকি অনেক শিশু অন্ধও হয়ে যায়। শরীরের বিকাশের জন্য এই ভিটামিন খুবই দরকারী। শরীরে ভিটামিন এ এর উৎস নিশ্চিত করার জন্য রোজকার খাবারে যাতে বেশি করে সবুজ, লাল ও হলুদ খাবার থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। গরু-খাসির কলিজা, কড লিভার তেল, ডিমের কুসুম, দুধ, মাখন ইত্যাদি থেকে ভিটামিন এ পাওয়া যায়। ভিটামিন এ খাওয়ার সেরা সময় ব্যায়ামের পর। ভিটামিন কে ভিটামিন কে রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। এছাড়া পিত্ত থলি থেকে পিত্ত নিঃসরণ করতে ভিটামিন কে ভূমিকা রাখে। এই ভিটামিন সাধারণত দেহেই তৈরি হয়। ভিটামিন কে অস্টীও পোরসিস থেকে শরীরকে রক্ষা করে। খাবারে ভিটামিন কে পাওয়া যায় সবুজ শাক সবজি, মটর শুঁটি, গ্রীন টি, ওটস ইত্যাদি থেকে। ভিটামিন ই ভিটামিন ই হার্টকে সুরক্ষিত রাখে, ত্বক বুড়িয়ে যেতে দেয় না, পেশি মজবুত রাখে। কোন খাবার বেশি সময় রান্না করলে তার ভেতর থাকা ভিটামিন ই নষ্ট হয়ে যায়। ভিটামিন ই - এর সেরা উৎস হচ্ছে ভুট্টা, সয়া, বাদাম, সিমের বিচি ইত্যাদি। ভাজা পোড়া বা বেক করা খাবারে ভিটামিন এ পুরোপুরি বিনষ্ট হয়ে যায়। ভিটামিন সি বেশির ভাগ ফল আর সব্জিতেই ভিটামিন সি থাকে। তবে ফল বা সবজি কেটে খেলে বেশির ভাগ ভিটামিন সি হারিয়ে যায়। ভিটামিন সি স্কার্ভি প্রতিরোধ করে, ক্ষত স্থান নিরাময় করে, লোহিত রক্ত কনিকার পুষ্টি সাধন করে। আমলকী, লেবু, টমেটো, আনারস ইত্যাদি থেকে অনেক ভিটামিন সি পাওয়া যায়। ভিটামিন বি এক সঙ্গে অনেক ভিটামিন মিলে তৈরি হয় ভিটামিন বি বা বি কমপ্লেক্স। ভিটামিন বি পাওয়া যায় তাজা ফলে, সব্জি, বাদাম, ডিম মাছ ও পনিরে। ভিটামিন বি হজমে সাহায্য করে, স্নায়ুর কার্যকারিতায় উন্নতি ঘটায় এবং ডিপ্রেসন থেকে বাঁচায়। মহিলারা পিরিয়ডের আগে ভিটামিন বি খেলে "মুড সুইং" থেকে রক্ষা পেতে পারেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ