"Early to bed,
Early to rise,
Makes a man
Healthy, wealthy & wise"
"শীঘ্রই ঘুমোতে যাওয়া,
শীঘ্রই ঘুম থেকে জেগে উঠা,
একজন মানুষকে করে তোলে
সুস্থ, সমৃদ্ধশালী ও জ্ঞানী"।
একজন সুস্থ মানুষের জন্য ঘুমানোর সর্বোত্তম সময় হচ্ছে রাত ১০টা থেকে ভোর ৪টা (৬ ঘন্টা)। রাতজাগা ক্ষতিকর। তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যাওয়া উচিত এবং তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে জেগে উঠা উচিত। যারা রাত জেগে না থেকে তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যায় এবং তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে পড়ে, তাদের জীবনে শৃংখলা, সময়ানুবর্তিতা, নিয়মানুবর্তিতা চলে আসে। তারা পড়াশোনা সহ দৈনন্দিন সকল কাজকর্ম করার জন্য পর্যাপ্ত সময় পায়। তাদের মস্তিষ্ক সবসময় ফ্রেশ মুডে থাকে। দেহ, মন ও মস্তিষ্ক প্রফুল্ল থাকে। যার ফলে তারা হয় সুস্থ, সমৃদ্ধশালী ও জ্ঞানী। ভোরে ঘুম থেকে উঠে যারা ভোরের বাতাসে সামান্য হাঁটাচলা করে, সামান্য শারীরিক কসরৎ করে, তারা থাকে সুস্থ, সবল ও ফুরফুরে মেজাজে। যারা রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে রাতের খাবার খেয়ে ১০টার দিকে ঘুমিয়ে পড়ে, তাদের ঘুম হয় শান্তিময়, যেনো এক রাতে বহু সময় শান্তির ঘুম হয়েছে। ভোরে ঘুম থেকে উঠে পড়াশোনা করা, প্রার্থনা করা মস্তিষ্কে ভালোভাবে কাজ করে। সেই নীরব পরিবেশে শুধুমাত্র পাখির কলতান মনে আনে আলাদা প্রফুল্ল, অপরিমেয় শান্তি। এই সময় ব্রেইন ভালো কাজ করে, ফলে পড়াশোনা বা জ্ঞান আহরণ দীর্ঘস্থায়ী হয়। ভোরে যারা ঘুম থেকে উঠে, তাদের চাঁদ মামা আর সূয্যি মামার সাথে যেনো আলাদা সেতুবন্ধন তৈরি হয়। চাঁদ মামাকে বিদায় জানিয়ে সূয্যি মামার সাথে সাক্ষাৎ। সকালের সূর্যের আলো গায়ে লাগালে শরীর সুস্থ থাকে। যারা নিয়মিত তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে পড়ে, তারা নিয়মিত ভোরের নির্মল বাতাস ও সকালের সূর্যের ভিটামিন সমৃদ্ধ আলো গায়ে লাগাতে সক্ষম হয়। সত্যিই শীঘ্রই ঘুমোতে যাওয়া ও শীঘ্রই ঘুম থেকে জেগে উঠা, একজন মানুষকে করে তোলে সুস্থ, সমৃদ্ধশালী ও জ্ঞানী। ধন্যবাদ।