শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আমার জানামতে মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন ঃকোন ব্যক্তি একটানা চল্লিশ দিন সহিহ্ নিয়তের সাথে নামাজ পড়লে, তার আমলনামা এমন হয়, যেদিন সে মায়ের পেট থেকে দুনিয়ায় এসেছিল। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

রাসুল(সাঃ) বলেন, ] وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللّهِ ﷺ: مَنْ صَلّى لِلّهِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا فِي جَمَاعَةٍ يُدْرِكُ التَّكْبِيرَةَ الْأُولى كُتِبَ لَه بَرَاءَتَانِ: بَرَاءَةٌ مِنَ النَّارِ وَبَرَاءَةٌ مِنَ النِّفَاق. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ আনাস (রাঃ) তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেছেনঃ যে লোক চল্লিশ দিন পর্যন্ত তাকবীর তাহরীমাসহ আল্লাহ্‌র জন্য জামা’আতে সালাত আদায় করেন তার জন্য দু’প্রকার মুক্তি বরাদ্ধ করা হয়। এক জাহান্নাম থেকে মুক্তি। আর দ্বিতীয় মুনাফিক্বী থেকে মুক্তি। (তিরমিযী) [১] মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস নং ১১৪৪ হাদিসের মান: সহিহ হাদিস।  এজন্য শুধুমাত্র কাযা ছাড়লেই হবে না, বরং জামাআতে সালাত আদায় করতে হবে। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
HMMOBAROKBD

Call

ইসলামের পাঁচ ভিত্তির একটি হলো নামাজ!ইসলামের পাঁচ ভিত্তি -যথা,(১) এ কথার সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোন সত্যিকার ইলাহ নেই এবং মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামআল্লা¬হর রাসূল।(২) সালাত কায়েম করা।(৩) জাকাত প্রদান করা।(৪) রমজানের রোজা রাখা(৫)বাইতুল্লাহর হজ করা। [বোখারি: ৭ মুসলিম: ১৯]

সুতরাং-নামাজ বাধ্যতামুলক ফরজ,একান্ত সমস্যা ছাড়া এটা কাজ্বা করার কোন প্রশ্নই আসেনা!

এই নামাজ আল্লাহর নৈকট্য ও উচ্চ-মর্যাদা লাভের উপকরণ।হযরত সাওবান (রা:) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -কে এমন আমল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন যা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে-রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামউত্তরে বললেন: “তুমি বেশি করে আল্লাহর জন্য সেজদা-সালাত আদায় করতে থাক, কারণ তোমার প্রতিটি সেজদার কারণে আল্লাহ তোমার মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন এবং তোমার গুনাহ মাপ করবেন।” [মুসলিম:৭৩৫]

অতএব,নামাজ যদিও বাধ্যতামুলক, তবুও নামাজির জন্য রয়েছে অনেক সুসংবাদ ও ফজিলত!

সঠিক ও নীয়মিত নামাজ আদায়ের বহু উপকারিতা ও ফজিলত রয়েছে। যেমন- ১. আত্মিক, ২. শারীরিক, ৩. সামাজিক ও ৪. পরলৌকিক ইত্যাদি। নামাজ হলো আল্লাহর প্রতি বান্দার আনুগত্যের বাস্তব রূপ ও আল্লাহর সাথে মিরাজ সমতুল্য। আল্লাহ্কে হাযির-নাযির জেনে অন্তরে আল্লাহর ভয় রেখে শুধু আল্লাহর সস্তুষ্টি অর্জনের জন্য যদি আল্লাহর প্রতি চরম আনুগত্যের ধ্যানসহ নামাজ আদায় করা হয় তবে এ নামাজে অবশ্যই মুসল্লীর আত্মিক উন্নতি হবে।

কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে, অবশ্যই সফলকাম হয়েছে মুমিনগণ, যারা বিনয়-নম্র নিজেদের সালাতে। (সূরা মুমিনূন, ২৩ : ১-২)

এ ধরনের নামাজ মানুষকে অন্যায় ও অপকর্ম থেকে ফিরিয়ে রাখে। মানুষের আত্মাকে কলুষমুক্ত রাখে। এ সম্পর্কে আল্লাহ্ তাআলা ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই সালাত বিরত রাখে অশ্লীল ও মন্দকাজ থেকে। আল্লাহর স্মরণই সর্বশ্রেষ্ঠ। তোমরা যা কর আল্লাহ্ তা জানেন। (সূরা আনকাবূত, ২৯ : ৪৫)

সুতরাং-প্রশ্নমতে, যে ব্যাক্তি লাগাতার কাজ্বা না জরে ৪০ দিন নামাজ পড়লো যে নামাজের সঠিক স্বাদ পাবেও একজন নামাজি হওয়ার ফজিলতপূর্ণ হবে৷ 


তবে........,শুধু ওয়াক্ত মতো নামাজ আদায় করার আলিদাভাবে বিশেষ ফজিলতের কথা উল্লেখ না থাকলেও,লাগাতার ৪০ দিন তাকবির উলার সহিত নামাজ পড়ার বিশেষ ও নির্দিষ্ট ফজিলতের কথা হাদিসে এসেছে৷ 

হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে ৪০ দিন তাকবিরে উলার সাথে জামাতে নামায আদায় করবে তার জন্য দুটি মুক্তিনামা লেখা হবে। (তার একটি হলো) জাহান্নাম থেকে মুক্তি এবং (অন্যটি হলো) নেফাক থেকে মুক্তি।’ (তিরমিজি)

আল্লাহ আমাদের সঠিকভাবে তাকবিরে উলার সহিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার তাওফিক দিন৷ (আমিন)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ