Habib96

Call

আরবিতে রাকআ'তায় শব্দটি দ্বীবচন, অর্থ হলো- দুই রাকাআ'ত৷ এটি দুই রাকাআ'ত বিশিষ্ট নামাজে বলা হয়৷ আর রাকআ'তি শব্দটি এক বচন৷ নিয়তের মধ্যে এরপূর্বে কয় রাকাআ'ত সে সংখ্যা উল্লেখ থাকে৷ যেমন: আরবাআ'তি রাকাআ'তি অর্থ চার রাকাআ'ত (চার রাকাআ'ত বিশিষ্ট নামাজে), ছালাছাতি রাকাআ'তি অর্থ তিন রাকাআ'ত (তিন রাকাআ'ত বিশিষ্ট নামাজে)৷

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লা-হি তাআলা রাকয়াতাই সালাতি এরকম যে নিয়ত নামাজের পূর্বে বলা হয় তা কুরআন সুন্নাহে বর্নিত হয়নি। তাই নামাজের নিয়তে রাকয়াতাই আর রাকয়াতি বলতে হবে না। নিয়ত আরবী শব্দ। যার অর্থ হল, ইচ্ছা বা সংকল্প। আর ইচ্ছার স্থান হচ্ছে অন্তর। তা মুখে উচ্চারণ করার প্রয়োজন নেই। আল্লাহ তাআলা বলেন, হে নবী! আপনি বলে দিন, তোমরা মনের কথা গোপন করে রাখ অথবা প্রকাশ করে দাও, আল্লাহ সে সবই জানতে পারেন। আর আসমান জমিনে যা কিছু আছে সে সবই তিনি জানেন। আল্লাহ সর্ববিষয়ে শক্তিমান। (সূরা আল ইমরানঃ ২৯) উমার বিন খাত্তাব (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল (সাঃ) কে বলতে শুনেছি, হে লোক সকল! কাজ-কর্মের ফলাফল দৃঢ় সংকল্পের ওপর নির্ভরশীল। প্রতিটি মানুষের ভাগ্যে তাই জুটবে যা সে নিয়ত বা সংকল্প করেছে। (সহীহ বুখারীঃ ৬৪৭০) একজন বিবেকবান, সুস্থ মস্তিষ্ক, লোক কোনো কাজ করবে আর সেখানে তার কোনো নিয়ত বা ইচ্ছা থাকবে না সেটা সম্ভব নয়। নামাজ একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল, সুতরাং নামাজের পূর্বে নিয়ত করা প্রয়োজন। নিয়ত হল অন্তরের সাথে দৃঢ় সংকল্প, শব্দের সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই। আমাদের সমাজে নামাজের নিয়ত মুখে উচ্চারণের বাধ্য বাধকতা স্বরূপ যে কিছু আরবি শব্দের যে নিয়ত প্রচলন আছে তা কুরআন হাদিস সম্মত নয়। নিয়ত করার বিষয় এবং এর সম্পর্ক মুখের সাথে নয় বরং অন্তরের সাথে। সুতরাং অন্তরের দৃঢ় সংকল্প ও ইচ্ছা করার নামই হল নিয়ত। মুখে আরবিতে নামাজে নিয়ত পড়া নব উদ্ভাবিত বিষয়, আর তা বিদআত! বিদআত!! এবং বিদআত!!! যা বর্জনীয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ