আমাদের দেশী বিয়েতে গিফট নেওয়ার প্রথা রয়েছে। শুধু তাই নয়, বিয়েতে গিফট নিয়ে তা লিপিবদ্ধ করে রাখা হয়। গেইট দিয়ে ঢুকেই গিফট গ্রহনকারী লোক জনের মুখামুখি হতে হয়। এতে যারা গিফট নিয়ে আসেন নি বা গিফট আনার সামর্থ যাদের নেই তারা ভীষন বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়েন। গিফট লিপিবদ্ধ করার কারনে দামী গিফট না দিলে সামাজিক অবস্থান হারানোর একটা আশংকা থাকায় অনেকে বাধ্য হয়ে দামী গিফট করতে বাধ্য হন। ওনেকে গিফট দেওয়ার অসামর্থের কারনে বিয়েতে আসেন না। গিফট দেওয়া একটা সওয়াবের কাজ কিন্তু এভাবে পরোক্ষ চাপ দিয়ে গিফট আদায় করা সম্পূর্ণ অনৈসলামিক।
বিয়ে আমাদের জীবনের একটি স্বাভাবিক ও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। কিন্তু বিয়ের ক্ষেত্রে আমাদের সমাজে বিভিন্ন প্রকার প্রথা ও রীতি প্রচলিত আছে যা ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম এবং বিদ’আত। বিয়ের সময় গায়ে হলুদ, যৌতুক বা গান বাজনা করা ইত্যাদি হারাম তা আমরা সবাই জানি। এগুলো ছাড়াও আরো কিছু কুপ্রথা সমাজে প্রচলিত আছে। নিম্নে এ রকম কিছু কুপ্রথা সম্পর্কে আলোচনা করা হলঃ ধন্যবাদ আর কিছু জানতে চাইলে কমেন্ট করুন
বিয়েতে গেইট বানানে বৈধ নয়। এতে অপচয় ছাড়া আর কোন ফায়দা নেই। অপচয়কারীর পরিণাম পৃথিবীতে তো বটেই, আখেরাতেও ভালো নয়। ভয়ানক আজাব তার জন্য অপেক্ষমাণ। আল কোরআনে বলা হয়েছে, নিশ্চয় আল্লাহ অপচয়কারী ও মিথ্যাবাদীকে পথ প্রদর্শন করেন না। (সুরা মুমিন, আয়াতঃ ২৮)। এছাড়া বলা হয়েছে, নিশ্চয় অপচয়কারীরা শয়তানের ভাই। আর শয়তান হচ্ছে তার প্রভুর প্রতি বড় অকৃতজ্ঞ। (সুরা বনি ইসরাইল, আয়াতঃ ২৭। অতঃপর আল্লাহ তাআলা মানুষকে অপচয় করতে নিষেধ করেছেন। আর যে অপচয় করে তাকে শয়তানের ভাই হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। অপচয় হল প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যয় করা বা নষ্ট করা। সেটা যেকোন ক্ষেত্রে হতে পারে। সম্পদ অপচয় হতে পারে, সময় অপচয় হতে পারে, জ্ঞান-বুদ্ধির অপচয় হতে পারে, ইত্যাদি। মুমিনরা কখনো কিছু অপচয় করে না, তাদের সম্পদ অতিরিক্ত থাকলে আল্লাহ তাআলার পথে ব্যয় করে, সময় অতিরিক্ত থাকলে আল্লাহ তাআলার ইবাদতে মগ্ন থাকে। সুতরাং কেবল শয়তানের অনুসারীরাই অপচয় করতে পারে, অন্য কেউ নয়।